ইপেপার । আজ সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় জেলা ভিত্তিক তিনদিনব্যাপি বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন আখেরী মোনাজাতে লাখো মুসল্লির ঢল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

 

Exif_JPEG_420
Exif_JPEG_420

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাখো মুসলীøর আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশ্ব ইজতেমার অংশ হিসেবে তাবলীগ জামায়াতের জেলা ভিত্তিক ইজতেমা গতকাল দুপুর ১২টা ৬মিনিট থেকে শুরু হয়ে ১২টা ১৮মিনিট পর্যন্ত আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। ঢাকা কাকরাইল মসজিদের খতিব এবং তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বী আলহাজ্ব মাও. জোবায়ের সাহেব আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন। চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও পাশ্ববর্তী মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও খুলনা এবং ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের ৭টি দেশের প্রায় ২লাখ মুসল্লীর আমিন ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে উঠে ইজতেমা ময়দান। ইজতেমাস্থল সংলগ্ন বাড়ীগুলোতে প্রায় ২০হাজার মা-বোন এই আখেরী মোনাজাতে অংশগ্রহন করে। মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সকাল থেকে পায়ে হেটে কেউবা গাড়ীতে করে ইজতেমাস্থলে আসেন এবং বেলা ১১টার আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় ভরে উঠে। ইজতেমাস্থলে পৌছাতে না পেরে হাজার হাজার মুসল্লী মহাসড়কে এবং আশেপাশের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা যায়। মুসল্লীরা চোখের পানি ফেলে খাসদীলে আল্লাহর কাছে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আখেরী মোনাজাতে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও রহমত কামনা করা হয়। ইজতেমায় তাওহীদ, রিসালত, দাওয়াত, সালাত ও জিকিরসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ৩দিন ধরে বয়ান করেন তাবলীগ মুরুব্বীরা। তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় ইন্তেজামিয়া কমিটির ব্যবস্থাপনায় চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজ পাড়া ও সবুজপাড়া সংলগ্ন মাঠে গত ২৪ নভেম্বর বাদ আছর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় চুয়াডাঙ্গার সর্ববৃহত্তম প্রথম আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা। পুরো ৩দিনে ইজতেমাস্থলে কোন অপ্রিিতকর ঘটনা ঘটেনি। আগত মুসল্লীরা পুলিশ প্রশাসন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাসহ আয়োজক কমিটিকে সুন্দর একটি ইজতেমা পরিচালনার জন্য আন্তরিক অভিবাদন জানায়। চুয়াডাঙ্গা শহরের সরকারী মহিলা কলেজপাড়া ও সবুজপাড়ার মাঠ সংলগ্ন ১৫০ একর জমির ওপর তাবলীগ জামায়াতের জেলা ভিত্তিক এই বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে সাধারণ মুসল্লীসহ ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রেখেছিলো পুলিশ প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধূরী জিপুকে ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষনিক তদারকি করতে দেখা গেছে। এমনকি গতরাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তারা ইজতেমা মাঠে অবস্থান করে ইজতেমা পরবর্তী উপস্থিত মুসল্লীদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার গতরাতে পুলিশী টহল রেখে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন বলে জানায় এলাকাবাসী। রাতে ইজতেমা মাঠ এলাকায় সরেজমিনে গেলে শুধু কয়েকজন দোকানী এবং কিছু তাবলীগের সেচ্ছাসেবক ও পুলিশী টহল লক্ষ্য করা যায়। রাতে ডিউটিতে থাকা এসআই খালিদ জানান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় এবং ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা ইজতেমা পরবর্তী যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে রাতে ডিউটি করছি। এএসপি(সার্কেল) ছূফী উল্লাহ স্যার ইজতেমা পরবর্তী নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং আমাদের টহল টিমের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। উল্লেখ্য, সদ্য শেষ হওয়া ইজতেমা মাঠে ৪৬০টি ল্যাট্রিন, ৭টি পানির হাউজ, ১৭টি টিউবওয়েল, ১৩০টি মাইক, ৩টি পর্যবেক্ষন কেন্দ্র, পুরো ময়দানজুড়ে ৩২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯০০ পুলিশ সদস্যকে পালাক্রমে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেখা গেছে এবং পুরো মাঠের সরঞ্জামাদি স্থানান্তরিত না করা পর্যন্ত পুলিশী টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় জেলা ভিত্তিক তিনদিনব্যাপি বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন আখেরী মোনাজাতে লাখো মুসল্লির ঢল

আপলোড টাইম : ০৩:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

 

Exif_JPEG_420
Exif_JPEG_420

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাখো মুসলীøর আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশ্ব ইজতেমার অংশ হিসেবে তাবলীগ জামায়াতের জেলা ভিত্তিক ইজতেমা গতকাল দুপুর ১২টা ৬মিনিট থেকে শুরু হয়ে ১২টা ১৮মিনিট পর্যন্ত আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। ঢাকা কাকরাইল মসজিদের খতিব এবং তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বী আলহাজ্ব মাও. জোবায়ের সাহেব আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন। চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও পাশ্ববর্তী মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও খুলনা এবং ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের ৭টি দেশের প্রায় ২লাখ মুসল্লীর আমিন ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে উঠে ইজতেমা ময়দান। ইজতেমাস্থল সংলগ্ন বাড়ীগুলোতে প্রায় ২০হাজার মা-বোন এই আখেরী মোনাজাতে অংশগ্রহন করে। মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সকাল থেকে পায়ে হেটে কেউবা গাড়ীতে করে ইজতেমাস্থলে আসেন এবং বেলা ১১টার আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় ভরে উঠে। ইজতেমাস্থলে পৌছাতে না পেরে হাজার হাজার মুসল্লী মহাসড়কে এবং আশেপাশের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা যায়। মুসল্লীরা চোখের পানি ফেলে খাসদীলে আল্লাহর কাছে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আখেরী মোনাজাতে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও রহমত কামনা করা হয়। ইজতেমায় তাওহীদ, রিসালত, দাওয়াত, সালাত ও জিকিরসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ৩দিন ধরে বয়ান করেন তাবলীগ মুরুব্বীরা। তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় ইন্তেজামিয়া কমিটির ব্যবস্থাপনায় চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজ পাড়া ও সবুজপাড়া সংলগ্ন মাঠে গত ২৪ নভেম্বর বাদ আছর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় চুয়াডাঙ্গার সর্ববৃহত্তম প্রথম আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা। পুরো ৩দিনে ইজতেমাস্থলে কোন অপ্রিিতকর ঘটনা ঘটেনি। আগত মুসল্লীরা পুলিশ প্রশাসন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাসহ আয়োজক কমিটিকে সুন্দর একটি ইজতেমা পরিচালনার জন্য আন্তরিক অভিবাদন জানায়। চুয়াডাঙ্গা শহরের সরকারী মহিলা কলেজপাড়া ও সবুজপাড়ার মাঠ সংলগ্ন ১৫০ একর জমির ওপর তাবলীগ জামায়াতের জেলা ভিত্তিক এই বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে সাধারণ মুসল্লীসহ ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রেখেছিলো পুলিশ প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধূরী জিপুকে ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষনিক তদারকি করতে দেখা গেছে। এমনকি গতরাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তারা ইজতেমা মাঠে অবস্থান করে ইজতেমা পরবর্তী উপস্থিত মুসল্লীদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার গতরাতে পুলিশী টহল রেখে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন বলে জানায় এলাকাবাসী। রাতে ইজতেমা মাঠ এলাকায় সরেজমিনে গেলে শুধু কয়েকজন দোকানী এবং কিছু তাবলীগের সেচ্ছাসেবক ও পুলিশী টহল লক্ষ্য করা যায়। রাতে ডিউটিতে থাকা এসআই খালিদ জানান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় এবং ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা ইজতেমা পরবর্তী যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে রাতে ডিউটি করছি। এএসপি(সার্কেল) ছূফী উল্লাহ স্যার ইজতেমা পরবর্তী নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং আমাদের টহল টিমের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। উল্লেখ্য, সদ্য শেষ হওয়া ইজতেমা মাঠে ৪৬০টি ল্যাট্রিন, ৭টি পানির হাউজ, ১৭টি টিউবওয়েল, ১৩০টি মাইক, ৩টি পর্যবেক্ষন কেন্দ্র, পুরো ময়দানজুড়ে ৩২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯০০ পুলিশ সদস্যকে পালাক্রমে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেখা গেছে এবং পুরো মাঠের সরঞ্জামাদি স্থানান্তরিত না করা পর্যন্ত পুলিশী টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানা গেছে।