এবার আলমডাঙ্গা পৌরসভার সার্ভেয়ার মোর্শেদুর নাহার নিশি ও তার মা টিকাদানকর্র্মী বেবি খাতুনের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত এসেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসককে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সরকারের সহকারী পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল নাঈমকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আগামী ১২ মে সোমবার সরেজমিনে তদন্ত করার পত্র দিয়েছেন মোর্শেদুর নাহার নিশি ও তার মা মোছা. বেবি খাতুনকে। তবে দুদকে অভিযোগকারী বলছেন, অভিযুক্তরা নানাভাবে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিলেও সত্যের সাথে অনড় থাকবেন তিনি।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ৩ ও ৪ তারিখে দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকা তথ্য অধিকার আইনের সহযোগিতা নিয়ে মোর্শেদুর নাহার নিশি ও তার মা টিকাদানকর্র্মী বেবি খাতুনের আলমডাঙ্গা পৌরসভায় চাকরি নিয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে। ওই সংবাদ প্রকাশের পর আলমডাঙ্গা পৌরসভার কার্যসহকারী ওবাইদুল ইসলাম দুদকে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তদন্তের দায়িত্ব দেয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসককে।
দুদকে করা অভিযোগে মোর্শেদুর নাহার নিশি ও তার মা টিকাদানকর্মী বেবি খাতুন স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে চাকরি নেয়াসহ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে জাল সার্টিফিকেটেরও। এসব বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি সংশ্লিষ্টদের। তবে দুদকে অভিযোগকারী আলমডাঙ্গা পৌরসভার কার্যসহকারী ওবাইদুল ইসলাম বলছেন, ‘আমাকে নানাভাবে প্রভাবিত ও অভিযোগ প্রত্যাহার করানোর চাপ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমি আমার জায়গায় অনড় থাকব। আমি সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
আলমডাঙ্গা পৌরসভার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বলেন, ‘নিশি ও তার মায়ের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে। তদন্ত যাতে সুষ্ঠু না হয়, সে জন্য তারা নানা চেষ্টা করছে। তারা কাগজপত্র ঠিক করবার চেষ্টাও করছে। কিন্তু আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’