ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন ভোটারের ভোট কেনা হচ্ছে ৩৫/৪০ হাজার টাকায়!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:০৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৫১২ বার পড়া হয়েছে

rte54y

দর্শনা অফিস: আগামী ২০১৭সালের জানুয়ারী মাসে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ভোটার প্রতি ৩০/৩৫হাজার টাকা করে এসব ভোটারদের ভোট কেনা হচ্ছে বলে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম ও তরুন শ্রমিক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সময়ের সমীকরণকে অভিযোগে জানান। তবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি কোন ভোটারকে টাকা দিয়ে কিনছি না। এমনিতেই আমার সংগঠনে শ্রমিকরা যোগদান করছেন। হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব টাকার উৎস কোথায় এ সম্পর্কে আদর্শবান শ্রমিকরা জানতে চায়। কেরু চিনিকলের সাধারণ শ্রমিকেরা ধীরে ধীরে সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাশ্রয় নীতির নামে শ্রমিকরা তাদের চাকুরী হারাচ্ছেন। ইনক্রিমেন্ট, ওভার টাইম, ইনসেপ্টিসহ নানা অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। আর অপরদিকে শ্রমিক নেতাদের ভাগ্যের উন্নতি ঘটছে। তা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বোঝা যায়। শ্রমিকের ভোট কেনার বিষয়ে ফিরোজ আহম্মেদ সবুজের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত ক্ষমতাসীন নেতারদের কার্যক্রম দেখে শ্রমিকরা আমার কাছে চলে আসছে। আমি কোন শ্রমিক ভোটারকে কিনছি না। এতো শ্রমিকের ভোট কিনতে কত টাকা লাগতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমি অত টাকা কোথায় পাবো। আমাকে ভালবেসে সবুজ সংগঠনে শ্রমিকেরা একে একে যোগ দিচ্ছেন। এসময় পাওয়ার হাউজের কর্মচারী আতিয়ার রহমান বলেন, আমার হেলপার ছিল তাকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি একা কি করে তেলের ড্রাম উঠিয়ে পাওয়ার মেশিনে তেল ভরবো। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একজন লোক দিয়ে চালানো সম্ভব না। ছুটি অথবা অসুস্থ্য হতে পারি, তখন কি পাওয়ার হাউজ বন্ধ থাকবে, তাহলে মিল চলবে কি করে? এমনি হাজারো প্রশ্ন শ্রমিকদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে কেরু চিনিকলে সাড়ে ৪হাজার শ্রমিক থেকে বর্তমান ১হাজার ১৯১জন আপতকালীন শ্রমিক খাতা কলমে থাকলেও সেখানে রয়েছে ১হজার ১৮০জন শ্রমিক। তাহলে আর ১১জন শ্রমিক কোথায় আছে এমনি হাজারো প্রশ্ন হতভাগ্য শ্রমিক ও কর্মচারীদের মনে। মিল ভিত্তিক সদর দপ্তর থেকে ১২৬০ শ্রমিক কর্মস্থলে অনুমোদন থাকার কথা থাকলেও সেখানে ১হাজার ১৮০জন শ্রমিক কাজ করছে খাতা কলমে। বাকি শ্রমিক গেল কোথায়। (১ম পর্ব শুরু) চলবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন ভোটারের ভোট কেনা হচ্ছে ৩৫/৪০ হাজার টাকায়!

আপলোড টাইম : ০২:০৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬

rte54y

দর্শনা অফিস: আগামী ২০১৭সালের জানুয়ারী মাসে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ভোটার প্রতি ৩০/৩৫হাজার টাকা করে এসব ভোটারদের ভোট কেনা হচ্ছে বলে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম ও তরুন শ্রমিক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সময়ের সমীকরণকে অভিযোগে জানান। তবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি কোন ভোটারকে টাকা দিয়ে কিনছি না। এমনিতেই আমার সংগঠনে শ্রমিকরা যোগদান করছেন। হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব টাকার উৎস কোথায় এ সম্পর্কে আদর্শবান শ্রমিকরা জানতে চায়। কেরু চিনিকলের সাধারণ শ্রমিকেরা ধীরে ধীরে সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাশ্রয় নীতির নামে শ্রমিকরা তাদের চাকুরী হারাচ্ছেন। ইনক্রিমেন্ট, ওভার টাইম, ইনসেপ্টিসহ নানা অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। আর অপরদিকে শ্রমিক নেতাদের ভাগ্যের উন্নতি ঘটছে। তা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বোঝা যায়। শ্রমিকের ভোট কেনার বিষয়ে ফিরোজ আহম্মেদ সবুজের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত ক্ষমতাসীন নেতারদের কার্যক্রম দেখে শ্রমিকরা আমার কাছে চলে আসছে। আমি কোন শ্রমিক ভোটারকে কিনছি না। এতো শ্রমিকের ভোট কিনতে কত টাকা লাগতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমি অত টাকা কোথায় পাবো। আমাকে ভালবেসে সবুজ সংগঠনে শ্রমিকেরা একে একে যোগ দিচ্ছেন। এসময় পাওয়ার হাউজের কর্মচারী আতিয়ার রহমান বলেন, আমার হেলপার ছিল তাকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি একা কি করে তেলের ড্রাম উঠিয়ে পাওয়ার মেশিনে তেল ভরবো। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একজন লোক দিয়ে চালানো সম্ভব না। ছুটি অথবা অসুস্থ্য হতে পারি, তখন কি পাওয়ার হাউজ বন্ধ থাকবে, তাহলে মিল চলবে কি করে? এমনি হাজারো প্রশ্ন শ্রমিকদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে কেরু চিনিকলে সাড়ে ৪হাজার শ্রমিক থেকে বর্তমান ১হাজার ১৯১জন আপতকালীন শ্রমিক খাতা কলমে থাকলেও সেখানে রয়েছে ১হজার ১৮০জন শ্রমিক। তাহলে আর ১১জন শ্রমিক কোথায় আছে এমনি হাজারো প্রশ্ন হতভাগ্য শ্রমিক ও কর্মচারীদের মনে। মিল ভিত্তিক সদর দপ্তর থেকে ১২৬০ শ্রমিক কর্মস্থলে অনুমোদন থাকার কথা থাকলেও সেখানে ১হাজার ১৮০জন শ্রমিক কাজ করছে খাতা কলমে। বাকি শ্রমিক গেল কোথায়। (১ম পর্ব শুরু) চলবে।