কেরুজ ক্যাম্পাসে ঢিলে ঢালাভাবে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনের বাতাস আনন্দ বাজারে আনন্দ নেই! সাশ্রয়নীতি নিয়ে চলছে আলোচনা!
- আপলোড টাইম : ০৯:০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬
- / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
দর্শনা অফিস: কেরুজ ক্যাম্পাসে ঢিলে ঢালাভাবে নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে। সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের মধ্যে হতাশার ছাপ ও না পাওয়ার বেদনা। আনন্দ বাজারে নেই কোন আনন্দ। বিভিন্ন বিভাগে চলছে আপদকালীন সেট-আপ ও সাশ্রয়নীতির মালা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা ঝড়। বিভিন্নমুখী আলোচনার মধ্যে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইক্ষু বিভাগের সিআইসি হাফিজুল ইসলামকে উথলী ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রে বদলীসহ একটি বড় ইউনটের সিডিএ করে বাড়তি দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে সুধি মহলের বক্তব্য অনুযায়ী আগামী ২০১৭ সালের নির্বাচনে পুরাতন প্রার্থী হিসাবে তিনি একজন শক্তিশালী সভাপতি প্রার্থী। সে কারণে নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা থেকে বিরত রাখার জন্য অদৃশ্য ইঙ্গিতে তাঁর এই বাড়তি দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে হাফিজুল ইসলাম জানান। তিনি আরো বলেন সম্প্রতি সিঅইসি ও সিডিএ গণের বিভিন্ন কেন্দ্র ইউনিটে বদলী করা হয়েছে। যা সদর দপ্তরের নিদের্শনা, অফিস আদেশ যথার্থভাবে অনুসরণ না করে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ বিষয়ে সাবেক সভাপতি সিআইসি হাফিজুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বদলীর আদেশ দেখে আমার মনে হয়েছে এটা ক্ষমতাশীনদের ইঙ্গিতেই করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি গত ১৫/১০/২০১৬ তারিখে কেরু চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র পেশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া ৪৯ নং ইউনিট থেকে সরিয়ে পূর্বের ইউনটে রাখার জন্য দাবী করেছেন। তিনি আরো বলেন একটি কেন্দ্রে ক্রয় কর্যক্রম সম্পন্ন করে ইউনিটের দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। সাতজন কানিষ্ঠ সিআইসিকে কোন ইউনিটে দেওয়া হলো না। আমার ক্ষেত্রে কেন এ অনিয়ম। সদর দপ্তর থেকে পাঠানো অফিস আদেশ যার সূত্র নং-ইআর/এস এফ/মিল ইসেনটিভ/ওটি/১২৯ নং ১৬/০৬/২০১৬ তারিখের অফিস আদেশে বর্ণিত শর্তাবলী ৩নং অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। ৩নং অনুচ্ছেদে বলা আছে পূণঃবিন্যাসকৃত ইউনিটে সংখ্যা অনুযায়ী কর্মরত সিডিএ গণকে ইউনিটের দায়িত্ব প্রদানের পর অবশিষ্ট ইউনিটে সিআইসি গণকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মরত সিঅইসি গণের মধ্যে থেকে কনিষ্ঠ সিঅইসি গণকে পর্যায়ক্রমে ইউনিটের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমার অভিযোগ পত্রটি সমাধানের জন্য (কৃষি) মহা-ব্যবস্থাপকের নিকট প্রেরণ করেছেন। যা এখনও পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি। এতে আমার সংগঠনের শ্রমিক কর্মচারী ক্ষুদ্ধ। এ অন্যায় অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে কেরুজ শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে চাপ ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে জানা গেছে। এ বিষয় কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি তৈয়ব আলী জানান, হেড আফিস থেকে সাশ্রয় নীতি অনুযায়ী সকল সিআইসিকে একটি ইউনিট ও একটি সেন্টারে কাজ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি বড় বড় সেন্টার গুলোতে যাতে সিডিএ অথবা সিআইসি যে কোন একটি পদে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে দেখবো। এব্যাপরে লিখিত দিয়ে কি হবে?