ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মাদকব্যবসায়ী শাহীনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিখোঁজের দুইদিন পর জীবননগর বেনীপুর কয়ার মাঠ থেকে
জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের কয়ার মাঠ থেকে শাহিন (৩১) নামে এক মাদকব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় তার মাথায় গুলির চি‎হ্ন পাওয়া গেছে। শাহিন জীবননগর উপজেলা শহরের আঁশতলা পাড়ার মোন্নাফ আলী দর্জির ছেলে। শাহিনের নামে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলাসহ অন্তত ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের কয়ার মাঠে কৃষকরা জমিতে কাজ করার জন্য মাঠে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে সেগুন বাগানের মধ্যে গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী জীবননগর থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।


এদিকে, শাহিনের পরিবারের দাবি গত বৃহস্পতিবার বিকালে ৪ জন সাদা পোশাক পরে পুলিশ পরিচয়ে শাহিনের শাপলাকলি পাড়ার বাড়ি থেকে তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায়। সেই থেকে শাহিন নিখোঁজ ছিল। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় জীবননগর থানাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি থানায় সন্ধান করতে থাকে। তারপরও কোন সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন তার পরিবার। অবশেষে শনিবার সকালে বেনীপুর সেগুন বাগানে একটি অজ্ঞাত লাশ পড়ে থাকার কথা শুনে তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে যান এবং শাহিনের মা তার লাশ সনাক্ত করেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, শাহিন দীর্ঘদিন যাবত একটি শক্তিশালী মহলের ছত্রছায়ায় এলাকায় মাদকে একটি স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছিল। তার মাদক ব্যবসার ফলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। তাছাড়া মাদকসহ ধরা পড়লেও অর্থের কারনে ছাড়া পেয়ে যেত। তাছাড়া মাদক বিক্রির ফলে জীবননগর পৌর শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে জমি জায়গা কিনেছে এবং মাদক ব্যবসার কারনে সে কখন একটি স্থানে থাকতো না সে বিভিন্ন সময়ে স্থান পরিবর্তন করতো।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, শাহিন চি‎ি‎হ্নত মাদকব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তাছাড়া শাহিনের নামে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলাসহ ১০টি মাদক মামলা রয়েছে।
এদিকে, গতকাল শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে শাহিনের লাশ তার পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ এবং সন্ধ্যার সময় জীবননগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা নামাজ শেষে পৌর কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মাদকব্যবসায়ী শাহীনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৯:১৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিখোঁজের দুইদিন পর জীবননগর বেনীপুর কয়ার মাঠ থেকে
জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের কয়ার মাঠ থেকে শাহিন (৩১) নামে এক মাদকব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় তার মাথায় গুলির চি‎হ্ন পাওয়া গেছে। শাহিন জীবননগর উপজেলা শহরের আঁশতলা পাড়ার মোন্নাফ আলী দর্জির ছেলে। শাহিনের নামে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলাসহ অন্তত ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের কয়ার মাঠে কৃষকরা জমিতে কাজ করার জন্য মাঠে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে সেগুন বাগানের মধ্যে গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী জীবননগর থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।


এদিকে, শাহিনের পরিবারের দাবি গত বৃহস্পতিবার বিকালে ৪ জন সাদা পোশাক পরে পুলিশ পরিচয়ে শাহিনের শাপলাকলি পাড়ার বাড়ি থেকে তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায়। সেই থেকে শাহিন নিখোঁজ ছিল। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় জীবননগর থানাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি থানায় সন্ধান করতে থাকে। তারপরও কোন সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন তার পরিবার। অবশেষে শনিবার সকালে বেনীপুর সেগুন বাগানে একটি অজ্ঞাত লাশ পড়ে থাকার কথা শুনে তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে যান এবং শাহিনের মা তার লাশ সনাক্ত করেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, শাহিন দীর্ঘদিন যাবত একটি শক্তিশালী মহলের ছত্রছায়ায় এলাকায় মাদকে একটি স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছিল। তার মাদক ব্যবসার ফলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। তাছাড়া মাদকসহ ধরা পড়লেও অর্থের কারনে ছাড়া পেয়ে যেত। তাছাড়া মাদক বিক্রির ফলে জীবননগর পৌর শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে জমি জায়গা কিনেছে এবং মাদক ব্যবসার কারনে সে কখন একটি স্থানে থাকতো না সে বিভিন্ন সময়ে স্থান পরিবর্তন করতো।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, শাহিন চি‎ি‎হ্নত মাদকব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তাছাড়া শাহিনের নামে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলাসহ ১০টি মাদক মামলা রয়েছে।
এদিকে, গতকাল শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে শাহিনের লাশ তার পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ এবং সন্ধ্যার সময় জীবননগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা নামাজ শেষে পৌর কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।