ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি এলাকায় সুদ ব্যবসায়ীদের অধিপত্ত বিস্তার সুদের টাকা পরিশোধ করতে ভিটে ছাড়ার আশঙ্কা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নামে সমিতি, না আছে এদের সরকারী কোন অনুমতি, না এরা কোন এনজিও সংস্থা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এরা কোন প্রকার বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সুদের জমাট রমরমা ব্যবসা। অনেকটাই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের গল্পের মতই ঘটনা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের গড়াইটুপি এলাকার খাড়াগোদা, গড়াইটুপি, তেঘরী, জামলাপাড়া, খেজুরতলা, কালুপোল, গোষ্টবিহার। কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া এবং ঝিনাইদহ সদরের মোহাম্মদপুর, গোবিন্দপুর ও বংকিরা এলাকায় চলছে একচোটিয়া সুদি কারবার। এলাকার কয়েকজন মিলে কয়েক-টি সমিতির নামে একশো টাকায় মাসিক ১০ টাকা হারে এমন ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব সমিতির মধ্যে ভুক্তভোগি নিম্নবিত্তসহ জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য চাষী কৃষক। বিপদ আপদ ও কৃষি কাজে অনেকটাই বাধ্য হয়ে এমন টাকা না নিয়ে উপায়ও থাকেনা। কিন্তু এসব টাকা সমিতির নিয়মাবলিতে ছয় মাস পর সুদে আসলে পরিশোধ না দেখালে ঋণ-তো দূরের কথা বরং টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বাড়ির গরু ছাগল, এমনকি ঘরের টিন পর্যন্ত খুলে আনার গল্প রয়েছে। বর্তমান এই সব এলাকার অবস্থা ও এমন সমিতির মধ্যে যারা সুদি টাকা লেনদেনে জড়িয়ে রয়েছে অনেকটাই বাড়ি ছাড়ার মত ঘটনা। এমন ন্যাক্কার জনক সমিতির সুদের হাত দিনের পর দিন বেড়ে যাওয়াই এলাকা ও সামাজিক অবস্থা অবক্ষয়ের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। ফলে এমন সুদের কারবার ভাবিয়ে তুলছে অভিজ্ঞ মহলসহ সারা সমাজকে। তবে এসব কায়-কারবার ও নীতি নিয়মের মধ্যে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে কিছু রাঘব বোয়াল। যারা আকাবাঁকা লাইনগুলো সোঁজা করে থাকে। এসব সমিতির কায়-কারবার সমাজ থেকে সমূলে উচ্ছেদ হওয়ার অত্যবশ্যকিয় হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন লেনদেনের অভাবে অনেকে কিছুটা কষ্ট পেলেও বেচে যাবে গরু,  ছাগল, হাঁস, মুরগি, ঘরের টিন এমন কি বড় সম্পদ বলতে জায়গা জমি। কারণ, এমন ইতিহাসও অনেক সময় কাগজের পাতায় উঠে আসে। যা বন্ধ হওয়া দরকার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি এলাকায় সুদ ব্যবসায়ীদের অধিপত্ত বিস্তার সুদের টাকা পরিশোধ করতে ভিটে ছাড়ার আশঙ্কা!

আপলোড টাইম : ০৩:৪৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: নামে সমিতি, না আছে এদের সরকারী কোন অনুমতি, না এরা কোন এনজিও সংস্থা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এরা কোন প্রকার বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সুদের জমাট রমরমা ব্যবসা। অনেকটাই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের গল্পের মতই ঘটনা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের গড়াইটুপি এলাকার খাড়াগোদা, গড়াইটুপি, তেঘরী, জামলাপাড়া, খেজুরতলা, কালুপোল, গোষ্টবিহার। কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া এবং ঝিনাইদহ সদরের মোহাম্মদপুর, গোবিন্দপুর ও বংকিরা এলাকায় চলছে একচোটিয়া সুদি কারবার। এলাকার কয়েকজন মিলে কয়েক-টি সমিতির নামে একশো টাকায় মাসিক ১০ টাকা হারে এমন ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব সমিতির মধ্যে ভুক্তভোগি নিম্নবিত্তসহ জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য চাষী কৃষক। বিপদ আপদ ও কৃষি কাজে অনেকটাই বাধ্য হয়ে এমন টাকা না নিয়ে উপায়ও থাকেনা। কিন্তু এসব টাকা সমিতির নিয়মাবলিতে ছয় মাস পর সুদে আসলে পরিশোধ না দেখালে ঋণ-তো দূরের কথা বরং টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বাড়ির গরু ছাগল, এমনকি ঘরের টিন পর্যন্ত খুলে আনার গল্প রয়েছে। বর্তমান এই সব এলাকার অবস্থা ও এমন সমিতির মধ্যে যারা সুদি টাকা লেনদেনে জড়িয়ে রয়েছে অনেকটাই বাড়ি ছাড়ার মত ঘটনা। এমন ন্যাক্কার জনক সমিতির সুদের হাত দিনের পর দিন বেড়ে যাওয়াই এলাকা ও সামাজিক অবস্থা অবক্ষয়ের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। ফলে এমন সুদের কারবার ভাবিয়ে তুলছে অভিজ্ঞ মহলসহ সারা সমাজকে। তবে এসব কায়-কারবার ও নীতি নিয়মের মধ্যে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে কিছু রাঘব বোয়াল। যারা আকাবাঁকা লাইনগুলো সোঁজা করে থাকে। এসব সমিতির কায়-কারবার সমাজ থেকে সমূলে উচ্ছেদ হওয়ার অত্যবশ্যকিয় হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন লেনদেনের অভাবে অনেকে কিছুটা কষ্ট পেলেও বেচে যাবে গরু,  ছাগল, হাঁস, মুরগি, ঘরের টিন এমন কি বড় সম্পদ বলতে জায়গা জমি। কারণ, এমন ইতিহাসও অনেক সময় কাগজের পাতায় উঠে আসে। যা বন্ধ হওয়া দরকার।