ইপেপার । আজ সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

দীর্ঘদিন বন্ধের পরও এখনও চালু হয়নি পদ্মবিলার সরকারী পশু হাসপাতালটি গবাদি পশুর চিকিৎসা নিয়ে দূর্ভোগে এলাকার সাধারন মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে

IMG_20161104_200747

আকিমুল ইসলাম: দিন যায়, মাস যায় সরকার বদল হয় কিন্তু বদল হয় না চুয়াডাঙ্গা সদরের অতি সন্নিকটে  পদ্মবিলর মানুষের ভাগ্য। বলা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর থেকে মাত্র ৮ কিঃমিঃ দূরে সুবদিয়া (পাঁচমাইল) সরকারী পশু হাসপাতালের কথা। আনুমানিক ২৮ বছর আগে বাংলা ১৩৯৫ খ্রিঃ চুয়াডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের উদ্যগে নির্মাণ করা হয় এই পশু হাসপাতালটি। তারপর থেকে ঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও বর্তমানে ১০-১২ ধরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে আছে।  অত্র প্রতিষ্ঠানটি চলা কালিন সময় শত শত গবাদি পশুর চিকিৎসা দিতো কর্তব্যরত চিকিৎসক কিন্তুু এটি বন্ধ হবার পর অনেক ভূগান্তিতে পড়েছে এলাকার কৃষকসহ নানা পেশার মানুষ।  পশুপাখির গুরুত্বপূর্ণ কোন রোগব্যাধি হলে নিয়ে যেতে হয় সুদূর চুয়াডাঙ্গাতে। পদ্মবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস  বলেন  প্রতিষ্ঠান টি অনেক  বছর ধরে  অচল হয়ে আছে এর ফলে অনেকে আবার গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে দূর্ভোগে অনেক সময় দ্রুত চিকিৎসার অভাবে অনেক পশুর মৃত্যুও ঘটে।  এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ প্রতিষ্ঠান টি অচল প্রায় ১২ বছর ধরে সরকারি উদ্দ্যোগ না থাকার কারনে হাসপাতালটির চারিপাশে ঝোপ আর লতাপাতায় ঘেরা ঝোপঝাড়ে একাকার হয়ে গেছে দেখে বোঝার উপায় নাই এটি সরকারী পশু হাসপাতাল নাকি অন্য কিছু। আবার হাসপাতালের অধিকাংশ জায়গায় এখন দখলদারদের দখলের কব্জায়। ক্ষমতার দাপটে  সরকারী জায়গা হওয়া সত্ত্বেও বেগতিক ভাবে ইচ্ছে মতো তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনেরর  ভবন, বিল্ডিং এবং দোকান। আর এসব দেখার যেনো কেউ-ই নাই। সরকারী কর্মকর্তা আর কর্মচারীদের অবহেলার কারণে অরক্ষিত ভাবে পড়ে আছে প্রাণী সম্পদের এই সরকারী পশু হাসপাতালটি।  তবে এই  পশু  হাসপাতালটি যদি  আবারও সরকারীভাবে  চালু হয় তাহলে এলাকার গৃহপালিত পশু পাখির রোগ বালাইয়ের সমস্যা হলে আর দৌড়াতে হতো না জেলা শহর চুয়াডাঙ্গাতে এবং পড়তে হতো না মহাভুগান্তিতে। এলাকাবাসী “সমীকরণকে  উদ্দেশ্য করে জানান, চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া (পাঁচমাইল) বাজারে  ২৮ বছর আগে দারিদ্র জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয় এই পশু হাসপাতালটি। তারপর থেকেই নিয়মিত ডাক্তারে এখানে চিকিৎসা দিতো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক ভিড় জমতো এই হাসপাতালটিতে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আর সরকারী পৃষ্টপোষকতার অভাবে কোনো ডাক্তার এখানে আসে না চিকিৎসা দেওয়ার জন্য, তবে  এখনও এখানে আছে চিকিৎসার যাবতীয় যন্ত্রপাতি, আছে চিকিৎসা নেওয়া পশু মালিকেরাও কিন্তু নাই ডাক্তার। এ হাসপাতালটি সম্পর্কে পদ্মবিলা ইউপির চেয়ারম্যান আরও জানান, আমি নিজ উদ্যোগে এই প্রতিষ্ঠান টি আবারও সচল করার জন্য আমি চুয়াডাঙ্গা জেলার উর্ধতন কর্মকর্তাদের  সাথে কথা বলেছি। এই ভাবেই বুক ভরা আশ্বাস নিয়ে দিনের পর দিন পার করছে চুয়াডাঙ্গার পদ্মবিলার পশু পালনকারী কৃষকেরা। আদেও কি কোনো দিন প্রাণী সম্পদের এই পশু হাসপাতালটি চালু হবে তা নিয়েও আছে সংশয়, আছে ভাবনা। এলাকাবাসী জানান যদি  সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর দিতো তাহলে এলাকার নিরীহ জনসাধারণ অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দীর্ঘদিন বন্ধের পরও এখনও চালু হয়নি পদ্মবিলার সরকারী পশু হাসপাতালটি গবাদি পশুর চিকিৎসা নিয়ে দূর্ভোগে এলাকার সাধারন মানুষ

আপলোড টাইম : ১২:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৬

IMG_20161104_200747

আকিমুল ইসলাম: দিন যায়, মাস যায় সরকার বদল হয় কিন্তু বদল হয় না চুয়াডাঙ্গা সদরের অতি সন্নিকটে  পদ্মবিলর মানুষের ভাগ্য। বলা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর থেকে মাত্র ৮ কিঃমিঃ দূরে সুবদিয়া (পাঁচমাইল) সরকারী পশু হাসপাতালের কথা। আনুমানিক ২৮ বছর আগে বাংলা ১৩৯৫ খ্রিঃ চুয়াডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের উদ্যগে নির্মাণ করা হয় এই পশু হাসপাতালটি। তারপর থেকে ঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও বর্তমানে ১০-১২ ধরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে আছে।  অত্র প্রতিষ্ঠানটি চলা কালিন সময় শত শত গবাদি পশুর চিকিৎসা দিতো কর্তব্যরত চিকিৎসক কিন্তুু এটি বন্ধ হবার পর অনেক ভূগান্তিতে পড়েছে এলাকার কৃষকসহ নানা পেশার মানুষ।  পশুপাখির গুরুত্বপূর্ণ কোন রোগব্যাধি হলে নিয়ে যেতে হয় সুদূর চুয়াডাঙ্গাতে। পদ্মবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস  বলেন  প্রতিষ্ঠান টি অনেক  বছর ধরে  অচল হয়ে আছে এর ফলে অনেকে আবার গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে দূর্ভোগে অনেক সময় দ্রুত চিকিৎসার অভাবে অনেক পশুর মৃত্যুও ঘটে।  এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ প্রতিষ্ঠান টি অচল প্রায় ১২ বছর ধরে সরকারি উদ্দ্যোগ না থাকার কারনে হাসপাতালটির চারিপাশে ঝোপ আর লতাপাতায় ঘেরা ঝোপঝাড়ে একাকার হয়ে গেছে দেখে বোঝার উপায় নাই এটি সরকারী পশু হাসপাতাল নাকি অন্য কিছু। আবার হাসপাতালের অধিকাংশ জায়গায় এখন দখলদারদের দখলের কব্জায়। ক্ষমতার দাপটে  সরকারী জায়গা হওয়া সত্ত্বেও বেগতিক ভাবে ইচ্ছে মতো তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনেরর  ভবন, বিল্ডিং এবং দোকান। আর এসব দেখার যেনো কেউ-ই নাই। সরকারী কর্মকর্তা আর কর্মচারীদের অবহেলার কারণে অরক্ষিত ভাবে পড়ে আছে প্রাণী সম্পদের এই সরকারী পশু হাসপাতালটি।  তবে এই  পশু  হাসপাতালটি যদি  আবারও সরকারীভাবে  চালু হয় তাহলে এলাকার গৃহপালিত পশু পাখির রোগ বালাইয়ের সমস্যা হলে আর দৌড়াতে হতো না জেলা শহর চুয়াডাঙ্গাতে এবং পড়তে হতো না মহাভুগান্তিতে। এলাকাবাসী “সমীকরণকে  উদ্দেশ্য করে জানান, চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া (পাঁচমাইল) বাজারে  ২৮ বছর আগে দারিদ্র জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয় এই পশু হাসপাতালটি। তারপর থেকেই নিয়মিত ডাক্তারে এখানে চিকিৎসা দিতো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক ভিড় জমতো এই হাসপাতালটিতে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আর সরকারী পৃষ্টপোষকতার অভাবে কোনো ডাক্তার এখানে আসে না চিকিৎসা দেওয়ার জন্য, তবে  এখনও এখানে আছে চিকিৎসার যাবতীয় যন্ত্রপাতি, আছে চিকিৎসা নেওয়া পশু মালিকেরাও কিন্তু নাই ডাক্তার। এ হাসপাতালটি সম্পর্কে পদ্মবিলা ইউপির চেয়ারম্যান আরও জানান, আমি নিজ উদ্যোগে এই প্রতিষ্ঠান টি আবারও সচল করার জন্য আমি চুয়াডাঙ্গা জেলার উর্ধতন কর্মকর্তাদের  সাথে কথা বলেছি। এই ভাবেই বুক ভরা আশ্বাস নিয়ে দিনের পর দিন পার করছে চুয়াডাঙ্গার পদ্মবিলার পশু পালনকারী কৃষকেরা। আদেও কি কোনো দিন প্রাণী সম্পদের এই পশু হাসপাতালটি চালু হবে তা নিয়েও আছে সংশয়, আছে ভাবনা। এলাকাবাসী জানান যদি  সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর দিতো তাহলে এলাকার নিরীহ জনসাধারণ অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত।