চুয়াডাঙ্গায় উন্নয়ন মেলার প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ
- আপলোড টাইম : ০৯:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
এ মেলায় তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের প্রতিভার বিকাশ ঘটবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও ৩ দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হবে। প্রতিবারের মতো এবারও জাঁকজমকভাবে এই মেলার আয়োজন করবে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। উন্নয়ন মেলার আয়োজন উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন- প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। সামনে অগ্রসর হতে তাদের উৎসাহ দিতে হবে। উন্নয়ন মেলার মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটবে। যারা ভালো কাজ করে থাকে মেলায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে মেলার আয়োজনকে স্বার্থক করতে হবে। সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরতে হবে এই মেলায়। বিশেষত তরুণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাঝে সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি, ভবিষৎ পরিকল্পনা তথা সরকারের সকল প্রকার কাজগুলোকে তুলে ধরতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন- এবারের উন্নয়ন মেলায় প্রতিনিদনই সাংস্কুতিক অনুষ্ঠানও থাকবে তবে বিশেষত শেষ দিন অর্থাৎ ৬ অক্টোবর দেশের নামি দামি শিল্পিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
এময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জসিম উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সচিব নূরজাহান খানম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল। এছাড়াও প্রস্তুতিমূলক সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ৪, ৫ ও ৬ অক্টোবর দেশের অন্যান্য জেলার মতো চুয়াডাঙ্গাতেও উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হবে। এবারও জেলার টাউন ফুটবল মাঠ মেলার ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। ৪ অক্টোবর সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুরু হবে মেলার প্রথম দিনের কার্যক্রম। পূর্বের মতো থাকছে মেলায় অংশ নেয়া প্রতিটি দফতরের স্ব-স্ব কার্যক্রমের উপস্থাপনা, কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এছাড়া সন্ধ্যার পর থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উন্নয়ন মেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকতে পারেন। অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের উন্নয়ন মেলা একটু ব্যতিক্রম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তৃতীয় দিন পুরস্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে শেষ হবে মেলার আনুষ্ঠানিকতা।