ইপেপার । আজ শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ আগস্ট আলমডাঙ্গা থানার এএসআই মোস্তফা বড়বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শিপনকে আটক করে এবং ২৬ আগস্ট আটককৃত মাদকব্যবসায়ী শিপনকে আদালতে সোপর্দ করে। কিন্তু এ ঘটনাকে পুঁজি করে ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু পুলিশের হাতে আটক মাদকব্যবসায়ী শিপনের মায়ের কাছ থেকে শিপনকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিযোগকারী জানান। এদিকে, শিপনের মা অভিযোগ তুলে বলেছেন, বাবলু চেয়ারম্যান পুলিশকে টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে আমার ছেলেকে পুলিশ না ছাড়লে আমি চেয়ারম্যানের কাছে যেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমার টাকা ফেরত দেননি। সেই টাকার অর্ধেক ফেরত চেয়েও পাইনি। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান বলেন, ঘটনাটি আমাদের পুলিশের জন্য বেশ বিব্রতকর। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনেই আলমডাঙ্গায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তারপরও মাদকব্যবসায়ীকে মুক্ত করতে পুলিশকে টাকা দেয়ার নাম করে জনপ্রতিনিধির অর্থ গ্রহণ রীতিমত লজ্জাজনক। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি আবু জিহাদ খান। এবিষয়ে ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু বলেন, আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়া যে অভিযোগ উঠেছে তার কোন সত্যতা নেই। আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি বলে ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ আগস্ট আলমডাঙ্গা থানার এএসআই মোস্তফা বড়বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শিপনকে আটক করে এবং ২৬ আগস্ট আটককৃত মাদকব্যবসায়ী শিপনকে আদালতে সোপর্দ করে। কিন্তু এ ঘটনাকে পুঁজি করে ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু পুলিশের হাতে আটক মাদকব্যবসায়ী শিপনের মায়ের কাছ থেকে শিপনকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিযোগকারী জানান। এদিকে, শিপনের মা অভিযোগ তুলে বলেছেন, বাবলু চেয়ারম্যান পুলিশকে টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে আমার ছেলেকে পুলিশ না ছাড়লে আমি চেয়ারম্যানের কাছে যেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমার টাকা ফেরত দেননি। সেই টাকার অর্ধেক ফেরত চেয়েও পাইনি। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান বলেন, ঘটনাটি আমাদের পুলিশের জন্য বেশ বিব্রতকর। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনেই আলমডাঙ্গায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তারপরও মাদকব্যবসায়ীকে মুক্ত করতে পুলিশকে টাকা দেয়ার নাম করে জনপ্রতিনিধির অর্থ গ্রহণ রীতিমত লজ্জাজনক। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি আবু জিহাদ খান। এবিষয়ে ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু বলেন, আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়া যে অভিযোগ উঠেছে তার কোন সত্যতা নেই। আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি বলে ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু জানান।