ইপেপার । আজ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

তাকদিরে বিশ্বাসের সুফল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৫১১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: ইমানের একটি মৌলিক বিষয় হলো তাকদির বা ভাগ্যলিপি। যা কিছু এখন ঘটছে এবং ভবিষ্যতে যা কিছু ঘটবে সেটা ছোট-বড়, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাই হোক সবই আল্লাহর জ্ঞাতসারে হচ্ছে। সবকিছুই আল্লাহ ইচ্ছায় অস্তিত্বে আসছে। তার নির্দেশ ছাড়া কিছু হয় না। সামান্য একটি পাতাও তার নির্দেশ ছাড়া নড়ে না। সুতরাং সুস্থতা-অসুস্থতা, সন্তানের জš§, প্রাণীর মৃত্যু সবই আল্লাহর অনন্তকালের ইলম তথা জ্ঞাতসারে। আর আল্লাহ সৃষ্টি করার কারণেই তা অস্তিত্ব লাভ করছে। আর অনাদিকালের এই ইলমের নামই হলো তাকদির। আমাদের ভালো-মন্দ, লাভ-ক্ষতি যা কিছুই ঘটুক আল্লাহ তায়ালা সবকিছু জানেন এবং তার জ্ঞাতসারেই সবকিছু ঘটছে। কারো এই সাধ্য নেই আল্লাহর জ্ঞাতসারের বাইরে কাউকে লাভ-ক্ষতি পৌঁছাবে। সুতরাং বিষ তাকদিরের বাইরে কাউকে ক্ষতি করতে পারে না। তাকদিরের বাইরে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে ওষুধ সুস্থতা দিতে পারে না। সাপ তাকদিরের বাইরে কাউকে কামড় দিতে পারে না। ছুরি কোনো জিনিস কাটতে পারে না যতক্ষণ না আল্লাহর তাকদিরের সিদ্ধান্ত না হয়। যদিও ছুরির ব্যাপারে আল্লাহ এই বিধান রেখেছেন যে, যখন কোনো নরম জিনিসের ওপর তা চালানো হয় তখন কাটবে। কিন্তু আল্লাহ যদি চান কাটবে না তাহলে শত চেষ্টাও করেও নরম জিনিস কাটা যাবে না। ইবরাহিম (আ.) স্বপ্নে দেখলেন, তিনি তার ছেলেকে নিজ হাতে কোরবানি করছেন। নবীদের স্বপ্নও যেহেতু ওহি, তাই এই স্বপ্নের অর্থ হলো তুমি তোমার সন্তানের গলায় ছুরি চালাও। কিন্তু যখন ছুরি চালালেন তখন তা কাজ করল না। কারণ আল্লাহ চাননি ইসমাইলের গলা কাটুক। এ জন্য ছুরি চালিয়েও কাজ হয়নি। অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে, তাকদিরে যেহেতু সবকিছু ঠিক করা আছে সুতরাং চেষ্টা করে আর কী লাভ। কিন্তু এটা ঠিক নয়। আপনার ভাগ্যলিপিতে কী আছে সেটা আল্লাহর আগেই জানা। তাই বলে আপনি নিজের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে যেতে পারেন না। আপনি গোটা জীবন কী করবেন সেটা সম্পর্কে আল্লাহ জ্ঞাত। এই জ্ঞাত থাকা আপনার কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। সুতরাং মানুষের উচিত তাকদিরের ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে ভালো কাজ করে যাওয়া। প্রকৃত বিশ্বাসীরাই শেষ বিচারে মুক্তি পাবে, বিপদে পড়বে সংশয়বাদীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

তাকদিরে বিশ্বাসের সুফল

আপলোড টাইম : ০৫:১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: ইমানের একটি মৌলিক বিষয় হলো তাকদির বা ভাগ্যলিপি। যা কিছু এখন ঘটছে এবং ভবিষ্যতে যা কিছু ঘটবে সেটা ছোট-বড়, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাই হোক সবই আল্লাহর জ্ঞাতসারে হচ্ছে। সবকিছুই আল্লাহ ইচ্ছায় অস্তিত্বে আসছে। তার নির্দেশ ছাড়া কিছু হয় না। সামান্য একটি পাতাও তার নির্দেশ ছাড়া নড়ে না। সুতরাং সুস্থতা-অসুস্থতা, সন্তানের জš§, প্রাণীর মৃত্যু সবই আল্লাহর অনন্তকালের ইলম তথা জ্ঞাতসারে। আর আল্লাহ সৃষ্টি করার কারণেই তা অস্তিত্ব লাভ করছে। আর অনাদিকালের এই ইলমের নামই হলো তাকদির। আমাদের ভালো-মন্দ, লাভ-ক্ষতি যা কিছুই ঘটুক আল্লাহ তায়ালা সবকিছু জানেন এবং তার জ্ঞাতসারেই সবকিছু ঘটছে। কারো এই সাধ্য নেই আল্লাহর জ্ঞাতসারের বাইরে কাউকে লাভ-ক্ষতি পৌঁছাবে। সুতরাং বিষ তাকদিরের বাইরে কাউকে ক্ষতি করতে পারে না। তাকদিরের বাইরে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে ওষুধ সুস্থতা দিতে পারে না। সাপ তাকদিরের বাইরে কাউকে কামড় দিতে পারে না। ছুরি কোনো জিনিস কাটতে পারে না যতক্ষণ না আল্লাহর তাকদিরের সিদ্ধান্ত না হয়। যদিও ছুরির ব্যাপারে আল্লাহ এই বিধান রেখেছেন যে, যখন কোনো নরম জিনিসের ওপর তা চালানো হয় তখন কাটবে। কিন্তু আল্লাহ যদি চান কাটবে না তাহলে শত চেষ্টাও করেও নরম জিনিস কাটা যাবে না। ইবরাহিম (আ.) স্বপ্নে দেখলেন, তিনি তার ছেলেকে নিজ হাতে কোরবানি করছেন। নবীদের স্বপ্নও যেহেতু ওহি, তাই এই স্বপ্নের অর্থ হলো তুমি তোমার সন্তানের গলায় ছুরি চালাও। কিন্তু যখন ছুরি চালালেন তখন তা কাজ করল না। কারণ আল্লাহ চাননি ইসমাইলের গলা কাটুক। এ জন্য ছুরি চালিয়েও কাজ হয়নি। অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে, তাকদিরে যেহেতু সবকিছু ঠিক করা আছে সুতরাং চেষ্টা করে আর কী লাভ। কিন্তু এটা ঠিক নয়। আপনার ভাগ্যলিপিতে কী আছে সেটা আল্লাহর আগেই জানা। তাই বলে আপনি নিজের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে যেতে পারেন না। আপনি গোটা জীবন কী করবেন সেটা সম্পর্কে আল্লাহ জ্ঞাত। এই জ্ঞাত থাকা আপনার কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। সুতরাং মানুষের উচিত তাকদিরের ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে ভালো কাজ করে যাওয়া। প্রকৃত বিশ্বাসীরাই শেষ বিচারে মুক্তি পাবে, বিপদে পড়বে সংশয়বাদীরা।