ইপেপার । আজ শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝিনাইদহের রাউতাইলে সন্তান না হওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ের চুল কেটে নির্যাতন কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা : গ্রেফতার ৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩০৭ বার পড়া হয়েছে

Jhenidah-house-wife-tortureঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাউতাইল গ্রামে মঙ্গলবার দুই সন্তানের জননী রুমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধুকে প্রথমে চুল কেটে নির্যাতন ও পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে স্বামী ও তার পরিবার। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী ও শ্বাশুড়িসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসি জানায়, ৭ বছর আগে সদর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রুমা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় রাউতাইল গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে ফিরোজ হোসেনের সাথে। বড় স্ত্রী নাজমা বেগমের কোন সন্তান না হওয়ায় রুমাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন ফিরোজ। এরপর রুমার কোল জুড়ে আসে দুইটি কন্যা সন্তান।  নির্যাতিত রুমার বোন রিনা খাতুন জানান, প্রথম স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় ফুসলিয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় রুমাকে বিয়ে করেন ফিরোজ হোসেন। বিয়ের পর থেকে শুরু হয় তার উপর নির্যাতন। সন্তান দুটি মায়ের কাছে না দিয়ে ঝিঁয়ের মত ব্যবহার শুরু করেন সতিন নাজমা খাতুন। শ্বাশুড়ি মনোয়ারা খাতুন, ফুফু শ্বাশুড়ি উষা খাতুন ও স্বামী ফিরোজ হোসেন বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার সকালে শ্বাশুড়ি মনোয়ার খাতুন, সতিন নাজমা খাতুন, স্বামী ফিরোজ হোসেন রুমাকে ঘরে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করতে থাকে। এক পর্যাায়ে তার চুল কেটে দেওয়া হয়। এতোও খায়েশ মেটেনি তাদের। হত্যার উদ্যেশ্যে রুমার সারা গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করে রুমা খাতুন জীবন বাচাতে পালিয়ে ঝিনাইদহ শহরের একটি বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রুবিনা পারভিন জানান, রুমার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও সিগারেটের আগুনের স্যাকা পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, গৃহবধু নির্যাতনের অভিযোগে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহের রাউতাইলে সন্তান না হওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ের চুল কেটে নির্যাতন কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা : গ্রেফতার ৩

আপলোড টাইম : ০১:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০১৬

Jhenidah-house-wife-tortureঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাউতাইল গ্রামে মঙ্গলবার দুই সন্তানের জননী রুমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধুকে প্রথমে চুল কেটে নির্যাতন ও পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে স্বামী ও তার পরিবার। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী ও শ্বাশুড়িসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসি জানায়, ৭ বছর আগে সদর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রুমা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় রাউতাইল গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে ফিরোজ হোসেনের সাথে। বড় স্ত্রী নাজমা বেগমের কোন সন্তান না হওয়ায় রুমাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন ফিরোজ। এরপর রুমার কোল জুড়ে আসে দুইটি কন্যা সন্তান।  নির্যাতিত রুমার বোন রিনা খাতুন জানান, প্রথম স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় ফুসলিয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় রুমাকে বিয়ে করেন ফিরোজ হোসেন। বিয়ের পর থেকে শুরু হয় তার উপর নির্যাতন। সন্তান দুটি মায়ের কাছে না দিয়ে ঝিঁয়ের মত ব্যবহার শুরু করেন সতিন নাজমা খাতুন। শ্বাশুড়ি মনোয়ারা খাতুন, ফুফু শ্বাশুড়ি উষা খাতুন ও স্বামী ফিরোজ হোসেন বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার সকালে শ্বাশুড়ি মনোয়ার খাতুন, সতিন নাজমা খাতুন, স্বামী ফিরোজ হোসেন রুমাকে ঘরে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করতে থাকে। এক পর্যাায়ে তার চুল কেটে দেওয়া হয়। এতোও খায়েশ মেটেনি তাদের। হত্যার উদ্যেশ্যে রুমার সারা গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করে রুমা খাতুন জীবন বাচাতে পালিয়ে ঝিনাইদহ শহরের একটি বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রুবিনা পারভিন জানান, রুমার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও সিগারেটের আগুনের স্যাকা পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, গৃহবধু নির্যাতনের অভিযোগে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।