ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

১০টাকা কেজি চাল বিক্রির হতদরিদ্রদের কার্ড বিতরণে অনিয়ম স্বজন প্রীতি ও দূর্নীতি গাংনীর কাথুলী ও কাজিপুর ইউপিতে দুঃস্থদের চাল বিত্তবানদের পেটে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৫১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে

Gangni pic-20-11-16

গাংনী অফিস: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাথুলী ও কাজিপুর ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০টাকা কেজি চাল বিক্রির হতদরিদ্রদের কার্ড বিতরণে অনিয়ম স্বজন প্রীতি ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুস্থদের তালিকায় রয়েছে বিত্তবানদের নাম। চাউল বিক্রি বন্ধ রেখে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছে উপজেলা প্রশাসন। তবে এ ক্ষেত্রেও দরিদ্রদের বাদ দেয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তালিকা প্রণয়নের অনিয়মের বিষয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যবৃন্দ। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণে সেপ্টেম্বর মাস থেকে সারাদেশে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়। এলক্ষ্যে গাংনী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেও তালিকা প্রস্তুত করে ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হয়। কাথুলী ইউপিতে ২৬৩ জনের মধ্যে ৫ জনকে পাওয়া যায়নি, ২ জন কাথুলী ইউপির বাসিন্দা নয়, একজন ভারতীয় এবং  ১০২ জন বিত্তবান। কাজিপুর ইউপিতে ৪৬৭ জনের মধ্যে কয়েকজনকে পাওয়া যয়নি ও ২০১ জন বিত্তবানদের তালিকার দেয়া হয়। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের চাল বিক্রির পর তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন দরিদ্রদের তালিকা যাচাই-বাছাই ও ডিলার নিয়োগ কমিটি। ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রকৃত দুস্থদের রেখে বাকিদের বাদ দেয়ার কাজ শুরু হলেও তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সংশ্লিষ্টরা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অফিসে বসেই তালিকা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কার্ড বঞ্চিতরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, কাথুলী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম কার্ড পেয়েছেন। তার নিজের নামে রয়েছে ২ বিঘা জমি, পালসার মোটরসাইকেল ও পাঁকা ছাদের বাড়ি। একই পাড়ার মৃত কলিমউদ্দীনের ছেলে সাহাব উদ্দীনের দোতলা পাকা বাড়ি, মোটরসাইকেল ও মাঠে ৩-৪ বিঘা জমি রয়েছে। তিনিও পেয়েছেন দুস্থদের কার্ড। একইভাবে ফরিদের ছেলে কিছমত, জমির উদ্দীনের ছেলে হায়দার আলী কার্ড পেয়েছেন রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের কল্যাণে। অপরদিকে রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের মহিলা মেম্বর সাহানারা  নিজের নামসহ পরিবারের নামে একাধীক কার্ড করে চাল সংগ্রহ করেছেন। গাড়াবাড়িয়ার মেম্বর মহব্বত আলী দুস্থদের নাম বাদ দিয়ে নির্বাচনে চেয়ারম্যানের অনুগতদের নামে কার্ড দিয়েছেন। গ্রামের আব্দুলের  ছেলে রুহুল আমিন রাইস মিল মালিক। মাঠে রয়েছে ৫ বিঘা জমি। তিনিও পেয়েছেন কার্ড। একই গ্রামের আব্দুল হামেদ এর ছেলে পল্টুর রয়েছে ব্যবসাসহ মাঠে রয়েছে ১৫-২০ বিঘা জমি , একই পাড়ার আনছার আলীর ছেলে মিজারুল মিরুজের বড় আলিশান পাকা বাড়ি, গরু ও ছাগলের ফার্ম মাঠে রয়েছে জমি। এরাও বঞ্চিত হননি দুস্থদের কার্ড থেকে। সহগোলপুর গ্রামের মেম্বর কোবাদ আলী যাদের কার্ড দিয়েছেন তারা হলেন, গ্রামের মৃত সালেহ উদ্দীনের ছেলে সামসুল হুদা, হান্নানের ছেলে মুবাদ আলী, টুটুল মিয়া। এছাড়াও রাধাগোবিন্দপুর ধলার ৩ জনকে পাওয়া যায়নি। এরা সবাই বিত্তবান ও পাঁকা বাড়ি গাড়ি ও জমির মালিক। শুধু তাই নয় এদের বাড়ির তামাকের চুল্লিও ইটের তৈরী এবং প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে গোলা ভরা ধান। গাড়াবাড়িয়া ইউপি মেম্বর মহব্বত আলী বলেন, চেয়ারম্যানের ভোট যারা করেছে, তাদের বিষয়টি দেখতে হয়েছে। সহগোলপুর ইউপি সদস্য কোবাদ আলী জানান, আত্মীয় স্বজনদেরকে দেখতে হয় তাছাড়া যারা আপদে বিপদে কাজে লাগে তাদের স্বার্থটিও বিবেচিত। রাধাগোবিন্দপুর ধলা ইউপি সদস্য ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে ২৬৩ টি কার্ড আসে। চেয়ারম্যান নিজে নিয়েছেন ১২০টি কার্ড। এগুলো তিনি দিয়েছেন যারা তার ভোট করেছেন তাদের। আমি পেয়েছি মাত্র ১৪টি। কার্ড ধারী পাওয়া যায়নি এটা ঠিক নয়। তবে সেগুলো চেয়ারম্যান দিয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান নামের ভুলে এগুলো হয়ে থাকতে পারে। এদিকে কাজিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর মোহন তার স্ত্রী আনোয়ারা ও মেয়ে রুমিয়া খাতুনের নামে কার্ড সরবরাহ করেছেন। মেয়ে জামাতা সিঙ্গাপুরে থাকেন। নিজেও প্রভাবশালী। ১নম্বর ওয়ার্ডের শফি ও তার ছেলে আইনাল হককে কার্ড দিয়েছেন চেয়ারম্যান রাহাতুল্যা নিজেই। এদের রয়েছে মাঠান জমি ও পাঁকা বাড়ি।  অথচ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মিরাজ মিয়ার স্ত্রী জেসমিন টগর, মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মালেকা খাতুন ও ফিরোজা খাতুন। বাদ পড়া কেউ ভ্যান চালক, দিনমজুর ও কাঠুরে। ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর ভবানীপুর গ্রামের আনারুল ইসলাম তালিকা প্রণয়নে চরম অনিয়ম করেছেন। বিত্তবানদের নামে কার্ড দেয়ার পাশাপাশি অফিস খরচ হিসেবে একেকটি কার্ডের বিপরীতে তিনি নিয়েছেন এক থেকে দুই হাজার টাকা। তবে আনারুল মেম্বর বলেছেন এসব কাজে খরচ হয় তাই কিছুটাকা নেয়া হয়। নির্বাচনে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে অনেক টাকা খরচ করেছি। ওই টাকা কি জমি বেচে শোধ করবো ? এ ব্যাপারে কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা কোন মন্তব্য না করেই বিষয়টি এড়িয়ে যাবার অনুরোধ করেন। কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাতুল্লাহ জানান, আমি করো নামের তালিকা দেয়নি। মেম্বররা যে তালিকা দিয়েছে তাই স্বাক্ষর করে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নের ডিলারদের চাল বিতরণ মনিটরিং করার জন্য ইতোমধ্যে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। কোথাও কোন অনিয়ম, অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

১০টাকা কেজি চাল বিক্রির হতদরিদ্রদের কার্ড বিতরণে অনিয়ম স্বজন প্রীতি ও দূর্নীতি গাংনীর কাথুলী ও কাজিপুর ইউপিতে দুঃস্থদের চাল বিত্তবানদের পেটে

আপলোড টাইম : ০২:৫১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬

Gangni pic-20-11-16

গাংনী অফিস: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাথুলী ও কাজিপুর ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০টাকা কেজি চাল বিক্রির হতদরিদ্রদের কার্ড বিতরণে অনিয়ম স্বজন প্রীতি ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুস্থদের তালিকায় রয়েছে বিত্তবানদের নাম। চাউল বিক্রি বন্ধ রেখে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছে উপজেলা প্রশাসন। তবে এ ক্ষেত্রেও দরিদ্রদের বাদ দেয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তালিকা প্রণয়নের অনিয়মের বিষয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যবৃন্দ। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণে সেপ্টেম্বর মাস থেকে সারাদেশে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়। এলক্ষ্যে গাংনী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেও তালিকা প্রস্তুত করে ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হয়। কাথুলী ইউপিতে ২৬৩ জনের মধ্যে ৫ জনকে পাওয়া যায়নি, ২ জন কাথুলী ইউপির বাসিন্দা নয়, একজন ভারতীয় এবং  ১০২ জন বিত্তবান। কাজিপুর ইউপিতে ৪৬৭ জনের মধ্যে কয়েকজনকে পাওয়া যয়নি ও ২০১ জন বিত্তবানদের তালিকার দেয়া হয়। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের চাল বিক্রির পর তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন দরিদ্রদের তালিকা যাচাই-বাছাই ও ডিলার নিয়োগ কমিটি। ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রকৃত দুস্থদের রেখে বাকিদের বাদ দেয়ার কাজ শুরু হলেও তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সংশ্লিষ্টরা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অফিসে বসেই তালিকা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কার্ড বঞ্চিতরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, কাথুলী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম কার্ড পেয়েছেন। তার নিজের নামে রয়েছে ২ বিঘা জমি, পালসার মোটরসাইকেল ও পাঁকা ছাদের বাড়ি। একই পাড়ার মৃত কলিমউদ্দীনের ছেলে সাহাব উদ্দীনের দোতলা পাকা বাড়ি, মোটরসাইকেল ও মাঠে ৩-৪ বিঘা জমি রয়েছে। তিনিও পেয়েছেন দুস্থদের কার্ড। একইভাবে ফরিদের ছেলে কিছমত, জমির উদ্দীনের ছেলে হায়দার আলী কার্ড পেয়েছেন রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের কল্যাণে। অপরদিকে রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের মহিলা মেম্বর সাহানারা  নিজের নামসহ পরিবারের নামে একাধীক কার্ড করে চাল সংগ্রহ করেছেন। গাড়াবাড়িয়ার মেম্বর মহব্বত আলী দুস্থদের নাম বাদ দিয়ে নির্বাচনে চেয়ারম্যানের অনুগতদের নামে কার্ড দিয়েছেন। গ্রামের আব্দুলের  ছেলে রুহুল আমিন রাইস মিল মালিক। মাঠে রয়েছে ৫ বিঘা জমি। তিনিও পেয়েছেন কার্ড। একই গ্রামের আব্দুল হামেদ এর ছেলে পল্টুর রয়েছে ব্যবসাসহ মাঠে রয়েছে ১৫-২০ বিঘা জমি , একই পাড়ার আনছার আলীর ছেলে মিজারুল মিরুজের বড় আলিশান পাকা বাড়ি, গরু ও ছাগলের ফার্ম মাঠে রয়েছে জমি। এরাও বঞ্চিত হননি দুস্থদের কার্ড থেকে। সহগোলপুর গ্রামের মেম্বর কোবাদ আলী যাদের কার্ড দিয়েছেন তারা হলেন, গ্রামের মৃত সালেহ উদ্দীনের ছেলে সামসুল হুদা, হান্নানের ছেলে মুবাদ আলী, টুটুল মিয়া। এছাড়াও রাধাগোবিন্দপুর ধলার ৩ জনকে পাওয়া যায়নি। এরা সবাই বিত্তবান ও পাঁকা বাড়ি গাড়ি ও জমির মালিক। শুধু তাই নয় এদের বাড়ির তামাকের চুল্লিও ইটের তৈরী এবং প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে গোলা ভরা ধান। গাড়াবাড়িয়া ইউপি মেম্বর মহব্বত আলী বলেন, চেয়ারম্যানের ভোট যারা করেছে, তাদের বিষয়টি দেখতে হয়েছে। সহগোলপুর ইউপি সদস্য কোবাদ আলী জানান, আত্মীয় স্বজনদেরকে দেখতে হয় তাছাড়া যারা আপদে বিপদে কাজে লাগে তাদের স্বার্থটিও বিবেচিত। রাধাগোবিন্দপুর ধলা ইউপি সদস্য ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে ২৬৩ টি কার্ড আসে। চেয়ারম্যান নিজে নিয়েছেন ১২০টি কার্ড। এগুলো তিনি দিয়েছেন যারা তার ভোট করেছেন তাদের। আমি পেয়েছি মাত্র ১৪টি। কার্ড ধারী পাওয়া যায়নি এটা ঠিক নয়। তবে সেগুলো চেয়ারম্যান দিয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান নামের ভুলে এগুলো হয়ে থাকতে পারে। এদিকে কাজিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর মোহন তার স্ত্রী আনোয়ারা ও মেয়ে রুমিয়া খাতুনের নামে কার্ড সরবরাহ করেছেন। মেয়ে জামাতা সিঙ্গাপুরে থাকেন। নিজেও প্রভাবশালী। ১নম্বর ওয়ার্ডের শফি ও তার ছেলে আইনাল হককে কার্ড দিয়েছেন চেয়ারম্যান রাহাতুল্যা নিজেই। এদের রয়েছে মাঠান জমি ও পাঁকা বাড়ি।  অথচ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মিরাজ মিয়ার স্ত্রী জেসমিন টগর, মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মালেকা খাতুন ও ফিরোজা খাতুন। বাদ পড়া কেউ ভ্যান চালক, দিনমজুর ও কাঠুরে। ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর ভবানীপুর গ্রামের আনারুল ইসলাম তালিকা প্রণয়নে চরম অনিয়ম করেছেন। বিত্তবানদের নামে কার্ড দেয়ার পাশাপাশি অফিস খরচ হিসেবে একেকটি কার্ডের বিপরীতে তিনি নিয়েছেন এক থেকে দুই হাজার টাকা। তবে আনারুল মেম্বর বলেছেন এসব কাজে খরচ হয় তাই কিছুটাকা নেয়া হয়। নির্বাচনে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে অনেক টাকা খরচ করেছি। ওই টাকা কি জমি বেচে শোধ করবো ? এ ব্যাপারে কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা কোন মন্তব্য না করেই বিষয়টি এড়িয়ে যাবার অনুরোধ করেন। কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাতুল্লাহ জানান, আমি করো নামের তালিকা দেয়নি। মেম্বররা যে তালিকা দিয়েছে তাই স্বাক্ষর করে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নের ডিলারদের চাল বিতরণ মনিটরিং করার জন্য ইতোমধ্যে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। কোথাও কোন অনিয়ম, অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।