ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্বাচন হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৩২২ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবেই। এ নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না। বিগত জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের নামে জ্বালাও-পোড়াও হলেও জনগণ তা প্রতিহত করেছে এবং এবারো তেমন কিছু হলে জনগণ মোকাবিলা করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ঢাকায় ফিরে গতকাল রোববার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নানা গুঞ্জন যখন দানা বাধছে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আসা এমন বক্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট গঠনকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক জোট হোক, সবাই নির্বাচনে অংশ নিক সেটা আমিও চাই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও শরীকদের সঙ্গে জোট করবে। তবে আমরা ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের সেবা করতে চাই, জনগণ চাইলে ক্ষমতায় আসব, না চাইলে নয়। তবে আমরা ভোট চুরি করতে আসিনি। নির্বাচনের আড়ালে যারা উত্তরপাড়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের সতর্ক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চেষ্টা করে দেখুন, তবে জনগণ এখন অনেক সচেতন। তিনি বলেন, সুদখোর, ঘুষখোরদের কেন মানুষ নির্বাচিত করবে? একটি কথা আছে, ফাঁকা হাঁড়ি বাজে বেশি। ষড়যন্ত্র আছে, থাকবে। তাই বলে ভয় করে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মৃত্যু লেখা থাকলে, হবে। হয়তো গুলি, বোমা খেয়ে মরতে হবে।
আগামী নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের ব্যবহারের নিয়ে বিএনপির বিরোধিতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাড়াহুড়া করে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এটি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক। ইভিএম নিয়ে বিএনপি অনেক বেশি সোচ্চার। কারণ বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হতে পছন্দ করে। ব্যালট পেপারে নির্বাচন হলে একেকজন একাধিক ভোট দিতে পারে, তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা কারচুপির মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভরাতে পারে। মাগুরা, ঢাকা-১০ আসনের মতো নির্বাচন করতে চায় বিএনপি। ইভিএমে এই সুযোগ নেই, এ কারণে বিএনপি এটি চায় না। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই নির্বাচনে ইভিএম শুরু করা যেতে পারে। এটি নতুন প্রযুক্তি এবং বিশ্বের বহু দেশেই ইভিএমে নির্বাচন হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ইভিএম কিছু কিছু জায়গায় শুরু হলে তো সমস্যা নেই। শহর এলাকায় এটি শুরু করা যেতে পারে। ত্রুটি পেলে না হয় বাদ দেয়া যাবে, এটি নিয়ে বিএনপির এত আপত্তি কেন?
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্নারা যে জোট গঠন করেছেন সে সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ভালো। আশা করি উনারা নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক হবে। শনিবার ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচন হবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে ড. কামাল হোসেন আদৌ নির্বাচন চান কিনা। বাংলাদেশে একটা শ্রেণি বসে থাকে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করার জন্য। কারণ অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের গুরুত্ব বাড়ে। কামাল হোসেনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যদি উনি গরম গরম বক্তৃতা দেন তা হলে বুঝবেন উনার প্লেন রেডি। আ স ম আব্দুর রব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এক সময় বলতাম অসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, তার নাম আ স ম আব্দুর রব। ছোটবেলায় তাকে এ নামে জানত সবাই। মাহমুদুর রহমান মান্না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে পক্ষে লিখতে বললেই, মান্না করে দেয় কান্না। এমনকি আওয়ামী লীগে থাকার সময়ও সে দলের পক্ষে লিখতে পারত না।
গত নির্বাচনে বেশিরভাগ এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাও তো সাংবিধানিক। বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এতে আমাদের কি করার আছে। তিনিও (ড. কামাল হোসেন) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতির পিতা নিজের আসন তার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা বলেন। তিনি তো নিজেও সংবিধান মানেন না।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর যখন বাসায় দেখতে গেলাম, তারা আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিল, ভেতরে ঢুকতে দিল না। সেই দিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, আর তাদের সঙ্গে আমি বসব না, কোনো আলোচনা হবে না। তিনি বলেন, আপনারা যে যা-ই বলেন না কেন, ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, তাতে কিছুই আসে যায় না। আমার একটা আত্মসম্মানবোধ আছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তো তাকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেফতার করিনি। এই মামলাও আমরা দেইনি। এই মামলা দিয়েছে খালেদা জিয়ারই কাছের লোকেরা। মুক্তি পেতে হলে কোর্টের মাধ্যমে আসতে হবে। আর দ্রুত মুক্তি পেতে চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির এত নামি-দামি আইনজীবী, ব্যারিস্টার অমুক-তমুক রয়েছে। তারা কেন পারল না প্রমাণ করতে যে খালেদা জিয়া নির্দোষ, তারা এতিমের টাকা নেয়নি। তা হলে এখানে আমাদের দোষ দিয়ে লাভটা কী। তবে তাদের নেত্রী বন্দি হয়ে আছে, তাদের আন্দোলন কই? তারা আন্দোলন করুক।
আগামী নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা থেকে সরে গেলে যারা একবার ক্ষমতায় বসে তারা আর ছাড়তে চায় না। নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানে বিধান সংরক্ষিত আছে। আমরা বহু অভিজ্ঞতা নিয়েছি। মার্শাল ল’ দেখলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেখলাম। কারে বসাব, বসলে তো চেয়ার ছাড়ে না। আমরা আর অনির্বাচিত সরকারের হস্তেক্ষেপ দেখতে চাই না। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছে। যদি সরকার মনে করে এ সুযোগ সরকার পর পর দু’বার নিতে পারে। তবে সংসদ সে সুযোগ নেয়নি। একটা সরকার থেকে আরেকটা সরকারে যে ট্রানজিশনাল সময়, এ সময়ে যেন কোনো ফাঁক না থাকে সে জন্য এটা করা। এ প্রসঙ্গে ভারতের ও নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নির্বাচন হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না

আপলোড টাইম : ০৮:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবেই। এ নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না। বিগত জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের নামে জ্বালাও-পোড়াও হলেও জনগণ তা প্রতিহত করেছে এবং এবারো তেমন কিছু হলে জনগণ মোকাবিলা করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ঢাকায় ফিরে গতকাল রোববার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নানা গুঞ্জন যখন দানা বাধছে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আসা এমন বক্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট গঠনকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক জোট হোক, সবাই নির্বাচনে অংশ নিক সেটা আমিও চাই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও শরীকদের সঙ্গে জোট করবে। তবে আমরা ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের সেবা করতে চাই, জনগণ চাইলে ক্ষমতায় আসব, না চাইলে নয়। তবে আমরা ভোট চুরি করতে আসিনি। নির্বাচনের আড়ালে যারা উত্তরপাড়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের সতর্ক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চেষ্টা করে দেখুন, তবে জনগণ এখন অনেক সচেতন। তিনি বলেন, সুদখোর, ঘুষখোরদের কেন মানুষ নির্বাচিত করবে? একটি কথা আছে, ফাঁকা হাঁড়ি বাজে বেশি। ষড়যন্ত্র আছে, থাকবে। তাই বলে ভয় করে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মৃত্যু লেখা থাকলে, হবে। হয়তো গুলি, বোমা খেয়ে মরতে হবে।
আগামী নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের ব্যবহারের নিয়ে বিএনপির বিরোধিতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাড়াহুড়া করে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এটি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক। ইভিএম নিয়ে বিএনপি অনেক বেশি সোচ্চার। কারণ বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হতে পছন্দ করে। ব্যালট পেপারে নির্বাচন হলে একেকজন একাধিক ভোট দিতে পারে, তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা কারচুপির মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভরাতে পারে। মাগুরা, ঢাকা-১০ আসনের মতো নির্বাচন করতে চায় বিএনপি। ইভিএমে এই সুযোগ নেই, এ কারণে বিএনপি এটি চায় না। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই নির্বাচনে ইভিএম শুরু করা যেতে পারে। এটি নতুন প্রযুক্তি এবং বিশ্বের বহু দেশেই ইভিএমে নির্বাচন হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ইভিএম কিছু কিছু জায়গায় শুরু হলে তো সমস্যা নেই। শহর এলাকায় এটি শুরু করা যেতে পারে। ত্রুটি পেলে না হয় বাদ দেয়া যাবে, এটি নিয়ে বিএনপির এত আপত্তি কেন?
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্নারা যে জোট গঠন করেছেন সে সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ভালো। আশা করি উনারা নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক হবে। শনিবার ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচন হবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে ড. কামাল হোসেন আদৌ নির্বাচন চান কিনা। বাংলাদেশে একটা শ্রেণি বসে থাকে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করার জন্য। কারণ অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের গুরুত্ব বাড়ে। কামাল হোসেনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যদি উনি গরম গরম বক্তৃতা দেন তা হলে বুঝবেন উনার প্লেন রেডি। আ স ম আব্দুর রব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এক সময় বলতাম অসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, তার নাম আ স ম আব্দুর রব। ছোটবেলায় তাকে এ নামে জানত সবাই। মাহমুদুর রহমান মান্না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে পক্ষে লিখতে বললেই, মান্না করে দেয় কান্না। এমনকি আওয়ামী লীগে থাকার সময়ও সে দলের পক্ষে লিখতে পারত না।
গত নির্বাচনে বেশিরভাগ এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাও তো সাংবিধানিক। বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এতে আমাদের কি করার আছে। তিনিও (ড. কামাল হোসেন) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতির পিতা নিজের আসন তার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা বলেন। তিনি তো নিজেও সংবিধান মানেন না।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর যখন বাসায় দেখতে গেলাম, তারা আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিল, ভেতরে ঢুকতে দিল না। সেই দিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, আর তাদের সঙ্গে আমি বসব না, কোনো আলোচনা হবে না। তিনি বলেন, আপনারা যে যা-ই বলেন না কেন, ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, তাতে কিছুই আসে যায় না। আমার একটা আত্মসম্মানবোধ আছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তো তাকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেফতার করিনি। এই মামলাও আমরা দেইনি। এই মামলা দিয়েছে খালেদা জিয়ারই কাছের লোকেরা। মুক্তি পেতে হলে কোর্টের মাধ্যমে আসতে হবে। আর দ্রুত মুক্তি পেতে চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির এত নামি-দামি আইনজীবী, ব্যারিস্টার অমুক-তমুক রয়েছে। তারা কেন পারল না প্রমাণ করতে যে খালেদা জিয়া নির্দোষ, তারা এতিমের টাকা নেয়নি। তা হলে এখানে আমাদের দোষ দিয়ে লাভটা কী। তবে তাদের নেত্রী বন্দি হয়ে আছে, তাদের আন্দোলন কই? তারা আন্দোলন করুক।
আগামী নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা থেকে সরে গেলে যারা একবার ক্ষমতায় বসে তারা আর ছাড়তে চায় না। নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানে বিধান সংরক্ষিত আছে। আমরা বহু অভিজ্ঞতা নিয়েছি। মার্শাল ল’ দেখলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেখলাম। কারে বসাব, বসলে তো চেয়ার ছাড়ে না। আমরা আর অনির্বাচিত সরকারের হস্তেক্ষেপ দেখতে চাই না। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছে। যদি সরকার মনে করে এ সুযোগ সরকার পর পর দু’বার নিতে পারে। তবে সংসদ সে সুযোগ নেয়নি। একটা সরকার থেকে আরেকটা সরকারে যে ট্রানজিশনাল সময়, এ সময়ে যেন কোনো ফাঁক না থাকে সে জন্য এটা করা। এ প্রসঙ্গে ভারতের ও নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।