ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

মেহেরপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন জেল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৪১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

xcvd

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরে স্ত্রী হত্যার অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় স্বামী ফজলুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মো: রবিউল হাসান এ আদেশ দেন। যাবজ্জীবন দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী গাংনী উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের ফজলুর সাথে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে একই উপজেলার রুয়েরকান্দি গ্রামের মহাসিন আলীর মেয়ে সাবিনা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী একাধিক মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সাবিনা খাতুন প্রতিবাদ করায় ২০১৩ সালের ৩০ জুন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। এ ব্যাপারে গাংনী থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়। পরে ময়না তদন্ত রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নিহত সবিনা খাতুনের মামা আব্দুস সালাম বাদি হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৮। মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। মামলায় ৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মেহেরপুর মুক্ত দিবস পালনের লক্ষে ভট্টাচার্য এবং আসামী পক্ষে সাথী বোস আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেরপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন জেল

আপলোড টাইম : ০৬:৪১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

xcvd

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরে স্ত্রী হত্যার অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় স্বামী ফজলুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মো: রবিউল হাসান এ আদেশ দেন। যাবজ্জীবন দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী গাংনী উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের ফজলুর সাথে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে একই উপজেলার রুয়েরকান্দি গ্রামের মহাসিন আলীর মেয়ে সাবিনা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী একাধিক মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সাবিনা খাতুন প্রতিবাদ করায় ২০১৩ সালের ৩০ জুন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। এ ব্যাপারে গাংনী থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়। পরে ময়না তদন্ত রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নিহত সবিনা খাতুনের মামা আব্দুস সালাম বাদি হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৮। মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। মামলায় ৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মেহেরপুর মুক্ত দিবস পালনের লক্ষে ভট্টাচার্য এবং আসামী পক্ষে সাথী বোস আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।