ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারোবাজারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের অভিযান ফেনসিডিলসহ আ.লীগের দলীয় ৫ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
- আপলোড টাইম : ০১:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজর থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে বিপুল পরিমান ভারতীয় ফেনসিডিলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ ৫জনকে আটক করেছে র্যাব। এ ঘটনায় মাদক স¤্রাট কালামের সন্ত্রাসী বাহিনী ঝিনাইদহ-যশোর সড়ক অবরোধসহ র্যাবের উপর চড়াও হলে র্যাব ফাঁকা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। পরে র্যাবের হস্তক্ষেপে ওই সড়কে যান চালাচল শুরু করে। ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ ৫ জনকে বিপুল পরিমান ফেনসিডিলসহ আটকের কথা স্বীকার করেছেন। প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বিকালে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বারোবাজারের চেয়ারম্যান আবুল কালামের গাড়ি চালক মিঠাপুকুর গ্রামের পুটের ছেলে সুজনকে আটক করে র্যাব। সুজনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বারোবাজার রেল লাইনের পাশে রুহুল আমিনের মার্কেটে র্যাব অভিযান চালায়। এ সময় র্যাব বিপুল পরিমান ফেনসিডিলের সন্ধান পায়। খবর পেয়ে বারোবাজারের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম, তার ভাই সালাম ও ফরহাদ ঘটনাস্থলে এসে র্যাবের উপর চাপ দিতে থাকে। র্যাব চেয়ারম্যানকে প্রথমে চলে যেতে বললে তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে থাকেন এবং সন্ত্রাসীদের জড়ো করে সড়ক অবরোধ ও র্যাবের উপর হামলা করার চেষ্টা করেন। র্যাব এ সময় অবরোধকারীদের উপর মৃদু লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ সময় এক রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দও শুনেছেন বলে জানান। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অনেক আগে থেকেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামেই বারোবাজারে মাদকের সর্ববৃহৎ ঘাট চলে। আওয়ামী লীগের টিকিটে জোরজবর দস্তি করে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি ও তার ভাইয়েরা মাদকব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এর আগে একাধিকবার পুলিশ ও ডিবির উপর চড়াও হয়েছে আবুল কালাম ও তার ভাইয়েরা। অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জের এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে চেয়ারম্যান কালাম মাদক স¤্রাট থেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি কোন আইনের তোয়াক্কা না করে রমরমা মাদকব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে নিজদলীয় কর্মী আনন্দ মোহন ঘোষকে হত্যা, বোমাবাজীসহ একাধিক মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকালে জানান, র্যাবের হাতে বারোবাজারের চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন আটক হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছি। শুনেছি তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে র্যাব। ওসি জানান, এ ঘটনায় বারোবাজারে সড়ক অবেরাধ করা হয়। এখন গাড়ি চলাচল করছে।