ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

কুড়ুলগাছির আদম ব্যাপারী মুনসুর বেপরোয়া! প্রতারণায় সর্বস্ব হারিয়েছে ভূক্তভোগী কয়েকটি পরিবার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে

Untitled-1 copyকুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের আদম ব্যাপারী মুনসুর এখন বেপোরয়ো হয়ে উঠেছে। তার কারণে কয়েকটি পরিবার আজ স্বর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। অত্র এলাকার মানুষদের ফুঁসলিয়ে বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রতারনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও সর্বসান্ত্ব হয়ে পড়েছে কয়েকটি পরিবার। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,  চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কম বয়সী ছেলেদের শ্রমিক হিসাবে কাজে লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে এই মুনসুর । চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের কুড়ুলগাছি গ্রামের ফিল্ড পাড়ার জানু মোহাম্মদের ছেলে মুনসুর দালাল দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কমবয়সী লোকদের লোভনীয় অফার দেখিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করে। কাতারে ভাল ভাল কর্মস্থলে কাজ ও মাসিক মোটা অঙ্কের টাকার বেতনের বিনিময়ে তাদের কাজ দেওয়া হবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। সে অনুযায়ী এমনি এক  শ্রমিক কুড়ুলগাছি গ্রামের বাগান পাড়ার আহম্মদ আলির ছেলেহায়দার আলি। তার প্রলোভনে পড়ে কাতারে পাড়ি জমিয়েছিল হায়দার। কিন্তু কথা ও কাজের সাথে কোন মিল না থাকায় হায়দার কাতারে একটি গভীর জঙ্গলে দিনের পর দিন কাটানোর পর গত ১৩ই নভেম্বর অনেক কষ্টে বাংলাদেশে নিজ আবাস্থলে ফেরত আসে। শুধু হায়দার না এই রকম অনেকে দালাল মুনসুর ও তার শালা কাতার প্রবাসি কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের আমির আলি ছেলে আঃ রহিম এর শিকার। রহিম তার দুলা ভাই মুনসুর কে সেট করে কাতারে নিয়ে আসার কথা বলে শ্রমিকদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে  আর কোন খোজ নেয় না। এই ব্যাপারে হায়দারের কাছে জানতে চাইলে, সে বলে আমাকে দুই বছরের চুক্তি ভিসায় পাঠানো হলে সেখানে গিয়ে ভিসার কোন গ্রহন যোগ্যতা থাকে না। পরে দেখা যায় জাল ভিসায় আমাকে কাতারে পাঠানো হয়েছে। টাকার অভাবে না খেতে না পেয়ে পরিশেষ বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে কোন রকম দেশে ফিরে আসি। তবে হায়দার দেশে ফিরে আসার আগে আহম্মদ আলি ছেলের করুণ অবস্থার কথা শুনে কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যানের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এমতাবস্থায় দালাল মুনসুরের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কুড়ুলগাছির আদম ব্যাপারী মুনসুর বেপরোয়া! প্রতারণায় সর্বস্ব হারিয়েছে ভূক্তভোগী কয়েকটি পরিবার

আপলোড টাইম : ০১:৪০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৬

Untitled-1 copyকুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের আদম ব্যাপারী মুনসুর এখন বেপোরয়ো হয়ে উঠেছে। তার কারণে কয়েকটি পরিবার আজ স্বর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। অত্র এলাকার মানুষদের ফুঁসলিয়ে বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রতারনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও সর্বসান্ত্ব হয়ে পড়েছে কয়েকটি পরিবার। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,  চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কম বয়সী ছেলেদের শ্রমিক হিসাবে কাজে লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে এই মুনসুর । চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের কুড়ুলগাছি গ্রামের ফিল্ড পাড়ার জানু মোহাম্মদের ছেলে মুনসুর দালাল দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কমবয়সী লোকদের লোভনীয় অফার দেখিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করে। কাতারে ভাল ভাল কর্মস্থলে কাজ ও মাসিক মোটা অঙ্কের টাকার বেতনের বিনিময়ে তাদের কাজ দেওয়া হবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। সে অনুযায়ী এমনি এক  শ্রমিক কুড়ুলগাছি গ্রামের বাগান পাড়ার আহম্মদ আলির ছেলেহায়দার আলি। তার প্রলোভনে পড়ে কাতারে পাড়ি জমিয়েছিল হায়দার। কিন্তু কথা ও কাজের সাথে কোন মিল না থাকায় হায়দার কাতারে একটি গভীর জঙ্গলে দিনের পর দিন কাটানোর পর গত ১৩ই নভেম্বর অনেক কষ্টে বাংলাদেশে নিজ আবাস্থলে ফেরত আসে। শুধু হায়দার না এই রকম অনেকে দালাল মুনসুর ও তার শালা কাতার প্রবাসি কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের আমির আলি ছেলে আঃ রহিম এর শিকার। রহিম তার দুলা ভাই মুনসুর কে সেট করে কাতারে নিয়ে আসার কথা বলে শ্রমিকদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে  আর কোন খোজ নেয় না। এই ব্যাপারে হায়দারের কাছে জানতে চাইলে, সে বলে আমাকে দুই বছরের চুক্তি ভিসায় পাঠানো হলে সেখানে গিয়ে ভিসার কোন গ্রহন যোগ্যতা থাকে না। পরে দেখা যায় জাল ভিসায় আমাকে কাতারে পাঠানো হয়েছে। টাকার অভাবে না খেতে না পেয়ে পরিশেষ বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে কোন রকম দেশে ফিরে আসি। তবে হায়দার দেশে ফিরে আসার আগে আহম্মদ আলি ছেলের করুণ অবস্থার কথা শুনে কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যানের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এমতাবস্থায় দালাল মুনসুরের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন।