ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

তেঘরীতে হতদরিদ্র চার সন্তানের জননী বিধবা পারুলা দূর্ভোগে অভাবে শিক্ষা গ্রহন করতে পারছে না ছেলেমেয়েরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে

আকিমুল ইসলাম: ক্ষুধা দারিদ্রের সাথে লড়াই করে জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার মধ্যেই প্রকৃত বেঁচে থাকার সাধ পাওয়া যায়। তবে এমনও মানুষ আছে যারা এ যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে আজ বিজয়ের বিপরিত পরাজের দিকে ধাবিত হতে যাচ্ছে। তেমনই একজন মহিলা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের জয়নাল মন্ডলের পুত্র মৃত ইজাজুল হকের স্ত্রী পারুলা বেগম। চার সন্তানের জননী সে তবে তাদের মুখে খাবার তুলে দেবার মত সাধ্য নেই বলে জানান এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল ছোট্ট একটি টিনের কুড়ে ঘরে তাদের বসবাস কোন রকমে জড়সড়ভাবে রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের ঘরের ভিতরে গেলে টিনের ফুটা দিয়ে দেখা যাচ্ছে আকাশ, বৃষ্টি হলে ঘরে আর থাকতে পারে না কেউই বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায় ঘরের ভিতরের জিনিসপত্রসহ সবকিছু। পারুলা সমীকরণকে জানান তার স্বামী ইজাজুল পেশায় একজন ভ্যান চালক ছিল সন্তানদের কে নিয়ে  কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন অতিবাহিত করতো। তারা কিন্তুুু বিধাতার নিয়তি গত তিন মাস আগে তার স্বামী ইজাজুল লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন। তারপর তাদের ওপর নেমে আসেছে কঠোর দারিদ্রের কালোছায়া। বড় ছেলে মকলেছ আলী (১২) ৪র্থ শ্রেণীতে, জমজ দুই কন্যা চম্পা ও চামেলী (৯) ২য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে এবং ছোট ছেলে ইয়ানুরের বয়স এখন দেড় বছর।  চার সন্তানকে নিয়ে পারুলা এখন কিং কর্তব্য বিমূঢ় তার দিন আর যেতে চায়না। চার সন্তানের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে পারছে না সে ফলে প্রায় দিনই তাদের কাটাতে হচ্ছে অনাহারে। বর্তমানে স্কুলে পড়ানোর মত কোন সার্মথ্য নেই বলে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে বাচ্ছাদের। পারুলা জানান নির্বাচন আমার মত সামান্য একটা ভোটের অনেক মূল্য বেড়ে যায় তারপর সবাই নানা ধরনের প্রতিশ্র“তি দেয় কিন্তুুু শেষ হয়ে গেলে  বাস্তবায়ন হয়না কোন কাজই। এদিকে গ্রামের কিছু জনদরদি আতিয়ার হোসেন,  সাবেক মেম্বর ওসমান, একই গ্রামের কাশেম তাদের ওপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।  পারুলা জানান উর্ধতন কর্মকর্তা যদি এদিকে একটু সুনজর দিতো তাহলে আমার দারিদ্রের সােথ ভেসে যাওয়া পরিবারের কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারতাম এবং আমার সন্তানেরা ফিরে পেত  শিক্ষা গ্রহন করার সুযোগ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

তেঘরীতে হতদরিদ্র চার সন্তানের জননী বিধবা পারুলা দূর্ভোগে অভাবে শিক্ষা গ্রহন করতে পারছে না ছেলেমেয়েরা!

আপলোড টাইম : ০২:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০১৬

আকিমুল ইসলাম: ক্ষুধা দারিদ্রের সাথে লড়াই করে জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার মধ্যেই প্রকৃত বেঁচে থাকার সাধ পাওয়া যায়। তবে এমনও মানুষ আছে যারা এ যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে আজ বিজয়ের বিপরিত পরাজের দিকে ধাবিত হতে যাচ্ছে। তেমনই একজন মহিলা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের জয়নাল মন্ডলের পুত্র মৃত ইজাজুল হকের স্ত্রী পারুলা বেগম। চার সন্তানের জননী সে তবে তাদের মুখে খাবার তুলে দেবার মত সাধ্য নেই বলে জানান এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল ছোট্ট একটি টিনের কুড়ে ঘরে তাদের বসবাস কোন রকমে জড়সড়ভাবে রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের ঘরের ভিতরে গেলে টিনের ফুটা দিয়ে দেখা যাচ্ছে আকাশ, বৃষ্টি হলে ঘরে আর থাকতে পারে না কেউই বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায় ঘরের ভিতরের জিনিসপত্রসহ সবকিছু। পারুলা সমীকরণকে জানান তার স্বামী ইজাজুল পেশায় একজন ভ্যান চালক ছিল সন্তানদের কে নিয়ে  কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন অতিবাহিত করতো। তারা কিন্তুুু বিধাতার নিয়তি গত তিন মাস আগে তার স্বামী ইজাজুল লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন। তারপর তাদের ওপর নেমে আসেছে কঠোর দারিদ্রের কালোছায়া। বড় ছেলে মকলেছ আলী (১২) ৪র্থ শ্রেণীতে, জমজ দুই কন্যা চম্পা ও চামেলী (৯) ২য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে এবং ছোট ছেলে ইয়ানুরের বয়স এখন দেড় বছর।  চার সন্তানকে নিয়ে পারুলা এখন কিং কর্তব্য বিমূঢ় তার দিন আর যেতে চায়না। চার সন্তানের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে পারছে না সে ফলে প্রায় দিনই তাদের কাটাতে হচ্ছে অনাহারে। বর্তমানে স্কুলে পড়ানোর মত কোন সার্মথ্য নেই বলে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে বাচ্ছাদের। পারুলা জানান নির্বাচন আমার মত সামান্য একটা ভোটের অনেক মূল্য বেড়ে যায় তারপর সবাই নানা ধরনের প্রতিশ্র“তি দেয় কিন্তুুু শেষ হয়ে গেলে  বাস্তবায়ন হয়না কোন কাজই। এদিকে গ্রামের কিছু জনদরদি আতিয়ার হোসেন,  সাবেক মেম্বর ওসমান, একই গ্রামের কাশেম তাদের ওপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।  পারুলা জানান উর্ধতন কর্মকর্তা যদি এদিকে একটু সুনজর দিতো তাহলে আমার দারিদ্রের সােথ ভেসে যাওয়া পরিবারের কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারতাম এবং আমার সন্তানেরা ফিরে পেত  শিক্ষা গ্রহন করার সুযোগ।