ইসলামে জীবনজীবিকা
- আপলোড টাইম : ০৬:১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৬
- / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: জীবনের এমন কোনো পর্যায় নেই যে ব্যাপারে ইসলাম আলোকপাত করেনি। এই ধারাবাহিকতায় মানুষের জীবিকা নির্বাহের পদ্ধতি সম্পর্কেও নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। প্রকৃত মুসলমান ব্যবসা করুক, দিনমজুরি করুক অথবা অন্য যে কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকুক তিনি কখনো দুনিয়াদার নন বরং দ্বীনদার। প্রিয় নবীজি (সা.)-এর পবিত্র জীবনধারা আমাদের জন্য নূরানি হেদায়াত। রাসুল (সা.) ছোটবেলায় জীবিকা নির্বাহের জন্য এক দিরহামের বিনিময়ে মক্কায় ছাগল চরিয়েছেন। একটু বড় হওয়ার পর ব্যবসায়িক উদ্দেশে সিরিয়ায় সফর করেছেন। হজরত খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসার পণ্য বিক্রির জন্য তিনি সফর করেছেন। শুধু আমাদের নবীই নন, হজরত মুসা (আ.) ছাগল চরিয়েছেন। হজরত দাউদ (আ.)-এর জীবিকার মাধ্যম ছিল অস্ত্র বানানো। আল্লাহ তায়ালা ওহীর মাধ্যমে তাকে অস্ত্র বানানোর শিক্ষা দিয়েছিলেন। হজরত নূহ (আ.) কে আল্লাহ তায়ালা নৌকা বানানোর শিল্প শিখিয়েছিলেন। মোটকথা, যে কোনো ধরনের ব্যবসা বা পেশা হোক এটা ইসলামে নিছক ব্যবসা বা পেশা নয়, দ্বীনেরও অংশ। এটা দ্বীনের ক্ষেত্রে উন্নতির মাধ্যমও বটে। তবে শর্ত হলো শরিয়তের গ-ির ভেতরে থেকে কাজ করতে হবে। আর শরিয়তের গ-ি কঠিন কিছু নয়; বরং অনেক সহজ। যে দুনিয়ার পেছনে দৌড়ায় দুনিয়া তাকে ধরা দেয় না। দৌড়ানোর অর্থ চেষ্টা করা নয় বরং সীমালঙ্ঘন করা। দুনিয়ার দৃষ্টান্ত হলো মানুষের ছায়ার মতো। মানুষ যত সামনে বাড়বে তার ছায়াও সামনে বাড়বে। এই ছায়াকে নিজের অনুগামী করার পদ্ধতি হলো উল্টো দিকে মোড় নিয়ে হাঁটতে থাকুন; দেখবেন ছায়াও আপনার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছে। দুনিয়ার ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই, যে দুনিয়াকে পেতে ব্যাকুল হয়ে এর পেছনে দৌড়াতে থাকে তাকে দুনিয়া কখনো ধরা দেয় না। ইসলাম বলেছে, দুনিয়াতে থাকার জন্য এর সঙ্গে জড়ানো যতটুকু দরকার ততটুকুই জড়াবে। এর বেশি নয়। দুনিয়া অর্জনের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়া; বৈধ-অবৈধ যে কোনো উপায়ে টাকা রোজগারের পথ বেছে নেয়া এটা ইসলাম সমর্থিত নয়। উপার্জনের প্রতিটি অংশ বৈধ হতে হবে। অবৈধ উপার্জনের পরিণতি ভয়াবহ। হাশরের ময়দানে উপার্জিত অর্থের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। সেই হিসাবে ধরা খেলে আর কোনো উপায় থাকবে না। এজন্য মুমিনের উপার্জন পদ্ধতি হতে হবে শরিয়ত নির্দেশিত পন্থায়।