ইসলামে সমাজ সংশোধন
- আপলোড টাইম : ০২:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬
- / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: সমাজব্যবস্থাকে সুন্দর করার ব্যাপারে আমাদের ভাবনার কোনো অন্ত নেই। এই সমাজ সুন্দর হলে আমাদের জীবন হবে সুন্দর, উপভোগ্য। সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করতে ইসলামেরও ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে ইসলাম এমন একটি দাওয়াই দিয়েছে যাতে সমাজব্যবস্থা পাল্টে যেতে বাধ্য। ইসলামের সেই দাওয়াইটি হলো তাকওয়া বা খোদাভীতি। এটি অনুসরণ করলে যে কোনো সমাজের চিত্র পাল্টে যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। শুধু কথার কথা না, পৃথিবীতে এর বাস্তব নমুনাও দেখা গেছে। তাকওয়ার বীজ মানুষের অন্তরে ঢুকিয়ে দিলে কোথাও কোনো অন্যায় কাজ হবে না। দুর্নীতি ও অনৈতিকতা থাকবে না। সমাজের সবখানে বিরাজ করবে শান্তি ও নিরাপত্তা। আজকে আমাদের সমাজের যে অবক্ষয় এর মূল কারণ হলো তাকওয়া বা খোদাভীতির অভাব। মানুষের ভেতরে যখন কোনো ভয় থাকে না তখনই সে হয়ে ওঠে বেপরোয়া। কারো অন্তরে ভয় থাকলে তার দ্বারা অন্যায় কাজ করা সম্ভব না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে, পাহারাদার বসিয়ে কখনো মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। অথচ কারও ভেতরে খোদাভীতি থাকলে তার জন্য কোনো আইনের দরকার নেই, নিজ তাগিদেই সব আইন মেনে চলবে। নিজের বিবেচনা বোধ থেকেই অন্যায় পথে পা বাড়াবে না। একদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে এই বোধ ও বিশ্বাস মানুষকে অন্যায় থেকে বিরত রাখতে পারে। তখন পার্থিব কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও সে অসৎ পথে পা বাড়ানোর সাহস করবে না। মুমিনের জীবনে বড় সম্পদ হচ্ছে তাকওয়া। যার ভেতরে তাকওয়া আছে সে নীরবে-নিভৃতেও অন্যায় কোনো কাজ করতে পারে না। পৃথিবীর সবার চোখ ফাঁকি দেয়া সম্ভব কিন্তু স্রষ্টার চোখ তো আর ফাঁকি দেয়া যাবে না- এই বোধটুকু কারও ভেতরে জাগরুক থাকলে তার জীবন সার্থক। দুনিয়ার আইন-কানুনের খড়গ আর তার লাগবে না। নিজ থেকে সঠিক পথে চলবে, অন্যায় থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবে। ইসলামের স্বর্ণযুগে যখন মানুষের মধ্যে খোদাভীতির শতভাগ উপস্থিতি ছিল তখন সমাজে অন্যায়ের পরিমাণ ছিল খুবই কম। মুসলিম জনগোষ্ঠী ইসলাম থেকে যত দূরে সরতে শুরু করেছে ততই তাদের মধ্যে বেড়েছে অন্যায়ের মাত্রা। আজকের মুসলমানদের অধঃপতনের অন্যতম কারণ খোদাভীতির অনুপস্থিতি।