ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

কার্পাসডাঙ্গার কোমরপুরে অপহৃত আশরাফের মেলেনি হদিস প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই মিথ্যা নাটক!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে

কার্পাসডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের আশরাফ আলী নামের এক ব্যাক্তিকে অপহরন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ১দিন পার হলেও মেলেনি আশরাফের হদিস। আশরাফের অপহরন নিয়ে কোমরপুর গ্রামে শুরু হয়েছে নানা মুখী গুঞ্জন। তাঁরই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে আশরাফসহ তাঁর পরিবার এমন মন্তব্য কোমরপুর গ্রামের অনেক ব্যাক্তির। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, কোমরপুর গ্রামের আরজুল¬াহ গং ও গাফফার আলী গংয়ের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ সহ মামলা চলে আসছে।আনুমানিক মাস খানেক পুর্বে উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষই মামলা দায়ের করে।যাতে করে আরজুল¬াহ গংয়ের ৪ জন গুরুতর আহত হয়।যা তখন স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ ও প্রকাশিত হয়। আরজুল¬াহ গংয়ের করা মামলায় বর্তমানে গাফফার গংয়ের ২জন হাজতে রয়েছে। গত শক্রবার গভীর রাতে গাফফার গংয়ের পক্ষের আসান মল্লি¬কের ছেলে আশরাফ আলী হঠাৎ অপহরণ হয়েছে বলে রাতে প্রচার করে তার লোকজন। এই গাফফারই গত বছর আরেক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেই পটকা মেরে অপহরন হয়েছে প্রচার করে ঘন্টা খানেক পর মাঠ থেকে একাই বাড়ী চলে আসে বলে জানান কোমরপুরের লোকজন। রাতে অপহরনের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুটে যান কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই মাহফুজ। তিনি আমাদের এ প্রতিবেদক কে জানান আমাকে টহলরত অবস্থায় ফোন করে জানানো হয় কোমরপুরে অপহরন হয়েছে আমি দ্রুত ছুটে গিয়ে খোজাখুজি করি। তবে এটা প্রাথমিক অবস্থায় অপহরন বলে মনে হচ্ছেনা।আশরাফের বাড়ীর পাশে আয়ুব আলী নামের এক ব্যাক্তি জানান আমি বাড়ীর পাশের লোক তবুও অপহরন হয়েছে চিৎকার চেঁচামেচি বা কিছুই জানতে পারলাম না। ৪ নং ওয়াডের মেম্বর মন্টুও অপহরনের বিষয়ে জানেন না বলে জানান।তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকে জানান গভীর তদন্ত করে আশরাফের নাটকের রহস্য বের করা দরকার। আশরাফ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এ নাটক সাজিয়েছে। তবে সচেতন মহল মনে করেন সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি উদঘাটন জরুরী। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব দ্রুত এই রহস্য উদঘাটন হবে বলেও তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কার্পাসডাঙ্গার কোমরপুরে অপহৃত আশরাফের মেলেনি হদিস প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই মিথ্যা নাটক!

আপলোড টাইম : ০৯:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬

কার্পাসডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের আশরাফ আলী নামের এক ব্যাক্তিকে অপহরন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ১দিন পার হলেও মেলেনি আশরাফের হদিস। আশরাফের অপহরন নিয়ে কোমরপুর গ্রামে শুরু হয়েছে নানা মুখী গুঞ্জন। তাঁরই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে আশরাফসহ তাঁর পরিবার এমন মন্তব্য কোমরপুর গ্রামের অনেক ব্যাক্তির। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, কোমরপুর গ্রামের আরজুল¬াহ গং ও গাফফার আলী গংয়ের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ সহ মামলা চলে আসছে।আনুমানিক মাস খানেক পুর্বে উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষই মামলা দায়ের করে।যাতে করে আরজুল¬াহ গংয়ের ৪ জন গুরুতর আহত হয়।যা তখন স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ ও প্রকাশিত হয়। আরজুল¬াহ গংয়ের করা মামলায় বর্তমানে গাফফার গংয়ের ২জন হাজতে রয়েছে। গত শক্রবার গভীর রাতে গাফফার গংয়ের পক্ষের আসান মল্লি¬কের ছেলে আশরাফ আলী হঠাৎ অপহরণ হয়েছে বলে রাতে প্রচার করে তার লোকজন। এই গাফফারই গত বছর আরেক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেই পটকা মেরে অপহরন হয়েছে প্রচার করে ঘন্টা খানেক পর মাঠ থেকে একাই বাড়ী চলে আসে বলে জানান কোমরপুরের লোকজন। রাতে অপহরনের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুটে যান কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই মাহফুজ। তিনি আমাদের এ প্রতিবেদক কে জানান আমাকে টহলরত অবস্থায় ফোন করে জানানো হয় কোমরপুরে অপহরন হয়েছে আমি দ্রুত ছুটে গিয়ে খোজাখুজি করি। তবে এটা প্রাথমিক অবস্থায় অপহরন বলে মনে হচ্ছেনা।আশরাফের বাড়ীর পাশে আয়ুব আলী নামের এক ব্যাক্তি জানান আমি বাড়ীর পাশের লোক তবুও অপহরন হয়েছে চিৎকার চেঁচামেচি বা কিছুই জানতে পারলাম না। ৪ নং ওয়াডের মেম্বর মন্টুও অপহরনের বিষয়ে জানেন না বলে জানান।তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকে জানান গভীর তদন্ত করে আশরাফের নাটকের রহস্য বের করা দরকার। আশরাফ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এ নাটক সাজিয়েছে। তবে সচেতন মহল মনে করেন সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি উদঘাটন জরুরী। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব দ্রুত এই রহস্য উদঘাটন হবে বলেও তিনি জানান।