
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিভিন্ন গ্রামে যত্রতত্র বৃক্ষরোপণের ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ কৃষক। অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণের ফলে জমির মালিকদের মধ্যে প্রায় বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। এমন একটি গ্রাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি। এই গ্রামের অধিকাংশ জমিতে অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ফলে আবাদি জমির পরিমাণ কমে গেছে। আইলের পাশে একজন বৃক্ষরোপণ করায় অন্য জমিতে কোনো ফসল হচ্ছে না। যার কারণে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও কৃষকেরা বৃক্ষ কাটার অনুমতি চেয়ে গণস্বাক্ষর করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।
ফসলি জমির পাশে রোপণকৃত বৃক্ষ একদিকে যেমন খেতের ছায়া দিয়ে ক্ষতি করছে, পাশাপাশি ফসলের মধ্যে গাছের মরাপাতা পড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে। আবাদি ফসল মরে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধান, পাট, গম, ভুট্টা, মসুর ও সরিষা সব ফসলই নষ্ট হওয়ায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকেরা। আড়ুয়াকান্দি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিলন, মোজাম, বিলু, রওশন, কবির, আনোয়ার, লতিফ, রবিউল ও সিরাজুল অভিযোগ করে বলেন, ওই গ্রামের সাবেক একজন কলেজ শিক্ষকের ১৬ বিঘা মেহগনি বাগান রয়েছে। তিনি জমির সীমানা ঘেষে বৃক্ষরোপণ করার ফলে বাগানের চারপাশে ফসলি জমি গাছের ছায়া ও পাতা পড়ে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাকে একাধিকবার বিষয়টি জানালে তিনি কর্ণপাত না করে উল্টো হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন বলেন, ‘আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার কাছে এসেছে মাঠের আবাদি জমির পরিমাণ বাড়াতে, তারা যার যার গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকলের স্বার্থে আমি নিজেও মাঠে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলে আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এলাকার মানুষের সুবিধার্তে যেকোনো সিদ্ধান্তে আমি একমত আছি।’