রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

আবারও বলছি ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচন

  • আপলোড তারিখঃ ২৬-০৩-২০২৫ ইং
আবারও বলছি ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচন

  • * আগামী নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হোক; এজন্য ইসি সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে
    * রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজে খুবই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে
    * জুলাই সনদ হবে, দলগুলো তাতে স্বাক্ষর করবে
    * আমরা কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় আছি
    * দুর্নীতিমুক্ত হওয়া ছাড়া গতি নেই
    * গণহত্যায় জড়িতদের বিচার হবেই

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি-এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। তার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই-আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হোক। এজন্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক উত্সাহ, উদ্দীপনায় নির্বাচনের জন্য তৈরি হতে শুরু করবে বলে আশা করছি।
‘রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজে খুবই ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে মত দিচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজে খুবই ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরছেন। কোন রাজনৈতিক দল কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছে, কোনটিতে দ্বিমত প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি-এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। তার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই-আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হোক। এজন্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক উতৎসাহ, উদ্দীপনায় নির্বাচনের জন্য তৈরি হতে শুরু করবে বলে আশা করছি।
‘রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজে খুবই ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে মত দিচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজে খুবই ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরছেন। কোন রাজনৈতিক দল কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছে, কোনটিতে দ্বিমত হয়েছে-সেসব তারা জানাচ্ছেন। এটা আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত সুখকর বিষয় যে, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে মত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে। ৬টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়েছে।
‘গণহত্যায় জড়িতদের বিচার এ দেশের মাটিতে হবেই’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি পৃথক অধিবেশন আয়োজন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের নিপীড়নের বর্ণনা উঠে এসেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে। তিনি বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, যারা গণহত্যায় জড়িত ছিল, যারা নির্বিচার মানুষ হত্যা করেছে, যারা ইতোমধ্যে হত্যাকারী হিসেবে বিশ্বের কাছে স্বীকৃত, তাদের বিচার এ দেশের মাটিতে হবেই।
‘জুলাই সনদ হবে, দলগুলো তাতে স্বাক্ষর করবে’
প্রধান উপদেষ্টো তার ভাষণে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়ার কাজ এখন চলমান আছে। কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে যে সকল বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং তার একটা তালিকা প্রস্তুত করা। যে সকল দল এতে একমত হয়েছে তাদের স্বাক্ষর নেওয়া। এই তালিকাটিই হবে জুলাই চার্টার বা জুলাই সনদ। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব, জাতির সামনে পুরো প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছভাবে তুলে ধরা এবং প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা।
‘আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, ‘গুজব’ হলো পরাজিত শক্তির মস্তবড় হাতিয়ার’
ড. ইউনূস বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম পর্ব সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। প্রথম পর্বের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলো। সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় আছি। ‘গুজব’ হলো এই জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে পরাজিত শক্তির মস্ত বড় হাতিয়ার। গুজব দেখলেই গুজবের সূত্রের সন্ধান করতে থাকবেন। গুজবকে অবহেলা করবেন না। বহু অভিজ্ঞ সমরবিশারদ এই গুজবের পেছনে দিনরাত কাজ করছে, সীমাহীন অর্থ এর পেছনে নিয়োজিত আছে। এর মূল লক্ষ্য জুলাই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করা। আমরা তাকে ব্যর্থ হতে দেব না। ভাষণে তিনি বলেন, সামগ্রিক ঐক্য পলাতক শক্তির গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে। তারা এই ঐক্য ভাঙতে চায়। তাদের অভিনব কৌশল আপনি টেরই পাবেন না। আপনি বুঝতেই পারছেন না কখন তাদের খেলায় আপনি পুতুল হয়ে গেছেন। আমাদের সচেতনতা এবং সামগ্রিক ঐক্য দিয়েই এই গুজবকে রুখতে হবে। পলাতক অপশক্তির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে হবে।
‘রমজানে দ্রব্যমূল্য আগের তুলনায় কমেছে, জনগণ স্বস্তি পেয়েছে’
ভাষণে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ব্যবস্থা নিয়েছে। রমজান ও ঈদে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জিনিসপত্রের দামের লাগাম টেনে ধরা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ রমজানে যাতে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে না যায় এবং বিদ্যু সরবরাহ যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। রমজান মাস জুড়ে সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের সব জায়গা থেকে খবর এসেছে, এই রমজানে দ্রব্যমূল্য আগের তুলনায় কমেছে; জনগণ স্বস্তি পেয়েছে।
‘পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা লন্ডভন্ড অর্থনীতি রেখে গেছে’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে ভয়াবহ লুটপাট কায়েম করেছিলেন, আপনারা সেটির ভুক্তভোগী ছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় এক লন্ডভন্ড অর্থনীতি রেখে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাংকিং খাতে কৃঙ্খলা ফিরেছে, ক্রমান্বয়ে অর্থনীতির অপরাপর সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করছে। এ সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগামী জুন মাসের মধ্যে এটি ৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশা করছি।
‘রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতি গড়ার বীর সৈনিক’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিতে স্বস্তি এনে দিয়েছেন প্রবাসী ভাইবোনরা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড গড়েছে, প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতি গড়ার বীর সৈনিক। তাদের জন্য প্রক্রিয়াগত যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলো সহজ করে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তারা যেন ভোগান্তির শিকার না হন, দূতাবাস যেন ঠিকমতো কাজ করে, এটি নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যেন তাদের ভোটাধিকার দিতে দেওয়া যায়, সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।
‘পলাতক সরকারের আমলে চর দখলের মতো দেশের ব্যাংকগুলো দখল করা হয়েছিল’
পলাতক সরকারের আমলে চর দখলের মতো দেশের ব্যাংকগুলো দখল করে নেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমানতকারীর টাকাকে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত টাকায় রূপান্তর করে ফেলেছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ ছিল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনা, আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষা করে কৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, হিসাবপত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপন করা। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আস্থা প্রতিষ্ঠা করা গেছে। ফলে অর্থনীতিতে কৃঙ্খলা ফিরেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জনগুলোর মধ্যে এটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত সরকারের লুটপাটের মহোত্সবে গত ১৫ বছরে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। কত রকমভাবে পাচার হয়েছে, তাও জানার বিষয়। অভিনব একেকটা পদ্ধতি ছিল। এই অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে ইতামিধ্যে আন্তর্জাতিক তত্পরতা জোরদার করা হয়েছে।



কমেন্ট বক্স
notebook

কারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন, জানালেন আমীর খসরু