ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

দর্শনা প্রেসক্লাবে কেরুজ আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সম্মেলনকারীরা ঢলতার টাকা না পেলে আগামীতে বড় ধরণের আন্দোলন করে দাবি আদায়ের আহ্বান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে

zxdfgeastrwes

দর্শনা অফিস: কেরু চিনিকল মিল গেটস এলাকায় আঁখের মুল্যে বৃদ্ধি করা এবং ই-পূর্জি ও মোবাইল ব্যাংকিং, ২শিপ্ট মিল চালানো, সার কেলেঙ্কারী, চিনির কুপন ও চাষী হয়রানী বন্ধের দাবিতে আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থা গতকাল সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নান এক লিখিত বক্ত্যেবে বলেন, আমরা কেরুজ চিনিকল মিল গেট আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে অত্যন্ত গভীর বেদনাহত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ও কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বক্তব্য তুলে ধরে সম্মেলনকারীরা বলেন, গত ২৮/১১/২০১৬ তারিখে মিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেখেছেন তা সাধারণ ভাষা বলে মনে হচ্ছে না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ভাষাগুলো অনেক শব্দ সন্ত্রাসী ভাষার সামিল। আমরা খুব শান্ত ভাষায় শান্তভাবে কর্মসূচি দিয়ে আসছিলাম, আমাদের নায্য দাবি নিয়ে। অথচ আমাদের চাষীদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তাদের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছেন। আঁখের মুল্যে বৃদ্ধি, ই-পূর্জি ও মোবাইল ব্যাংকিং, ২সিপ্ট মিল চালানো, সার কেলেঙ্কারী, চিনির কুপন ও চাষী হয়রানীর কোন কথা বলেনি। অথচ পূর্জি ও মোবাইল ব্যাংকিং ভাল বলে গেছেন। বিগত কয়েকদি আগে ভূর্তিকির টাকা নেওয়ার বিষয়ে চাষীদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সামান্য কয়টাকা নেবার জন্য কেরুর দরজায় ঘুরে চরম হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ঢলতার টাকা আমাদের হাঁসপাতল নির্মানের জন্য শতভাগ নেওয়ার কথা। হাঁসপাতালের আংশিক কাজ শেষ করে এলাকার জনগনের উপকারের জন্য আমরা হাঁসপাতাল চালু করি। কেউ যদি মনে করেন হাঁসপাতাল চালু হয়েছে বলে হাসপাতালের নির্মান কাজশেষ হয়ে গেছে, তাহলে আমরা মনে করবো বোকার স্বর্গে বসবাস করেন। হাসপাতালের নকসা অনুযায়ী এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আর সেই বাকি কাজ সমাপ্ত করার জন্য আমরা ঢলতার টাকা দাবি করে আসছি। অথচ ঐ টাকা লুটপাট করে খেয়ে ফেলার কারণে আমাদের সাথে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করে আসছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট মূলোক বক্তব্য দিয়ে জনগনের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে সরে আসার হুমকি দিচ্ছে। হাসপাতালের নির্মান কাজ চালু হওয়ার আগে ঢলতার সমস্ত টাকা তারা লুটপাট করে খেয়েছে। আমাদের জিজ্ঞাসা হাসপাতাল নির্মান এর ব্যয় হয়েছে ১কোটি ৩৫ হাজার টাকা। সেখানে ঢলতার টাকা দিয়েছিল ২৯ লাখ টাকা। কিন্ত ঢলতার টাকা প্রকৃত পক্ষে চাষীদের টাকা। বাকি টাকা বিভিন্ন অনুদান নিয়ে এ হাসপাতালটি নির্মান হয়েছে। সেখানে তারা আরো বলেন মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল চিনিকলের প্রতিষ্ঠান। প্রকৃত পক্ষে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল কেরু চিনিকল মিলস গেট আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার। আমাদের কাছে তারা বক্তব্য এর ভাষা বোধগম্য হচ্ছে না যা বলে তাতে আদৌ আগামীতে আঁখচাষীরা আঁখ চাষ করবে কিনা ? আমাদের মনে হচ্ছে চাষীরা আঁখ চাষ বন্ধ করে দেবে। অতএব, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এতবড় মিথ্যা ভিত্তিহীন সন্ত্রাসমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা চাষীকূলের পক্ষ থেকে নিন্দা জ্ঞাপন ও ধিক্কার জানাচ্ছি। লিখিত বক্তব্য শেষে তারা আরো বলেন বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোশনের মাননীয় চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন ও কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন নিজেদের স্বার্থ দেখছেন। এরা র-সুগার মিলের এজেন্ট। এরা মিলকে ধ্বংস ও অচল করে বন্ধ করার পায়তারা করছেন। মিল কর্তৃপক্ষ বার বার আমাদের ঢলতার বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করছে। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্যর কাছে ঢলতার বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মেয়র মতিয়ার রহমানের কাছে এ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে। আমাদের কাছেও ঐ ঢলতার ১৬লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া সম্মেলনকারীরা আরো বলেন, আমাদের ন্যায্য বকেয়া ঢলতার টাকা না পেলে আগামীতে সকল আঁখচাষী ইউনিটে আঁখচাষীদের সাথে কথা বলে বড় ধরণের আনন্দোলন করে দাবি আদায় করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক ওমর আলী, চাষীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, আব্দুল বারী, আমির হোসেন, হুমায়ন আহম্মেদ, ফরিদ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল কাদের ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনা প্রেসক্লাবে কেরুজ আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সম্মেলনকারীরা ঢলতার টাকা না পেলে আগামীতে বড় ধরণের আন্দোলন করে দাবি আদায়ের আহ্বান

