জীবননগরে সোনালী আঁশে কৃষকের মুখে হাসি
- আপলোড টাইম : ০৫:০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
- / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
জীবননগরে সোনালী আঁশে কৃষকের মুখে হাসি
জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: জীবননগরে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল। যার আরেক নাম সোনালী আঁশ। পরিবেশ বান্ধব বিবেচনায় দেশ-বিদেশে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম। এমন একটি সময় ছিল গ্রামগঞ্জের প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে পাট দেখা যেত। বাড়ির উঠানে বাঁশের আড়ায়, আবার কখনও দেখা যেত কৃষকের ঘরে পাট ভর্তি থাকত। বর্তমান সরকার পাট দিয়ে বস্তা, পাকেট, সুতা, ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করার নির্দেশ দেওয়ায় বাংলাদেশে আবারও পাটের চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের কৃষকরা পাট চাষের ওপর আবার ঝুঁকে পড়েছে। কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ দেখে পাটের পুরাতন সেই সোনালি অতীতের কথা আবারও স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে। এবছর জীবননগর উপজেলায় পাটের বেশ বাম্পার ফলন হবে বলে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়। এবছর পাটগাছগুলো যেমন লম্বা ঠিক তেমনি পুরু হয়েছে। তাছাড়া এবছর আবহাওয়া অনুকুল, উপযুক্ত পরিবেশ আর সঠিক পরিচর্যার কারণে কৃষকরা তাদের পাট চাষে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলায় এবছর যত কৃষক পাট চাষ করেছেন তাদের প্রত্যেকেরই ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই পাটচাষিরা তাদের উৎপাদিত পাট বিভিন্ন পুকুর, বিল, বাঁওড়, ডোবা, নালায় জাগ দিয়ে পচন শেষে আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার অনেকে জোরেশোরে পাট ধোয়ার কাজ শুরু করেছেন। এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা পাটের আটি প্রতি ১২ থেকে ১৩ টাকা হারে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। কে কয়টি পাটের আটির আঁশ ছড়িয়ে পরিস্কার করে আগেভাগে উঠতে পারেন সেই প্রতিযোগিতাও চলছে। এদিকে, জীবননগর বাজারের পাট ব্যবসায়ীরা এ বছর আগে থেকেই পাট ক্রয়ের জন্য প্রস্তুত আছেন। এ উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন, মনিরুল, জিয়ারুল ইসলাম একই উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান, আতিয়ার রহমান, আ. শুকুরের সাথে কথা বললে তারা বলেন, গত বছরের ন্যায় এবছরে পাটের ফলন ভালো হয়েছে। ফলনের ন্যায় যদি পাটের দামটা ভালো পাওয়া যায় তাহলে চাষে যে ধরনের খরচ হয়েছে তা পরিশোধ করে পাট চাষে লাভবান হওয়া যাবে বলে মনে করছি। এব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবছর জীবননগর উপজেলায় পাটের ফলনটা ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও অনেক আনন্দিত।