ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে

reter

দর্শনা থেকে  আওয়াল হোসেন: আগামী ২৮ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে ৫জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ ও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। দু’একটি স্থানীয় দৈনিকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামন বুলা ও জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক ছাত্রদল নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ এর নাম প্রচারিত হলেও নির্ভরযোগ্য কোন সুত্রই তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে Ÿিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আপাতত দলের কোন ভাবনা নেই। দেশের গণতন্ত্র পূনঃরুদ্ধারে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত ও আন্দোলন সংগ্রাম উপযোগী করে গড়ে তোলায় এই মূহুর্তের প্রধান করনীয়। এছাড়া জেলা পরিষদের ১৫টি সদস্য পদের প্রায় শতাধিক প্রার্থী হবে জানা গেছে এবং ৫টি মহিলা আসনের অনুকুলে প্রায় ২৫জনের মত প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দেওয়ার পর সঠিকভাবে কতজন প্রার্থী হবে তা জানা যাবে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জানান। জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের ভোট না হওয়ায় নির্বাচিন প্রতিনিধি না থাকায় এসব ইউনিয়নের কেউ ভোট দিতে পারবে না। এসব ইউনিয়নগুলো হলো মাখালডাঙ্গা, নেহালপুর, গড়াইটুপি, রায়পুর, মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়নের ভোট না হওয়ায় এ ৬টি ইউনিয়ন ভোট দানে বিরত থাকবে বলে জেলা পরিষদ প্রশাসক জানান। ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদের ৫০৭ জন ভোটার, ৪টি পৌরসভার ৫২জন ও ৪টি উপজেলার ১২জন মোট ৫৭১জন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভোটার হিসেবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে বলে জানা গেছে। এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একটি চিঠি ইস্যু করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। গত ২৪ অক্টোবর সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপসচিব জোবাইদা নাসরিন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জেলা পরিষদ নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্ভাব্য তারিখ ২৮ ডিসেম্বর। তবে প্রয়োজনে তা পরিবর্তন হতে পারে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে ইসি প্রস্তুতি নেবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত

আপলোড টাইম : ০১:৪৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

reter

দর্শনা থেকে  আওয়াল হোসেন: আগামী ২৮ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে ৫জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ ও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। দু’একটি স্থানীয় দৈনিকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামন বুলা ও জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক ছাত্রদল নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ এর নাম প্রচারিত হলেও নির্ভরযোগ্য কোন সুত্রই তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে Ÿিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আপাতত দলের কোন ভাবনা নেই। দেশের গণতন্ত্র পূনঃরুদ্ধারে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত ও আন্দোলন সংগ্রাম উপযোগী করে গড়ে তোলায় এই মূহুর্তের প্রধান করনীয়। এছাড়া জেলা পরিষদের ১৫টি সদস্য পদের প্রায় শতাধিক প্রার্থী হবে জানা গেছে এবং ৫টি মহিলা আসনের অনুকুলে প্রায় ২৫জনের মত প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দেওয়ার পর সঠিকভাবে কতজন প্রার্থী হবে তা জানা যাবে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জানান। জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের ভোট না হওয়ায় নির্বাচিন প্রতিনিধি না থাকায় এসব ইউনিয়নের কেউ ভোট দিতে পারবে না। এসব ইউনিয়নগুলো হলো মাখালডাঙ্গা, নেহালপুর, গড়াইটুপি, রায়পুর, মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়নের ভোট না হওয়ায় এ ৬টি ইউনিয়ন ভোট দানে বিরত থাকবে বলে জেলা পরিষদ প্রশাসক জানান। ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদের ৫০৭ জন ভোটার, ৪টি পৌরসভার ৫২জন ও ৪টি উপজেলার ১২জন মোট ৫৭১জন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভোটার হিসেবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে বলে জানা গেছে। এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একটি চিঠি ইস্যু করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। গত ২৪ অক্টোবর সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপসচিব জোবাইদা নাসরিন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জেলা পরিষদ নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্ভাব্য তারিখ ২৮ ডিসেম্বর। তবে প্রয়োজনে তা পরিবর্তন হতে পারে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে ইসি প্রস্তুতি নেবে।