ইপেপার । আজ সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে প্রস্তাব নিয়ে আসছেন খালেদা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে

40125_f3সমীকরণ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য, দল ও জোটের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি কিছুদিন ধরে প্রস্তাবটি তৈরি করেছেন। প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে ইতিমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টরা চেয়ারপারসনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন। গতকাল রাতে এ নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে ইসি পুনর্গঠনের প্রস্তাব প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৮ই নভেম্বর শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর উদ্দেশে এ প্রস্তাবটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরবেন। বিএনপি কেমন নির্বাচন কমিশন চায়, এই রূপরেখার মাধ্যমে তা তুলে ধরা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতারা জানান, রূপরেখার একটি কপি প্রেসিডেন্টের কাছেও দেয়া হবে। প্রস্তাবে কি কি বিষয় থাকবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তবে বিএনপির প্রস্তাব প্রণয়ন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানান, পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিএনপি কিছু পরামর্শ দেবে। সার্চ কমিটিতে অবসর নেয়ার পর ‘লাভজনক কোনো পদে ছিলেন না’ আপিল বিভাগের এমন বিচারপতি, সরকারের লাভজনক কোনো পদে ছিলেন না প্রশাসনের এমন আমলা ও সুশীল সমাজের বিতর্কিত নন এমন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিতে পারে বিএনপি। অন্যদিকে ইসি পুনর্গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একটি পদের বিপরীতে সার্চ কমিটি কর্তৃক দু’জনকে বাছাই এবং চার নির্বাচন কমিশনার পদে আটজনের নাম প্রস্তাব করার পরামর্শ দিতে পারে বিএনপি। তবে এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য বা সমঝোতার বিষয়েই জোর দেবে দলটি। যাতে করে সমঝোতা বা আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাবিত নাম থেকে কমিশন পুনর্গঠন করা যায়। এ ছাড়া প্রস্তাব দেয়া হবে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার ব্যাপারেও। ভোটগ্রহণ থেকে গণনা পর্যন্ত কিভাবে নির্বিঘ্নে করা যায় তার একটি রূপরেখাও থাকবে প্রস্তাবে। সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানায়, মূলত দুটি ক্যাটাগরি করা হচ্ছে। একটি হচ্ছে, কোন কোন পেশার লোকজনকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে, দ্বিতীয়ত, কোন কোন পেশার লোকজনকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ থাকবে না প্রস্তাবে। তবে কোন কোন পেশাকে নেতিবাচক ক্যাটাগরিতে রাখা হবে, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি। সূত্র জানায়, সর্বোপরি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবে এমন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেয়া হবে। কারণ কয়েকজন ভালো মানুষ দিয়েই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্বাচন পরিচালনার জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, সহকারী পোলিং অফিসারের প্রয়োজন। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ ও তাদের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা এবং সক্ষমতা দরকার। তিনি আরো জানান, এখানে বিএনপির পছন্দ-অপছন্দটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে বিএনপি যেমন এ ব্যাপারে ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখাবে একইভাবে আওয়ামী লীগের তরফেও তাদের পছন্দের লোকের ব্যাপারে ছাড় দেয়ার বিষয় রয়েছে। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- নির্বাচন কমিশনাররা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, যোগ্য, সৎ, নির্লোভ, সাহসী কিনা। যারা সংবিধান ও প্রচলিত আইন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা সরকারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। এ ধরনের কিছু লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়া দরকার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে প্রস্তাব নিয়ে আসছেন খালেদা

আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৬

40125_f3সমীকরণ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য, দল ও জোটের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি কিছুদিন ধরে প্রস্তাবটি তৈরি করেছেন। প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে ইতিমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টরা চেয়ারপারসনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন। গতকাল রাতে এ নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে ইসি পুনর্গঠনের প্রস্তাব প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৮ই নভেম্বর শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর উদ্দেশে এ প্রস্তাবটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরবেন। বিএনপি কেমন নির্বাচন কমিশন চায়, এই রূপরেখার মাধ্যমে তা তুলে ধরা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতারা জানান, রূপরেখার একটি কপি প্রেসিডেন্টের কাছেও দেয়া হবে। প্রস্তাবে কি কি বিষয় থাকবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তবে বিএনপির প্রস্তাব প্রণয়ন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানান, পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিএনপি কিছু পরামর্শ দেবে। সার্চ কমিটিতে অবসর নেয়ার পর ‘লাভজনক কোনো পদে ছিলেন না’ আপিল বিভাগের এমন বিচারপতি, সরকারের লাভজনক কোনো পদে ছিলেন না প্রশাসনের এমন আমলা ও সুশীল সমাজের বিতর্কিত নন এমন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিতে পারে বিএনপি। অন্যদিকে ইসি পুনর্গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একটি পদের বিপরীতে সার্চ কমিটি কর্তৃক দু’জনকে বাছাই এবং চার নির্বাচন কমিশনার পদে আটজনের নাম প্রস্তাব করার পরামর্শ দিতে পারে বিএনপি। তবে এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য বা সমঝোতার বিষয়েই জোর দেবে দলটি। যাতে করে সমঝোতা বা আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাবিত নাম থেকে কমিশন পুনর্গঠন করা যায়। এ ছাড়া প্রস্তাব দেয়া হবে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার ব্যাপারেও। ভোটগ্রহণ থেকে গণনা পর্যন্ত কিভাবে নির্বিঘ্নে করা যায় তার একটি রূপরেখাও থাকবে প্রস্তাবে। সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানায়, মূলত দুটি ক্যাটাগরি করা হচ্ছে। একটি হচ্ছে, কোন কোন পেশার লোকজনকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে, দ্বিতীয়ত, কোন কোন পেশার লোকজনকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ থাকবে না প্রস্তাবে। তবে কোন কোন পেশাকে নেতিবাচক ক্যাটাগরিতে রাখা হবে, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি। সূত্র জানায়, সর্বোপরি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবে এমন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেয়া হবে। কারণ কয়েকজন ভালো মানুষ দিয়েই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্বাচন পরিচালনার জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, সহকারী পোলিং অফিসারের প্রয়োজন। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ ও তাদের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা এবং সক্ষমতা দরকার। তিনি আরো জানান, এখানে বিএনপির পছন্দ-অপছন্দটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে বিএনপি যেমন এ ব্যাপারে ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখাবে একইভাবে আওয়ামী লীগের তরফেও তাদের পছন্দের লোকের ব্যাপারে ছাড় দেয়ার বিষয় রয়েছে। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- নির্বাচন কমিশনাররা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, যোগ্য, সৎ, নির্লোভ, সাহসী কিনা। যারা সংবিধান ও প্রচলিত আইন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা সরকারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। এ ধরনের কিছু লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়া দরকার।