চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
- আপলোড টাইম : ০৯:২৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
- / ১২৩৭ বার পড়া হয়েছে
বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার আহ্বান
ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করার ও কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, গণজমায়েত এবং বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করেছে দলের নেতাকর্মিরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। “আমার নেত্রী আমার মা জেলে থাকতে পারে না, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই” এই স্লোগানে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা এ্যাসোসিয়েশন হলে (জেলা প্রেসক্লাব) এক আলোচনা সভার আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি।
আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মণির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা বলেন- এই সরকার অবৈধ ভাবে জোড় করে ক্ষমতায় বসে আছে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে রেখেছে। আমরা এই অবৈধ সরকারকে বলে দিতে চাই সরকারের পতনের সময় এসে গেছে জোর করে আর ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন- যে সময় এই বিএনপি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলো তখন বাংলাদেশে মাত্র চারটি পত্রিকা খোলা ছিলো, সকল পত্রিকা বন্ধ ছিল। তখন সকাল বিকাল সরকার পরির্বতন হচ্ছিল। সকালে কোন সরকার থাকছে বিকালে কোন সরকার থাকছে বাংলাদেশের মানুষ তা জানত না। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন ১৯৭৮ সালের এই ১লা সেপ্টেম্বর। তিনি ক্ষমতায় আসার পর সমস্ত পত্রিকার স্বাধীনতা দিয়েছিলো। তিনি বিদেশে থাকা সমস্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। আমদেরকে জানতে হবে কোন পরিস্থিতিতে কি কারণে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার সেই নীতি, সেই চেতনা-সততার সাথে জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে এক-একটা জিয়াউর রহমান তৈরি হয়ে রাজপথে দাঁড়াতে হবে। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও এই স্বৈরাচারী সরকারকে সরাতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ না করে আমাদেরকে এক ও অভিন্ন হয়ে কাজ করতে হবে। ঘরে থেকে জেল খাটার চেয়ে রাজপথে থেকে জেল খাটা অনেক শ্রেয়। এক হয়ে রাজপথে নামতে হবে। যারা গুম-খুন হয়েছে, যাদের রক্ত গেছে তাদের রক্ত ছুয়ে শপথ নিতে হবে যে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। বিভিন্ন সময় গ্রেফতার নেতাকর্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই, দিতে হবে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যর মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে হবে।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আবু আলা সামসুজ্জামান, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী জাহানারা পারভীন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুবকর সিদ্দিক আবু, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী ও চুয়াডাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর শেফালী খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা যুবদলের অন্যতম নেতা মনিরুজ্জামান লিপটন।
জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফাতুল্লাহ মহলদার, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ মেম্বার, সদর থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মুন্সি আলাউদ্দিন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদল নেতা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সাদিদ, আশাদুল হক বটুল, ফেরদৌস হাসান পাপেন, রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, আহসান হাবিব, যুবদল নেতা আব্দুস সালাম, সুমন পারভেন খান, হফিজ উদ্দীন হাবলু, ঝন্টু, রাসেল, পৌর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান উদ্দীন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল গণি, হাফিজুল ইসলাম মুক্ত, কলম আলী, জেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার, আব্দুল ওয়াহাব, গাংনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম রেজু, যুবদল নেতা এরশাদ আলী, মাসুদ রানা আপেল, রুবেল হাসান, আব্দুর রাজ্জাক সন্টু, মহসিন মেম্বার, সেলিম উদ্দীন রাজিব হাসান, আক্তার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা হাসানুজ্জামান হাসান, শেখ সামসুল, সানোয়ার মেম্বার, আব্দুস সালাম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, আরিফ আহমেদ শিল্পব, কৌশিক আহমেদ রানা, ছাত্রদল নেতা শাকিল আহম্মেদ নাঈম, মোস্তাফিজুর রকি, ইমরান হোসেন, বিক্রম সাদিক মিলন, সোহেল সিদ্দিক, নিশান আহমেদ, মোমিন রহমান, ইকবাল আহমেদ, রুবেল আহমেদ, পিয়াস, জাফর ফরিদ, আহমেদ ইকবাল, শাহেদ সিদ্দিকি সোহেল, ঝন্টু, আমির, রানা, কনক, সায়মুম, রমজান, সোহাগ, রনি আলম, সুমন প্রমূখ।
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় শ্রীমন্ত টাউন হলে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা ওলামা দলের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য ও আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল কাউনাইট টিলু। সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টুর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য ও সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, জেলা বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট, আলমডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য এস কে সাদী, আলমডাঙ্গা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, ইশরাফ হোসেন, সদর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, জেলা জাসাসের সভাপতি সহিদুল হক বিশ্বাস, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, যুবদল নেতা মফিজুর রহমান মনা, তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, যুগ্ম-সম্পাদক মঞ্জুরুল জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সাজিদ হাসান মালিক সজিব প্রমূখ। এছাড়াও বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদলসহ অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক কমিটির সদস্য লে .কর্ণেল অব. কামরুজ্জামানের উদ্যোগে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শহরের ইমার্জেন্সি সড়কের দলীয় কার্যালয়ে এ কেক কাটা হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির আহ্ববায়ক কমিটির সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী লে. কর্ণেল অব. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, আগে দেশনেন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। তারপর হবে নির্বাচন। ১৯৭৮ সালের এই দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের আশা-আকাঙ্খার কেন্দ্র হিসেবে বিএনপি গঠন করেন। এরপর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম আর বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে দেশ শাসন ও বিভিন্ন চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিএনপি। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ দলটি দীর্ঘ সময় ধরে পালন করে চলছে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে জনগণের ক্ষমতায়নে ভূমিকা পালন করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের যে রাজনীতি তিনি সূচনা করেছিলেন তা বাকশালীয় একদলীয় রাজনীতি-উত্তর সমাজ ও রাষ্ট্রে জনগণের কাছে সমাদৃত হয়েছে বলে এদেশের জনগণ বারবার এ দলকে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। তিনি আরো বলেন- নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মজিবুল হক মালিক মজু, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম রতন, আবু জাফর মন্টু, রেজাউল করিম মুকুট, আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, শরিফুল আলম বিলাস, জাকির, লাড্ডু, আরিফ, বাবু, শিল্পি, লুলু, কালু, ফকির, তপু, ফারুক, ফরহাদ ওহাব সাইদুর প্রমূখ। পরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দারুস সালাম জামে মসজিদের পেশ ঈমাম আশরাফ আলী।
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সকাল ৬টায় জেলা বিএনপির কেদারগঞ্জ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করলে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে। পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আগে কেদারগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম.এম. শাহজাহান মুকুল। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরদার আলী হোসেন। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী রবিউল ইসলাম বাবলু এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু,জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উর জামান সিজার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, দামুড়হুদায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে দামুড়হুদা বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। সকাল ১০টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ১নং সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিল্পপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু, সহ-সভাপতি মোর্কারম হোসেন, তোফাজ্জেল হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ছালমা জাহান পারুল, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রীস আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লিপু, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির অন্যতম নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মালিথা, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, সহ-সভাপতি ওহিদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ আলী, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম বিপ্লব, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. এরশাদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টু, বিএনপি নেতা আলেফ খা, উপজেলা যুবদল নেতা মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, প্রভাষক আবুল হাশেম, মাহফুজুর রহমান মিল্টন, আরিফুল ইসলাম, শামসুজ্জোহা পলাশ, ইকরামুল মেম্বর, মন্টু মিয়া, সামসুল, ইজাজুল হক, আনছার আলী, রুহুল আমিন, আবুল বাশার, রানা, রফিক, সোহেল রানা, হিরণ, কলম, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ, সবুজ, জনি, রানা, নয়ন, মানিক, আরিফ, পলাশ প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদ হাসান বাবু খান বলেন, আজ আমরা প্রাণ খুলে উম্মুক্ত পরিবেশে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারছিনা। বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি নির্জন কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এদেশে আর কোন পাতানো নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না। তাকে মুক্ত করতে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এজন্য সকল নেতাকর্মিকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বাতিলসহ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এ সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে দর্শনা পৌর শহরের পুরাতন বাজারস্থ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার মখলেছুর রহমার তরফদার টিপুর নিজ বাসভবনে পৌর বিএনপির একাংশের যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মিদের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মনোনয়ন প্রত্যাশী টিপু বলেন, দেখতে দেখতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের গৌরবোজ্জল পথচলার ৪০বছর পেরিয়ে গেল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমার ডাকে পৌর যুবদল ও ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মিরা আজ যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রিত হয়েছেন ঠিক তেমনি দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে ও দলকে সু-সংগঠিত করার জন্য আপনারা সকলে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম মিঠু, শাহাবদ্দিন, খোকা, দর্শনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সজিব, সাদেক, ছাত্রদল নেতা মহন, সুজন, মানিক, রফিকুল ইসলাম, ফিরোজ, সজিব, প্রিতম, রিদয় প্রমূখ।