ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করে দুই পা হারানো মামলা ১৩ আসামির অবশেষে আত্মসমর্পণ : নির্দেশ বাস্তবায়নে তৎপর পুলিশ
- আপলোড টাইম : ০৩:০৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৬
- / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করে দুই পা হারানো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামের কৃষক শাহানূর বিশ্বাসের ওপর হামলার ১৩ আসামি অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে ঝিনাইদহের আমলী আদালতের (কালীগঞ্জ) বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন আবেদন করেন। আসামীদের পক্ষে এ্যাড. শেখ আব্দুল্লাহ মিন্টু জামিনের আবেদন করলে শুনানী শেষ বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আসামিদের আত্মসমর্পনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার দুপুরে কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মেম্বর, একই গ্রামের বিল্লাল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, ইমদাদুল ইসলাম, হাসান আলী, মোতালেব হোসেন, টুকু মিয়াসহ ১৩জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে কামাল মেম্বরের বড় ভাই আজাদ ও লিখন নামের দুইজনকে চলতি মাসের ৭তারিখে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে আসামী লিখন আদালত থেকে জামিনে মুক্তিও পেয়েছেন। অপরদিকে বুধবার সকালে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান কালীগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি আলোচিত এ মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করেন। এ খবর জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। গত ১৬ অক্টোবর মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় নলভাঙ্গা গ্রামের কৃষক শাহানূর বিশ্বাসের ওপর হামলা চালায় যুবলীগ নেতা কামাল মেম্বরসহ তার দলবল। পরবর্তীতে শাহানুরের দুই পা কেটে ফেলতে হয়। গত ৯নভেম্বর কালীগঞ্জ থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন দুই পা হারানো শাহনুরের ভাই সামাউল ইসলাম। কিন্তু মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘরে বেড়াচ্ছিল। যুবলীগ করার কারণে পুলিশ তাদের ধরছিলো না। শাহানুরকে ভিটে ছাড়া করারও হুমকী দেয় আসামীরা। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হলে হামলার আসামিদের ৭২ঘন্টার মধ্যে কারাবন্দী করতে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাাহ’র দ্বৈত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশ প্রদান করেন। আদেশে ২৭ নভেম্বর এর মধ্যে আসামিদের কারাবন্দী করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে তৎপর হয় পুলিশ। ফলে বাধ্য হয়ে আলোচিত মামলার ১৩ আসামী বুধবার আদালতে আত্মসমর্পন করেন।