তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী কাজ দ্বিগুণ বেড়ে গেলেও বিপত্তি নেটওয়ার্কে দুর্ভোগে ইউনিয়নবাসী : সঠিক সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে না কোন কাজই
- আপলোড টাইম : ০১:১১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০১৬
- / ৬৩২ বার পড়া হয়েছে
আকিমুল ইসলাম: বর্তমান যুগে ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্য ছাড়া যেন কেউই সঠিকভাবে কোন কাজ সম্পন্ন করতে পারেনা। পারিবারিক কাজসহ প্রায় সবকিছুতেই ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্য ছাড়া করা অসম্ভব তাছাড়া প্রত্যেক দেশের মানুষেরই জন্ম সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা অবশ্যয় দরকারি। এর মাধ্যমেই দেশের সঠিক নাগরিক হিসেবে গণ্য করা যায়। তবে যেখানেই এই মূল্যবান কার্ডটি তৈরি করা হয় যদি সেখানে থাকে বেহালদশা তাহলে দেশের জনগন কি করে তাদের পরিচয় প্রকাশ করবে? ঠিক এরকমই কথা উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ পুরো ইউনিয়নের মানুষের মুখে। বর্তমান বাংলদেশ সরকার দেশের সকল প্রথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে রুপালী ব্যাংকের মাধ্যমে সিওরক্যাশে নিজের মোবাইল ফোনে বৃত্তি প্রদান প্রস্তুতি গ্রহন করছে। তবে এটা করতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের তৈরি করছে হচ্ছে নাগরিক সনদ পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কার্ডটি। একারনে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন কার্যালয়ের মত তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে জন্ম সনদ কার্ড তৈরির হিড়িক। শুধু নিবন্ধন কার্ডই যে তৈরি তা কিন্তুু নই পাশাপাশি চলছে অন্য সব কাজও, তবে বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন তৈরির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অত্র পরিষদের কর্মচারী শফি রহমান জানান এখন তারা খুবই ব্যস্তময় সময় পার করছে পুরো ইউপির কার্ড না পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ নানা পেশার মানুষগণের সনদ তৈরিতে। সঠিক সময়ে সম্পন্ন করতে পারছেনা তাদের কাজগুলো । তারা বলে পরিষদের কর্তব্যরতা সময় মত কাজ না করতে পারার কারন পর্যাপ্ত পরিমানে নেটওয়্যার্কের অভাব। তারা আরও বলে আমারা শুধু দিনে নই রাতেও চালিয়ে যাচ্ছি কার্ড তৈরির কাজ তবে এটা নেটওয়ার্ক দুর্বলের কারনে খুবই ধীর গতিতে চলছে একারনে ঠিকভাবে কাজ করতে পারছিনা। তাই জন্ম সনদ তৈরির অনেক রিসিফ আমাদের কাছে জমা পড়লেও আমরা সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে পারছিনা নেটওয়ার্কের কারনে। কিন্তুুু সঠিক সময়ের মধ্যে সনদগুলো তৈরি করে নিজ নিজ হাতে তুলে দেবার কথা থাকলেও সঠিক সময়ের মধ্যে তুলে দিতে পারবে কি তা নিয়ে দূর্ভোগে পড়েছে অত্র কার্যালয়ের সবাই। এদিকে সাধারন জনগনও বারবার ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের মাধ্যমে পড়ছে ভুগান্তিতে। এবিষয়ে এলাকাবাসী জানান উর্ধতন কর্মকর্তা যদি এদিকে একটু সুনজর দিতো তাহলে জনসাধারণ এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারতো।