মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিক্ষমতা
- আপলোড টাইম : ০৫:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৬
- / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা যে কত বড় জ্ঞানী, কত মহান কারিগর, তা আমরা তাঁর মানুষ সৃষ্টির দিকে গভীরভাবে তাকালে অনুধাবন করতে পারি। এক আল্লাহ তায়ালাই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু কেন তিনি মানুষের মধ্যে কাউকে সাদা কাউকে কালো আবার কাউকে ভিন্ন বর্ণের করে সৃষ্টি করলেন? আবু মুসা আশয়ারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আদমকে এক মুঠো মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং এই মাটি তিনি জমিনের সব জায়গা থেকে নিয়েছেন, যার কারণে আদম সন্তান হয়েছে জমিনের প্রকৃতির মতো, কেউ লাল, কেউ কালো, কেউ সাদা ও কেউ হলুদ ইত্যাকার নানা রঙের। এভাবে কেউ হয়েছে নরম স্বভাবের, কেউ হয়েছে কঠিন, কেউ ভালো, আবার কেউবা খারাপ।’ এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, মানুষের নানা বর্ণ ও তাদের স্বভাব আল্লাহর একান্ত সৃষ্টি ও মানুষের তাকদির অনুসারে হয়েছে। মানুষ হয়েছে তার উপাদানের ধরন অনুযায়ী, যেই মাটি থেকে সে সৃষ্ট ঠিক সেই মাটির মতো। কেননা, পৃথিবীর সব জায়গার মাটি এক বর্ণের নয়, বরং লাল, সাদা ও কালোÑ এ রকম নানা বর্ণের হয়ে থাকে। মাটির স্বভাবও বিভিন্ন ধরনের। কোথাও কঠিন ও রুক্ষ আবার কোথাও নরম কোমল। মানুষের স্বভাবও হয়েছে তেমন। এসবই আল্লাহর কুদরত ও মহান ক্ষমতার নির্দশন। তিনি চান সকল মানুষ তার ক্ষমতার অধীনে থাকুক। তিনি তার প্রজ্ঞা অনুসারে যেভাবে ইচ্ছা সৃষ্টি করতে পারেন। কেননা, তিনি যা চান, যেভাবে চান করতে পারেন। তিনি মানুষকে নানা বর্ণে বিভক্ত করে তার ক্ষমতার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। যেমন তিনি বলেন, ‘আর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতা। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য’ (সূরা রুম, আয়াত ২২)। আল্লামা শানকিতি (রহ.) বলেন, ‘এ ছাড়া একাধিক জায়গায় আল্লাহ তায়ালা পরিষ্কার ঘোষণা করেছেন যে, মানুষের রং ও বর্ণের পার্থক্য অথবা তার অন্যান্য সৃষ্টির মধ্যে তারতম্য আল্লাহর সৃষ্টিক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। এসব বস্তুর বিভিন্ন রং ও বর্ণ তার মহান সৃষ্টি ও নিখুঁত পরিকল্পনার ফসল।’