শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি
চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকালে শরীফুজ্জামান শরীফ

রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি হবে, ব্যবসার জায়গায় ব্যবসা হবে

১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম লার্জ ও সদস্যসচিব হয়েছেন সুমন
  • আপলোড তারিখঃ ০৯-০৫-২০২৫ ইং
রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি হবে, ব্যবসার জায়গায় ব্যবসা হবে ছবির ক্যাপশন: চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির

চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আহ্বায়ক হিসেবে মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ ও সদস্যসচিব হিসেবে সুমন পারভেজ খান দায়িত্ব পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সরোয়ার বাবু, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি শাহরিন হক মালিক ও সমবায় নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চোধুরী, পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, এপিপি অ্যাড. এএসএন হাসেমী, অ্যাড. আব্দুর রউফ, সাংবাদিক কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম প্রমুখ।

আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়ার পূর্বে সভার প্রথম পর্বে গত সভার কার্যবিবরণী তুলে ধরেন জেলা দোকান মালিক সমিতির পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার ইবু। আয়-ব্যায়ের হিসাব উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ তবিবুর রহমান জোয়ার্দ্দার বাবু। পরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ ৩ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি ‍ও ১৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করেন। তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিতে আছেন- ইবরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার ইবু, রাফিতুল্লাহ মহলদার ও হাজী মো. সেলিম রেজা।

১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ ও সদস্যসচিব হিসেবে সুমন পারভেজ খান দায়িত্ব পেয়েছেন। ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের জগলু, হাজী মো. শাহাবুদ্দিন মল্লিক, সদস্য ফারুক হোসেন, জাকির হোসেন টুটুল, সামশুজ্জামান খোকন, পলাশ কুমার সাহা, শেখ পেয়ার মোহাম্মদ, জাকির হোসেন, হাবিবুল্লাহ জোয়ার্দ্দার ছটি, মহিনুল ইসলাম ও বজলুর রহমান। এই কমিটি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট হলেও একটি পদ খালি রাখা হয়েছে, কমিটি কো-আপ্টের মাধ্যমে সেটি পূরণ করবে। এই কমিটির মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি হবে না। এর মধ্যেই একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে।

কমিটি ঘোষণাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আজকে যখন রাষ্ট্র ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে অতিক্রান্ত হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে আমরা একত্রিত হয়েছি। বিগত পতিত স্বৈরাচার সরকারের সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যমান থাকা দুর্নীতি ও দূরবস্থা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এই রাষ্ট্র আমাদের রাষ্ট্র, এই দেশ আমাদের বাসস্থান। আমরা যদি নিজেরা সংশোধন না হই, তবে এই রাষ্ট্র যারা পরিচালনা করেন, তারা তা পারবেন না। আমাদের সকলকে নিজ নিজ স্থান থেকে কাজ করতে হবে। দেশপ্রেম থাকতে হবে। আমরা যে জেলায় বসবাস করি, নিজ নিজ জেলার জন্য অন্তত সেরাটা দিয়ে কাজ করতে হবে। নিজ জেলার প্রতি টান থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হচ্ছে এই চুয়াডাঙ্গা বাজার কমিটি। ছোটবেলা থেকে দেখেছি অনেক গুণীজন এই কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে, পুলিশের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে, প্রশাসনের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে, যখন যে সরকার ক্ষমতায় থেকেছে, সে সরকারের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়েও এই বাজার কমিটি শক্তিশালী রূপে সবসময় দাঁড়িয়ে থেকেছে।’

শরীফুজ্জামান বলেন, ‘বিগত সময়ে যে অত্যাচার-নিপীড়ন চলেছে, কেউই তার আত্মসম্মান নিয়ে নিজ অবস্থানে থাকতে পারেনি। আমরা দেখছি আজকে সারা দেশে সামাজিকতার অবক্ষয় হয়েছে, রাষ্ট্রীয় অবক্ষয় হয়েছে। সেই অবস্থা থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ধারা তৈরি করতে পারি, যেন অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণতান্ত্রিক ধারায় নেতৃত্ব তৈরি হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যেতে চাই। কেউ যেন বলতে না পারে এটি বিএনপি, জামায়াত বা কোনো রাজনৈতিক দলের বানিয়ে দেওয়া প্রতিষ্ঠান- আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই। একজন ব্যক্তি একটি দলকে সমর্থন করতে পারে, কিন্তু সে যে দলই করুক না কেন, তাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জেলায় অনেক কমিটি ৫ আগস্টের পরেই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। কিন্তু আমি দায়িত্বশীল স্থানে থেকে এই জেলার কোনো অরাজনৈতিক কমিটি ভাঙতে দিইনি। অনেকে আমাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেছে। যখন খুলনা বিভাগের সব জেলাতেই অরাজনৈতিক কমিটিগুলো পরিবর্তন হয়েছে, তখন একমাত্র খুলনা বিভাগে এই চুয়াডাঙ্গা জেলা, এই ছোট্ট একটি শহরে, আমরা সামাজিক সম্পর্ক বজায় রেখে সকলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছি ও চেষ্টা করে চলেছি। রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি হবে, ব্যবসার জায়গায় ব্যবসা হবে।’

জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ এই সভায় যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কমিটির মেয়াদ হবে ৯০ দিন। যারা এই কমিটিতে থাকবেন, আমি তাদেরকে বলতে চাই, ৯০ দিনের মধ্যেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপনাদের যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন করতে হবে। অন্যথায় ঠিক ৯০ দিন পর এই কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া হবে। যারা বর্তমানে ব্যবসার সঙ্গে নেই, তাদেরকে বাদ দিয়ে যারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন বা ব্যবসায়ী হয়েছেন, সেই নতুনদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। আহ্বায়ক কমিটি পৃথক উপ-কমিটি গঠন করে এই কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যদি কেউ বাদ পড়েন, তাকে অবশ্যই তার ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশন ছাড়া কমিটির সদস্যদের বাইরের কেউ এই কমিটিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’



কমেন্ট বক্স
notebook

কারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন, জানালেন আমীর খসরু