ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

কোটালী দর্শনা মৎস্যজীবি সমিতির নতুন ৪০জন সদস্যই ভূয়া! মৎস্যজীবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে

asdনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কোটালী দর্শনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আজগার আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পেশার মানুষদের মৎস্যজীবি বানিয়ে জলমহল ইজারাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত মৎস্যজীবিদের বাইরে রেখে ভূয়া মৎস্যজীবিদের নিয়ে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি এককভাবে সুবিধাভোগের কারণে এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবিরা হচ্ছে বঞ্চিত। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা সমবায় অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার প্রকৃত স্মার্টকার্ডপ্রাপ্ত মৎস্যজীবিরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে  জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের গহর আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার আজগার আলী কোটালী দর্শনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষদের মৎস্যজীবি সাজিয়ে ভূয়া মৎস্যজীবি সংগঠন খুলে সরকারী জলমহল ইজারাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। ফলে এলাকার প্রকৃত স্মার্টকার্ডপ্রাপ্ত মৎস্যজীবিরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সু-চতুর আজগার আলী কৌশলে পুরাতন সদস্যদের বাইপাস করে নতুন করে ৪০জন বিভিন্ন পেশার মানুষদের মৎস্যজীবি বানানোর জন্য ইতোমধ্যেই দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। ৪০জন নয়া মৎস্যজীবির প্রকৃত নামসহ পেশা উল্লেখ করা হল। কোটালী দর্শনা মৎস্যজীবি সমিতির  ১নং সদস্য ও সমিতির সভাপতি কোটালী গ্রামের গহর আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত দালাল ও রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার আজগার আলী নিজেই, ২নং সদস্য একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সেলিমের মুল পেশা তদবীরকারক বা বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে দালালী করা। সেলিম কিছুদিন পূর্বেও কৃষি ব্যাংক হিজলগাড়ী শাখায় দালালী করত। সে সময় স্থানীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হবার ফলে দালালী পেশা ছেড়ে বর্তমানে চাষাবাদ করে। বর্তমানে সে নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী। ৩নং সদস্য কোটালী গ্রামের ফয়জুল্লাহর ছেলে জামাল উদ্দিন পেশায় একজন কৃষক, ৪ নং সদস্য কোটালী গ্রামের দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে আশরাফ আলী ঝিনাইদহে গ্লোবাল কোম্পানীতে দীর্ঘদিন যাবত চাকুরী করে, ৫নং সদস্য একই গ্রামের সাবদাল আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলীর পেশা চাষাবাদ, ৬নং সদস্য দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে ইনছান আলী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকাতে চাকুরী করে, ৭নং সদস্য একই গ্রামের আত্তাব আলীর ছেলে আশরাফ আলী একজন বর্গা চাষী, ৮নং সদস্য কাদের বকস এর ছেলে মোজাফফর হোসেন একজন দিনমুজুর, ৯নং সদস্য ইদ্রিস আলী বিভিন্ন মাদরাসার চাঁদা উত্তোলনকারী হিসেবে ট্রেন-বাসে টাকা উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে, ১০নং সদস্য শৈলমারী গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে আমির হোসেন পেশায় একজন কৃষক, ১১নং সদস্য কোটালী গ্রামের নছর আলীর ছেলে আঃ ওহাব পেশায় রাজমিস্ত্রী, ১২নং সদস্য শৈলমারী গ্রামের খাইরুল হোসেন ৩ বছর পূর্বে মারা গেলেও আজগার আলী নতুন মৎস্যজীবির তালিকায় তার নাম নিবন্ধনের জন্য সমিতির রেজিষ্টারে নাম উল্লেখ করেছেন, ১৩নং সদস্য আলতাফ আলীর ছেলে সেলিম একজন বেকার যুবক, ১৪ নং সদস্য আনিছুর একজন দুধ বিক্রেতা, ১৫নং সদস্য মোরশেদ আলী কাঠের ব্যবসায়ী, ১৬নং সদস্য কোটালী গ্রামের শাহীন একজন লেদমিস্ত্রি হলেও বর্তমানে কামারের কাজ করে কোটালী বাজারে, ১৭নং সদস্য আহাদ আলী একজন দিনমুজুর, ১৮নং সদস্য শৈলমারী গ্রামের নাজিম উদ্দিন ইটভাটার ম্যানেজার, ১৯নং নিজাম উদ্দিনও ৩ বছর পূর্বে মারা গেছেন, ২০নং সদস্য সেলিম মিয়া চাষাবাদ করে, ২১নং সদস্য মফিজ উদ্দিন ভূষিমাল, স’মিল, ডিস ব্যবসায়ী, ২২ নং সদস্য আজিজুল দিনমুজুর, ২৩ নং সদস্য মোস্তাফিজুর ঢাকাতে চাকুরী করে, ২৪নং সদস্য রফিকুল একজন কৃষক, ২৫নং সদস্য শহিদুল দুধ বিক্রেতা, ২৬নং সদস্য ইলিয়াছ হোসেন দিনমুজুর, ২৭নং সদস্য আব্দুল লতিফ একজন পেশাদার রাজমিস্ত্রী, ২৮নং সদস্য রাজ্জাক পেশায় দিনমুজুর, ২৯ নং সদস্য রাশেদ আলী বেকার যুবক, ৩০ নং সদস্য আব্দুল গনি রাইচ মিল চালক, ৩১নং সদস্য আক্তারুল ইসলাম দিনমুজুর, ৩২নং সদস্য মোমিন আলীর পেশা রাজমিস্ত্রী, ৩৩নং সদস্য হিজলগাড়ী স্কুলপাড়ার আমির আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী হিজলগাড়ী বাজারের ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রি ও গান ডাউনলোডের দোকানদার তবে এ বছর একটি পুকুর লিজ নিয়ে পাটনারে মাছ চাষ করছে, ৩৪নং সদস্য  জহিরুল পেশায় ছাত্র, ৩৫নং সদস্য ইসমাইল হোসেন হিজলগাড়ী গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের একমাত্র পুত্র। পূর্বে বাজারে হোটেল ব্যবসা করলেও বর্তমানে বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান ভাড়া চলেন, তার একটি পুকুর থাকলেও সেটি বর্গা দেওয়া হয় প্রতিবছর, ৩৬নং সদস্য মনজুর আহম্মেদ বর্তমানে বেকার তবে পূর্বে ঔষধের ব্যবসা করতো, ৩৭নং সদস্য হিজলগাড়ী গ্রামের শাহাবুদ্দিন ওরফে হেবা ডাক্তারের ছেলে যুবলীগ নেতা শাহীন আহম্মেদ ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী। যুবলীগ নেতা হওয়ায় বিএনপি নেতা দালাল আজগার আলী বর্তমানে শাহীনকে মৎস্যজীবি বানিয়ে বিলের পাটনারশীপ করার প্রলোভন দেখিয়ে নয়া মৎস্যজীবি সাজানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি শাহীনকে দিয়ে ক্ষমতাশীন দলের কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা ও ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী শাহীনের চাষাবাদের কোন জমিজমা নেই। মাছ ধরা কিংবা মাছ চাষ তো দূরের কথা সে কোনদিন অন্যান্য চাষাবাদ করেছে এমন নজিরও এলাকায় নেই। জনশ্রুতি রয়েছে সে নাকি আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীও হবে। ৩৮নং সদস্য আবু সামা হিজলগাড়ী গ্রামের কাদের মন্ডলের বড় ছেলে। তার মুল পেশা চাষাবাদ। ৩৯নং সদস্য কোটালী গ্রামের লিয়াকত আলী আজগারের বাড়ীর  সামনের চাষের দোকানদার, ৪০ নং সদস্য কোটালী গ্রামের রহিম একজন দিনমুজুর। জনমহাল নীতিমালায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, যিনি প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তিনিই প্রকৃত মৎস্যজীবি। স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার অনুসন্ধানে বের হয়ে আসা এসব ভূয়া নয়া মৎস্যজীবিদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্য অফিস ও জেলা সমবায় অফিস এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কোটালী দর্শনা মৎস্যজীবি সমিতির নতুন ৪০জন সদস্যই ভূয়া! মৎস্যজীবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

আপলোড টাইম : ০২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬

asdনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কোটালী দর্শনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আজগার আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পেশার মানুষদের মৎস্যজীবি বানিয়ে জলমহল ইজারাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত মৎস্যজীবিদের বাইরে রেখে ভূয়া মৎস্যজীবিদের নিয়ে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি এককভাবে সুবিধাভোগের কারণে এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবিরা হচ্ছে বঞ্চিত। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা সমবায় অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার প্রকৃত স্মার্টকার্ডপ্রাপ্ত মৎস্যজীবিরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে  জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের গহর আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার আজগার আলী কোটালী দর্শনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষদের মৎস্যজীবি সাজিয়ে ভূয়া মৎস্যজীবি সংগঠন খুলে সরকারী জলমহল ইজারাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। ফলে এলাকার প্রকৃত স্মার্টকার্ডপ্রাপ্ত মৎস্যজীবিরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সু-চতুর আজগার আলী কৌশলে পুরাতন সদস্যদের বাইপাস করে নতুন করে ৪০জন বিভিন্ন পেশার মানুষদের মৎস্যজীবি বানানোর জন্য ইতোমধ্যেই দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। ৪০জন নয়া মৎস্যজীবির প্রকৃত নামসহ পেশা উল্লেখ করা হল। কোটালী দর্শনা মৎস্যজীবি সমিতির  ১নং সদস্য ও সমিতির সভাপতি কোটালী গ্রামের গহর আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত দালাল ও রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার আজগার আলী নিজেই, ২নং সদস্য একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সেলিমের মুল পেশা তদবীরকারক বা বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে দালালী করা। সেলিম কিছুদিন পূর্বেও কৃষি ব্যাংক হিজলগাড়ী শাখায় দালালী করত। সে সময় স্থানীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হবার ফলে দালালী পেশা ছেড়ে বর্তমানে চাষাবাদ করে। বর্তমানে সে নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী। ৩নং সদস্য কোটালী গ্রামের ফয়জুল্লাহর ছেলে জামাল উদ্দিন পেশায় একজন কৃষক, ৪ নং সদস্য কোটালী গ্রামের দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে আশরাফ আলী ঝিনাইদহে গ্লোবাল কোম্পানীতে দীর্ঘদিন যাবত চাকুরী করে, ৫নং সদস্য একই গ্রামের সাবদাল আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলীর পেশা চাষাবাদ, ৬নং সদস্য দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে ইনছান আলী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকাতে চাকুরী করে, ৭নং সদস্য একই গ্রামের আত্তাব আলীর ছেলে আশরাফ আলী একজন বর্গা চাষী, ৮নং সদস্য কাদের বকস এর ছেলে মোজাফফর হোসেন একজন দিনমুজুর, ৯নং সদস্য ইদ্রিস আলী বিভিন্ন মাদরাসার চাঁদা উত্তোলনকারী হিসেবে ট্রেন-বাসে টাকা উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে, ১০নং সদস্য শৈলমারী গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে আমির হোসেন পেশায় একজন কৃষক, ১১নং সদস্য কোটালী গ্রামের নছর আলীর ছেলে আঃ ওহাব পেশায় রাজমিস্ত্রী, ১২নং সদস্য শৈলমারী গ্রামের খাইরুল হোসেন ৩ বছর পূর্বে মারা গেলেও আজগার আলী নতুন মৎস্যজীবির তালিকায় তার নাম নিবন্ধনের জন্য সমিতির রেজিষ্টারে নাম উল্লেখ করেছেন, ১৩নং সদস্য আলতাফ আলীর ছেলে সেলিম একজন বেকার যুবক, ১৪ নং সদস্য আনিছুর একজন দুধ বিক্রেতা, ১৫নং সদস্য মোরশেদ আলী কাঠের ব্যবসায়ী, ১৬নং সদস্য কোটালী গ্রামের শাহীন একজন লেদমিস্ত্রি হলেও বর্তমানে কামারের কাজ করে কোটালী বাজারে, ১৭নং সদস্য আহাদ আলী একজন দিনমুজুর, ১৮নং সদস্য শৈলমারী গ্রামের নাজিম উদ্দিন ইটভাটার ম্যানেজার, ১৯নং নিজাম উদ্দিনও ৩ বছর পূর্বে মারা গেছেন, ২০নং সদস্য সেলিম মিয়া চাষাবাদ করে, ২১নং সদস্য মফিজ উদ্দিন ভূষিমাল, স’মিল, ডিস ব্যবসায়ী, ২২ নং সদস্য আজিজুল দিনমুজুর, ২৩ নং সদস্য মোস্তাফিজুর ঢাকাতে চাকুরী করে, ২৪নং সদস্য রফিকুল একজন কৃষক, ২৫নং সদস্য শহিদুল দুধ বিক্রেতা, ২৬নং সদস্য ইলিয়াছ হোসেন দিনমুজুর, ২৭নং সদস্য আব্দুল লতিফ একজন পেশাদার রাজমিস্ত্রী, ২৮নং সদস্য রাজ্জাক পেশায় দিনমুজুর, ২৯ নং সদস্য রাশেদ আলী বেকার যুবক, ৩০ নং সদস্য আব্দুল গনি রাইচ মিল চালক, ৩১নং সদস্য আক্তারুল ইসলাম দিনমুজুর, ৩২নং সদস্য মোমিন আলীর পেশা রাজমিস্ত্রী, ৩৩নং সদস্য হিজলগাড়ী স্কুলপাড়ার আমির আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী হিজলগাড়ী বাজারের ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রি ও গান ডাউনলোডের দোকানদার তবে এ বছর একটি পুকুর লিজ নিয়ে পাটনারে মাছ চাষ করছে, ৩৪নং সদস্য  জহিরুল পেশায় ছাত্র, ৩৫নং সদস্য ইসমাইল হোসেন হিজলগাড়ী গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের একমাত্র পুত্র। পূর্বে বাজারে হোটেল ব্যবসা করলেও বর্তমানে বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান ভাড়া চলেন, তার একটি পুকুর থাকলেও সেটি বর্গা দেওয়া হয় প্রতিবছর, ৩৬নং সদস্য মনজুর আহম্মেদ বর্তমানে বেকার তবে পূর্বে ঔষধের ব্যবসা করতো, ৩৭নং সদস্য হিজলগাড়ী গ্রামের শাহাবুদ্দিন ওরফে হেবা ডাক্তারের ছেলে যুবলীগ নেতা শাহীন আহম্মেদ ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী। যুবলীগ নেতা হওয়ায় বিএনপি নেতা দালাল আজগার আলী বর্তমানে শাহীনকে মৎস্যজীবি বানিয়ে বিলের পাটনারশীপ করার প্রলোভন দেখিয়ে নয়া মৎস্যজীবি সাজানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি শাহীনকে দিয়ে ক্ষমতাশীন দলের কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা ও ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী শাহীনের চাষাবাদের কোন জমিজমা নেই। মাছ ধরা কিংবা মাছ চাষ তো দূরের কথা সে কোনদিন অন্যান্য চাষাবাদ করেছে এমন নজিরও এলাকায় নেই। জনশ্রুতি রয়েছে সে নাকি আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীও হবে। ৩৮নং সদস্য আবু সামা হিজলগাড়ী গ্রামের কাদের মন্ডলের বড় ছেলে। তার মুল পেশা চাষাবাদ। ৩৯নং সদস্য কোটালী গ্রামের লিয়াকত আলী আজগারের বাড়ীর  সামনের চাষের দোকানদার, ৪০ নং সদস্য কোটালী গ্রামের রহিম একজন দিনমুজুর। জনমহাল নীতিমালায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, যিনি প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তিনিই প্রকৃত মৎস্যজীবি। স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার অনুসন্ধানে বের হয়ে আসা এসব ভূয়া নয়া মৎস্যজীবিদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্য অফিস ও জেলা সমবায় অফিস এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।