শৈলকুপায় উদ্ধারকৃত লাশটি আসলে কার?
- আপলোড টাইম : ১২:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬
- / ২৭৭ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামে পাওয়া লাশটি আসলে কার ? গত ২০ সেপ্টম্বর লাশটি পাওয়ার ৭২দিন অতিবাহিত হলেও লাশের পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি হত্যার মোটিভ ও ক্লু। এদিকে লাশটি উদ্ধারের পর মাগুরার ইছাখাদা গ্রামের আকমল হোসেনের নিখোঁজ ছেলে হুমায়ন কবীরের বলে তার পরিবারের লেকজন সনাক্ত করেন। সে মোতাবেক লাশ দাফন ও ইছাখাদা গ্রামের বাড়িতে খানা করা হয়। ঘটনার ৬৮ দিন পরে “নিহত” সেই হুমায়ন বাড়ি ফিরে আসেন। ফলে লাশটি যে হুমায়ন কবিরের নয়, তা প্রমানিত হয়। শৈলকুপা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোবারক হোসেন জানান, হুমায়ন কবীরের লাশ দাবী করে নিয়ে দাফন করার পর তার স্ত্রী ইতির মোবাইল রেকর্ড যাচাই করা হয়। দেখা যায় স্ত্রী ইতি একই নাম্বারে প্রতিদিন একাধিকবার কথা বলেছেন। এরপর কললিষ্ট তুলে জানা যায় হুমায়ন বেঁচে আছেন। তার স্ত্রীও বিষয়টি স্বীকার করেন। এসআই তোবারক হোসেন বলেন, এরপর হুমায়নকে যশোরের একটি দর্জির দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছে। পেশায় দর্জি হুমায়ন বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যশোর, মনিরামপুর ও বেনাপোল শহরে দর্জির কাজ করতো বলে ফিরে এসে পুলিশকে জানায়। এদিকে হুমায়ন কথিত নিহত হওয়ার পর তার বাবা আকমল হোসেন প্রতিবেশির নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইছাখাদা গ্রামের সুবোল কুমার বুস, তার ছেলে ঐশিক বুস, মেয়ে মন্দিরা বসু ও পলাশ শিকদারকে আসামী করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামীরা তার ছেলেকে অপহরণের পর হত্যা করেছেন। সামাজিকভাবে শায়েস্তা করতেই হিন্দু পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন আকমল হোসেন।