ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড মোড়ে দ্রুতগামী দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ বৃষ্টিতে বিপত্তি : আলমসাধু চালক ও পূর্বাশা পরিবহনের হেলপার নিহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৮:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০১৬
  • / ১১৬২ বার পড়া হয়েছে

14962643_359654837710485_4028965454621254168_nঘটনাস্থল থেকে ফিরে আফজালুল হক/মিথুন মাহমুদ: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড মোড়ে দ্রুতগামী দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে  আলমসাধু গাড়ীর  চালক ও পূর্বাশা পরিবহনের হেলপার  নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৬ জন। তাদেরকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। নিহতরা হলো-  দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর শেখপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে আলমসাধুর চালক সাইফুল ইসলাম (৩২)  ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুরের ওবাইদুরের ছেলে পূর্বাশা পরিবহনের হেলপার স্বপন (২৫)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে ঢাকা থেকে জীবননগর হয়ে দর্শনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পূর্বাশা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৬১২) ও চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে14956009_359654971043805_2299943887814150498_n আসা শাপলা পরিবহন (ঝিনাইদহ জ-০৪-০০১০), জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর বাসস্যান্ড মোড়ে  পৌছালে ওই দুটি দ্রুতগামী বাসের সামনে পড়ে আলমসাধু গাড়ী। এতে দু’বাস চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে অজ্ঞাত (৪৫) আলমসাধু (শ্যালো মেশিন চালিত) চালক ঘটনাস্থলেই ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুরের ওবাইদুরের ছেলে পূর্বাশা পরিবহনের হেলপার স্বপন (২৫) জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেয়ার পর নিহত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি হয়ে স্বপন মারা যান। আর সেখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সহিদুল বিশ্বাসের ছেলে আনিসুর (৪০), ঝিনাইদহ জেলার কোর্টচাদপুর উপজেলার আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাজমুল (২০), জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৫০), দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের বিশারত আলীর ছেলে স্বপন (৩৫), চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী জোসনা বেগম (৫০), মেহেরপুর জেলার বড় গাঙনী উপজেলার ঝন্টুর স্ত্রী শ্যামলী (২২) ও একই উপজেলার মাবুদের মেয়ে শাপলা (২৫), দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছী গ্রামের সুলতানের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪০), জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের মরহুম রমজান আলীর স্ত্রী রেবেকা খাতুন IMG_3493(৩০), জীবননগর উপজেলা সদরের মরহুম ইসাহাকের ছেলে খোকন (৪০), জীবননগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ওসমান গনির ছেলে কাশেম (৬৭) ও একই উপজেলার খয়েরহুদা  গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আসাদুল হক (৩২)। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাবেক আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন (৪৮), একই গ্রামের মরহুম আব্দুল মজিদের ছেলে আনোয়ারুল কুদ্দুস (৫২) ও তার ছেলে সেলিম উদ্দিন (৩২), একই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান (৩৭)। এদিকে দূর্ঘটনার পরপরই আহতদের দেখতে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ছুটে যান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগর, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. নুরুল হাফিজ, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। দূর্ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে প্রায় দেড় ঘন্টা যানবহন চলাচল বন্ধ ছিলো। দুর্ঘটনা কবলিত দুটি বাস ও করিমন সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়ে এ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

You cannot copy content of this page

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড মোড়ে দ্রুতগামী দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ বৃষ্টিতে বিপত্তি : আলমসাধু চালক ও পূর্বাশা পরিবহনের হেলপার নিহত

আপলোড টাইম : ০৮:৪৮:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০১৬

14962643_359654837710485_4028965454621254168_nঘটনাস্থল থেকে ফিরে আফজালুল হক/মিথুন মাহমুদ: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড মোড়ে দ্রুতগামী দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে  আলমসাধু গাড়ীর  চালক ও পূর্বাশা পরিবহনের হেলপার  নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৬ জন। তাদেরকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। নিহতরা হলো-  দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর শেখপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে আলমসাধুর চালক সাইফুল ইসলাম (৩২)  ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুরের ওবাইদুরের ছেলে পূর্বাশা পরিবহনের হেলপার স্বপন (২৫)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে ঢাকা থেকে জীবননগর হয়ে দর্শনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পূর্বাশা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৬১২) ও চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে14956009_359654971043805_2299943887814150498_n আসা শাপলা পরিবহন (ঝিনাইদহ জ-০৪-০০১০), জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর বাসস্যান্ড মোড়ে  পৌছালে ওই দুটি দ্রুতগামী বাসের সামনে পড়ে আলমসাধু গাড়ী। এতে দু’বাস চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে অজ্ঞাত (৪৫) আলমসাধু (শ্যালো মেশিন চালিত) চালক ঘটনাস্থলেই ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুরের ওবাইদুরের ছেলে পূর্বাশা পরিবহনের হেলপার স্বপন (২৫) জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেয়ার পর নিহত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি হয়ে স্বপন মারা যান। আর সেখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সহিদুল বিশ্বাসের ছেলে আনিসুর (৪০), ঝিনাইদহ জেলার কোর্টচাদপুর উপজেলার আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাজমুল (২০), জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৫০), দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের বিশারত আলীর ছেলে স্বপন (৩৫), চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী জোসনা বেগম (৫০), মেহেরপুর জেলার বড় গাঙনী উপজেলার ঝন্টুর স্ত্রী শ্যামলী (২২) ও একই উপজেলার মাবুদের মেয়ে শাপলা (২৫), দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছী গ্রামের সুলতানের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪০), জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের মরহুম রমজান আলীর স্ত্রী রেবেকা খাতুন IMG_3493(৩০), জীবননগর উপজেলা সদরের মরহুম ইসাহাকের ছেলে খোকন (৪০), জীবননগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ওসমান গনির ছেলে কাশেম (৬৭) ও একই উপজেলার খয়েরহুদা  গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আসাদুল হক (৩২)। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাবেক আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন (৪৮), একই গ্রামের মরহুম আব্দুল মজিদের ছেলে আনোয়ারুল কুদ্দুস (৫২) ও তার ছেলে সেলিম উদ্দিন (৩২), একই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান (৩৭)। এদিকে দূর্ঘটনার পরপরই আহতদের দেখতে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ছুটে যান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগর, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. নুরুল হাফিজ, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। দূর্ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে প্রায় দেড় ঘন্টা যানবহন চলাচল বন্ধ ছিলো। দুর্ঘটনা কবলিত দুটি বাস ও করিমন সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়ে এ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন জানান।