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, অপরদিকে, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন- নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের মা বিএনপির চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। বর্তমান সরকার বিএনপিকে ভয় পায় বলেই কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে তাদের পেটোয়া বাহিনী, হেলমেট বাহিনী দিয়ে ছাত্র আন্দোলকে স্তিমিত করে দিয়েছে। তারা কয়লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সোনা ভক্ষণকারী। তিনি আরো বলেন- বঙ্গবন্ধু সে সময় বলেছিলেন সবাই পেয়েছে সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বর্তমান সরকার বিএনপিকে কোথাও শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাবেশ, মিছিল মিটিংসহ দলীয় কার্যক্রমে পুলিশ বাহিনী দিয়ে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মিদের আটক তারই প্রমাণ।
এদিকে, জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় ইঞ্জিনিয়ার হাজী মখলেচুর রহমান তরফদার টিপুর আয়োজনে জীবননগর বিএনপির কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন চুন্নুর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন এবং বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী নোয়াব আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক আ. খালেক, যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন তোয়া, সামসুজ্জামান হান্নু, হান্নু কমিশনার, ফজলুর রহমান বাটা, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি নেতা, আনারুল হক, আয়তুল মেম্বার, বাঁকা ইউনিয়নের মাসুদ মেম্বার, হাসাদহ ইউনিয়নের ডিএম মতিয়ার, আলম, আমিনুর মেম্বার, রায়পুরের আহম্মেদ মেম্বার, অনিসুর রহমান স্বপন, পলাশ, কেডিকের আ.রব, হেলাল মুন্সী, হান্নান, মনোহরপুরের কামরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা এখলাচুর রহমান রাসেল, জালাল নোয়াব টুইন, শেখ শাকিল, নীলয় পারভেজ, বিপুল খাঁন, মেহেদী হাসান, রাকিবুল, তোফিক আহম্মেদ, গাফফার, মুনজিল, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা জীবননগর উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শিপলু।
একই দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জীবননগর পৌর কাউন্সিলর হযরত আলীর নিজস্ব কার্যলয়ে বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এবং বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন জীবননগর পৌর কাউন্সিলর হযরত আলী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আ. রাজ্জাক, মজনুর রহমান, গাফফার আলী, শাহাজামাল, আশরাফ, মামুন মাস্টার, যুবদল নেতা, ভুট্রু, মামুন, রাজু, শফি, মিলন, শাহিন, ছাত্তার, মুকুল, আনার, আলামিন, ডালিম, ছাত্রদল নেতা হাসান, রয়েল, মুনজিল, বাপ্পারাজ, মনিরুল, বাপ্পি, ওমর সাব্বির প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশনেন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্তে মুক্তির দাবি জানান। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন জীবননগর আশতলাপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মজিবুল হক মালিক মজু, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজান কবির, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. ওসমান গণি, পৌর বিএনপির সিনিয়র সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর নাসির ইকবাল ঠান্ডু, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোনা, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম খান, কেডিকে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন মাষ্টার, রফিউল ইসলাম, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান, সেলিম রেজা, শফিউদ্দীন, জাকির হোসেন লিটন, যুবদল নেতা আরিফুজ্জামান ইউনুস আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনার, সাইফুল ইসলাম, সুমন, মামুন, সরোয়ার, ইক্তা প্রমূখ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের লক্ষে মেহেরপুরের শহীদ ড. সামুসজ্জোহা পার্ক ও পৌর কমিউনিটি সেন্টার কোনটারই ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ায় বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী পালন করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। এবিষয়ে জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুণ বলেন, মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্ক অথবা পৌর কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের অনুমতি চেয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। অনুমতি না পেয়ে অবশেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে মেহেরপুর শহরের বোসপাড়াস্থ জেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী শেষ করা হয়। জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, শেখ সাঈদ আহমেদ, এমএ কে খায়রুল বাশার, জেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা যুবদল সভপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু প্রমূখ। ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহের শৈলকূপায় বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বারইপাড়া গ্রামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিতে আলোচনা সভায় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা বলেন, দেশ আজ এক সংকটময় মুহূর্তের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। দেশনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।