আপলোড টাইম : ০৫:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

zxdfgeastrwes

দর্শনা অফিস: কেরু চিনিকল মিল গেটস এলাকায় আঁখের মুল্যে বৃদ্ধি করা এবং ই-পূর্জি ও মোবাইল ব্যাংকিং, ২শিপ্ট মিল চালানো, সার কেলেঙ্কারী, চিনির কুপন ও চাষী হয়রানী বন্ধের দাবিতে আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থা গতকাল সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নান এক লিখিত বক্ত্যেবে বলেন, আমরা কেরুজ চিনিকল মিল গেট আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে অত্যন্ত গভীর বেদনাহত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ও কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বক্তব্য তুলে ধরে সম্মেলনকারীরা বলেন, গত ২৮/১১/২০১৬ তারিখে মিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেখেছেন তা সাধারণ ভাষা বলে মনে হচ্ছে না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ভাষাগুলো অনেক শব্দ সন্ত্রাসী ভাষার সামিল। আমরা খুব শান্ত ভাষায় শান্তভাবে কর্মসূচি দিয়ে আসছিলাম, আমাদের নায্য দাবি নিয়ে। অথচ আমাদের চাষীদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তাদের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছেন। আঁখের মুল্যে বৃদ্ধি, ই-পূর্জি ও মোবাইল ব্যাংকিং, ২সিপ্ট মিল চালানো, সার কেলেঙ্কারী, চিনির কুপন ও চাষী হয়রানীর কোন কথা বলেনি। অথচ পূর্জি ও মোবাইল ব্যাংকিং ভাল বলে গেছেন। বিগত কয়েকদি আগে ভূর্তিকির টাকা নেওয়ার বিষয়ে চাষীদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সামান্য কয়টাকা নেবার জন্য কেরুর দরজায় ঘুরে চরম হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ঢলতার টাকা আমাদের হাঁসপাতল নির্মানের জন্য শতভাগ নেওয়ার কথা। হাঁসপাতালের আংশিক কাজ শেষ করে এলাকার জনগনের উপকারের জন্য আমরা হাঁসপাতাল চালু করি। কেউ যদি মনে করেন হাঁসপাতাল চালু হয়েছে বলে হাসপাতালের নির্মান কাজশেষ হয়ে গেছে, তাহলে আমরা মনে করবো বোকার স্বর্গে বসবাস করেন। হাসপাতালের নকসা অনুযায়ী এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আর সেই বাকি কাজ সমাপ্ত করার জন্য আমরা ঢলতার টাকা দাবি করে আসছি। অথচ ঐ টাকা লুটপাট করে খেয়ে ফেলার কারণে আমাদের সাথে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করে আসছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট মূলোক বক্তব্য দিয়ে জনগনের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে সরে আসার হুমকি দিচ্ছে। হাসপাতালের নির্মান কাজ চালু হওয়ার আগে ঢলতার সমস্ত টাকা তারা লুটপাট করে খেয়েছে। আমাদের জিজ্ঞাসা হাসপাতাল নির্মান এর ব্যয় হয়েছে ১কোটি ৩৫ হাজার টাকা। সেখানে ঢলতার টাকা দিয়েছিল ২৯ লাখ টাকা। কিন্ত ঢলতার টাকা প্রকৃত পক্ষে চাষীদের টাকা। বাকি টাকা বিভিন্ন অনুদান নিয়ে এ হাসপাতালটি নির্মান হয়েছে। সেখানে তারা আরো বলেন মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল চিনিকলের প্রতিষ্ঠান। প্রকৃত পক্ষে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল কেরু চিনিকল মিলস গেট আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার। আমাদের কাছে তারা বক্তব্য এর ভাষা বোধগম্য হচ্ছে না যা বলে তাতে আদৌ আগামীতে আঁখচাষীরা আঁখ চাষ করবে কিনা ? আমাদের মনে হচ্ছে চাষীরা আঁখ চাষ বন্ধ করে দেবে। অতএব, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এতবড় মিথ্যা ভিত্তিহীন সন্ত্রাসমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা চাষীকূলের পক্ষ থেকে নিন্দা জ্ঞাপন ও ধিক্কার জানাচ্ছি। লিখিত বক্তব্য শেষে তারা আরো বলেন বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোশনের মাননীয় চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন ও কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন নিজেদের স্বার্থ দেখছেন। এরা র-সুগার মিলের এজেন্ট। এরা মিলকে ধ্বংস ও অচল করে বন্ধ করার পায়তারা করছেন। মিল কর্তৃপক্ষ বার বার আমাদের ঢলতার বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করছে। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্যর কাছে ঢলতার বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মেয়র মতিয়ার রহমানের কাছে এ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে। আমাদের কাছেও ঐ ঢলতার ১৬লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া সম্মেলনকারীরা আরো বলেন, আমাদের ন্যায্য বকেয়া ঢলতার টাকা না পেলে আগামীতে সকল আঁখচাষী ইউনিটে আঁখচাষীদের সাথে কথা বলে বড় ধরণের আনন্দোলন করে দাবি আদায় করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে আঁখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক ওমর আলী, চাষীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, আব্দুল বারী, আমির হোসেন, হুমায়ন আহম্মেদ, ফরিদ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল কাদের ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ।