ঝিনাইদহের বাশিদেবপুরের ভিক্ষুক হারুনের জীবনকাহিনী পঙ্গু হওয়া সত্যেও কোন কার্ড জোটেনি কপালে!
- আপলোড টাইম : ০৯:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৬
- / ৮৫৩ বার পড়া হয়েছে
আকিমুল ইসলাম: পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষই কোননা কোন পেশার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে চাই। কেউ বড় ধরনের অফিসে চাকরি করে আবার কেউ দিনমজুর হিসেবে মাঠে কাজ করে তবে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট কাজের তালিকায় আছে অন্যের কাছে দুহাত পেতে ভিক্ষা করা। তবে ভিক্ষা কেউই নিজেস্ব ইচ্ছার মধ্য দিয়ে করতে চায় না পরিস্থিতির কবলে পড়ে তা করতে হয় ইংরেজীতে একটি কথা আছে “টিট ফর ট্যাট”। তবে সবার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। তবে অনেক মানুষ আছে যাদের হাত নেই অথবা পা নেই কিন্তুু অর্থ সম্পদের অধিকারি হওয়ার কারনে সুখের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে আসছে, আবার এমন অনেকেও আছে যাদের শরীরের সুষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গনেই আবার জীবন চালানোর প্রধান চাবিকাঠি অর্থ সম্পদও নাই সুতরাং তাদের কে অন্যের সাহায্য বা ভিক্ষার মধ্যমে দিনের পর দিন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে চলতে হচ্ছে। ঠিক তেমনই একজন অসহায় ব্যাক্তি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুড়াহাটি ইউনিয়নের বাশিদেবপুরের মৃত আব্দুল হক মালের পুত্র হারুন-অর-রশিদ মাল (২)। খুবই দারিদ্রে পরিবারের পুত্র হারুন তবে জন্ম থেকে সে পঙ্গু ছিল না ২০০৯ সালে দেবদারু গাছ থেকে পড়ে তার দুইটি পা বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে। হারুর সমীকরণকে জানান আমি গত ৭বছর যাবত পঙ্গুত্ব বরন করলেও এলাকার কোন স্বহৃদয় ব্যক্তি আমার ওপর কোন ধরনের সহানুভূতিশীল আচরনের দিক ফুটিয়ে তোলেনি এমন কি পঙ্গু ভাতাও তবে নির্বাচন আসলেই আমার একটি ভোটের যেন মূল্য দাড়াই অনেক নানা দিক থেকে আসে নানা ধরনের প্রতিশ্র“তি কিন্তুু পরবর্তীতে বাস্তবায়ন হয়না তাদের দেওয়া কোন কথাই। তিনি আরও জানান বাড়িতে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকতে হয় একটি ছোট্ট কুড়ে ঘরে সমস্ত এলাকা ঘুরে ভিক্ষা করে যা অর্থ উপার্জন করতে পারি তা দিয়ে কোন রকম নুন ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। তবে যদি আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকে বাড়ি থেকে যদি বাহির হতে না পারি তাহলে দুজনকেই থাকতে হয় অনাহারে। হারুনের কাছ থেকে আরও জানা যায় সে অনেকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের কাছে গিয়েছেন একটি কার্ডের জন্য কিন্তু বারবারই তাকে ফিরতে হয় খালিহাতে কোন ধরনের সরকারি অনুদানের কোন কার্ডই তৈরি হয়নি তার নামে। বর্তমান বাংলদেশ সরকার ভিক্ষুকদের জন্য নানা ধরনের কল্যানমূলক অনুদান দিয়ে থাকলেও কোনটাই জোটেনি তার কপালে। তিনি বলেন উর্ধতন কর্মকর্তা যদি এদিকে একটু সুনজর দিত তাহলে আমার মত একজন পঙ্গুসহ আমার বৃদ্ধও কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারতাম।