মদনা মাদ্রাসার কথিত সেক্রেটারী আবু বক্করের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বইতে শুরু করেছে সমালোচনার ঝড় : জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন
- আপলোড টাইম : ০২:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০১৬
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদা উপজেলার মদনা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর কথিত সেক্রেটারী আবু বক্করের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মসহ অবৈধভাবে মাদ্রাসার মাহতামিম শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। জানা গেছে, এলাকাবাসীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের টাওয়ার পাড়ায় প্রায় দুই যুগ আগে ৩৩ শতক জমির উপর হাফিজিয়া ও লিল্লাহ বোর্ডিং স্থাপিত হয়। মাদ্রাসাটি নিয়ে প্রথম দিকে নানা রকম সমস্যার কারনে কয়েকবার বন্ধ হলেও বর্তমানে ৬৫জন শিক্ষার্থী ও দু’জন শিক্ষক দিয়ে সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সুনামের সহিত এ মাদ্রাসায় সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দাতা শিক্ষক খোরশেদ আলম। সরকারী বিধিনুসারে এ মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক হবেন প্রতিষ্ঠানের মাহতামিম। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক না হয়েও নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করে মাদ্রাসার নানা অনিয়ম করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ২৩টি রসিদ বইয়ের হিসাব না দেয়া, খোয়া বিক্রির টাকা তিন বছর পর ফেরত দেয়া, মাদ্রাসার অনুদানের অর্থ নিজের পোল্ট্রিফিড ব্যবসায় জোগান দেয়ার অভিযোগ অন্যতম। এ সমস্ত অনিয়ম জানাজানি হওয়ায় স্বঘোষিত সেক্রেটারী আবু বক্কর নিজের দোষ ঢাকতে তড়িঘড়ি করে সম্পূর্ণ অবৈধ্যভাবে মাদ্রাসার মাহতামিম শফিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করে। এদিকে গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেছেন, সরকারী বিধিনুসারে আবু বক্কর প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক না। তবে সে কিভাবে মাহতামিমকে বরখাস্ত করলো। এ প্রশ্ন এখন এলাকার সচেতন মহলের। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবু বক্করের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, তিনি এ সমন্ধে কিছুই জানেন না। এদিকে জনশ্র“তি রয়েছে প্রায় ৫বছর ধরে কথিত সেক্রেটারী আবু বক্কর এ মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গ্রামবাসী একাধিক বার প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য তাকে নিষেধ করেও কোন ফল হয়নি। তাই বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ।