গাংনীতে শিশু পরিস্থিতি বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র আশরাফ বখাটেদের বিচার করতে গিয়ে বিচারক এখন আসামী
- আপলোড টাইম : ০৩:১০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৬
- / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনীতে শিশু পরিস্থিতি বিষয়ক এক শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠানে গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম আশরাফ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনসিটিএফের সদস্যাদের বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন, বখাটেদের বিচার করতে গিয়ে বিচারক এখন আসামী হয়েছে। আমি জানি বকাটেরা কত খানি ভয়ঙ্কর হতে পারে। একজন পরীক্ষার্থীর বাবাকে মারধর করছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে নিরব থাকতে হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। বকাটেদের যদি কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি না দেওয়া যায় তাহলে ইভটিজিং বারতে থাকবে। ভ্রাম্যমান আদালতে যদি বিচার না করা হয় তাহলে এক সময় হয়তো বাল্য বিবাহ আরো বারতে থাকবে। সে সময় আইন দিয়েও বাল্য বিবাহ রোধ করা যাবে না। ছাত্রীদের চলাচলের পথ হতে হবে বাধা মুক্ত। তিনি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন আপনারা আপনাদের মেয়েকে স্কুলে পাঠান গার্ড দিয়ে আর গ্রামের একজন কৃষক পিতা সে তার মেয়েকে একা স্কুলে পাঠায় বিধায় তার মেয়েকে কোন বকাটে ইভটির্জিং করলে তার বাবার কিছু করার থাকে না। তখন এই উপজেলা প্রশাসনই সেই সব বকাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ দমনে উপজেলা নিবার্হী অফিসার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওনারা রাত দিন বিশ্রাম না নিয়ে, খেয়ে না খেয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। উপজেলার আইন শৃংখলার অবস্থা ঠিক রাখার জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে যদি কোন ব্যক্তির রষানলে পরেন কোন দায়িত্ববান ব্যক্তি। তখন আমাদের মত মানুষগুলো চুপ করে থাকতে পারে না। তিনি আরো বলেন, বকাটেদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে বিচার না হলে কয়দিন পর কোন মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যেতে পারবে না। তাই প্রশাসনের সকলের প্রতি তিনি আহবান জানান ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করার জন্য। গতকাল বুধবার দুপুরে গাংনী পৌর এনসিটি এফের আয়োজনে গাংনী উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম জামাল আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার ও প্রভাষক মহিবুর রহমান মিন্টু। আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর এনসিটি এফের সভাপতি আবু জায়ের, কাজিপুর ইউপি এনসিটি এফের সভাপতি লুবাবা আফরোজ মেধা, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির উপ প্রকল্প পরিচালক ইউনুস আলী, ইউপি সমন্বয়কারী ফারহানা ইয়াসমিন ও গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ। অনুষ্ঠানে উপজেলার এনসিটিএফের সদস্যারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দিতে গিয়ে জুগিরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসমিয়া খাতুন বলেন, বকাটেদের অত্যাচারে নিয়মিত স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়েদের শিষ দিয়ে বা হাত নেড়ে ইভটিজিং করে। এভাবে চলতে থাকলে পারিবাড়িক বা সামাজিকভাবে অভিযোগ করলে কয়দিন পর বাবা-মা আমাদের সম্মান বাঁচাতে বিয়ে দেয়। ইভটিজিং শিকার সবচেয়ে বেশি এমন জায়গায় নাম বলতে সর্ব প্রথমে বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের নাম আসে। তারপর যথাক্রমে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আর.বি.জি.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার এনসিটিএফের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।