ইসলামে সদকার নানা ধরন
- আপলোড টাইম : ০৯:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৬
- / ৫১৩ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: যাদের অর্থবিত্ত আছে তাদের ওপর আল্লাহ অতিরিক্ত যে দায়িত্বটি দিয়েছেন সেটি হলো দান-সদকা করা। ধনীদের সম্পদে আল্লাহ গরিবের জন্য অধিকার রেখে দিয়েছেন। যাদের সম্পদ আছে তাদের ওপর কিছু অতিরিক্ত বিধান বর্তায়। যেমন জাকাত দেয়া, হজ পালন করা, কোরবানি ইত্যদি। এছাড়া নফল দান-খয়রাত করাও উচিত। দান-সদকার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য যেমন লাভ হয় তেমনি এর কারণে অনেক বালা-মুসিবত আল্লাহ দূরে করে দেন। তবে যাদের সম্পদ নেই, সদকা করার মতো সামর্থ্য নেই তাদের জন্য রয়েছে বিচিত্র ধরনের সদকা করার সুযোগ। একবার কিছুসংখ্যক দরিদ্র সাহাবি আল্লাহর রাসুলের (সা.) দরবারে গিয়ে বললেন, সম্পদশালী সাহাবারা তো তাদের সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে আমাদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তো অসচ্ছল, আমাদের তো সদকা করার সুযোগ নেই। আমরা এই ক্ষতি পোষাব কীভাবে! তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের বললেন, তোমাদের ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই। তোমাদেরও সহজেই সদকা করার সুযোগ আছে। রাসুল (সা.) বললেন, বিভিন্ন তাসবিহ পাঠ করা, আল্লাহু আকবার বলা, আলহামদুলিল্লাহ বলা, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা সবই হলো সদকা। এছাড়া সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধও সদকা। এসব সদকা আদায় করা কত সহজ! এই সদকা আদায়ে তোমাদের কোনো সম্পদ ব্যয় করতে হবে না। এভাবে ধনী সাহাবিদের আগে তোমরা জান্নাতে চলে যেতে পারবে। ধনীদের সম্পদের হিসাব-নিকাশ দিতে হবে। এ জন্য তাদের জান্নাতে যাওয়ার পথ কিছুটা বিলম্বিত। সেই তুলনায় যাদের ধনসম্পদ নেই তাদের জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ। তবে জান্নাত লাভের জন্য শর্ত হলো সৎ থাকতে হবে। ধনী-গরিব যেই হোক সততা না থাকলে আল্লাহর কাছে কোনোই মূল্য নেই। আল্লাহ মানুষের আকার-অবয়ব, তাদের পোশাক-আশাক বা ধন-সম্পদের দিকে তাকাবেন না, তিনি দেখবেন আমলের বিশুদ্ধতা। এজন্য একজন হতদরিদ্র মানুষের আল্লাহকে পাওয়া আর একজন বড়লোকের আল্লাহকে পাওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের চলতে ফিরতে পদে পদে এমন কিছু আমল আছে যা করলে আমরা ধনীদের চেয়েও বেশি সদকার সওয়াব অর্জন করতে পারি। বিশেষ করে মানুষকে ভালো কথা বলা, ভালো কাজের দিকে উদ্বুদ্ধ করা এর চেয়ে বড় সদকা আর কী হতে পারে।