ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

তিতুদহের বিত্তিরদাঁড়ি’র একমাত্র রাস্তাটির বেহালদশা ভোগান্তিতে গ্রামবাসী! কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে

DSC00861

আকিমুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম বিত্তিরদাঁড়ি। ছোট এই গ্রামটিতে যাতায়াতের একটি মাত্র মাটির রাস্তা, তারও বেহালদশা। এখানে আড়াইশত ভোটার থাকলেও মোট জনসংখ্যা পাঁচশ’র অধিক। এই গ্রাম থেকে অন্যত্র যাতায়াতের একটি মাত্র কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা দিয়েই সবাইকে যেতে হয় গড়াইটুপিতে। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাদেরকে ফসল ঘরে ওঠানোর সময় পড়তে হয় নানা ধরনের ভোগান্তিতে। সড়কটির বেহালদশার কারনে রাস্তা দিয়ে চলতে পারেনা কোন যান্ত্রিকগাড়ি। সুতরাং তাদেরকে ব্যবহার করতে হয় গরু অথবা মহিষের গাড়ি। এর ফলে দ্রুতভাবে নিজের ফসল সুষ্ঠুভাবে আনতে পারেনা বাড়িতে। অনেক সময় দেখা যায় ফসলবহনকারী গাড়ির অভাবে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যায় অনেক কৃষকের সোনার ফসল। তবে এগুলো দেখার জন্য যেন কেউই নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ পিচ বা ইটের হেরিং রাস্তা না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর জমে যায় বৃষ্টির পানি, সৃষ্টি হয় কাঁদা।  চলাচলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় এই গ্রামের মানুষ এত কষ্ট সহ্য করে বৃষ্টির পানি কাঁদা উপেক্ষা করে পাড়ি দেয় এই রাস্তা দিয়ে। গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এই কাঁদা পার করে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীদের যেতে হয় স্কুল, কলেজ ও  মাদ্রাসায় এবং গড়াইটুপি বাজারে। অনেক সময় দেখা যায় কাঁদার কারনে স্কুলে কলেজে যেতে দেরি হয়ে যায়। কখনো কখনো আবার কাদায় পড়ে নষ্ট হয়ে যায় বই, খাতা, স্কুল নির্ধারিত পোশাক। অনেক সময় আবার গ্রামের কোনো অসুস্থ রেগীকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না হাসপাতাল অথবা উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে।  যার ফলে অনেকদূর থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনদেরকেও  দুই কিঃ মিঃ পায়ে হেটে প্রবেশ করতে হয় এই গ্রামে। গ্রামবাসীরা জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি এদিকে একটু সুনজর দিতেন তাহলে সমস্যায় জর্জরিত এই অঞ্চলের মানুষ এই সমস্যা গুলোর হাত থেকে রক্ষা পেত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

তিতুদহের বিত্তিরদাঁড়ি’র একমাত্র রাস্তাটির বেহালদশা ভোগান্তিতে গ্রামবাসী! কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা

আপলোড টাইম : ০১:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

DSC00861

আকিমুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম বিত্তিরদাঁড়ি। ছোট এই গ্রামটিতে যাতায়াতের একটি মাত্র মাটির রাস্তা, তারও বেহালদশা। এখানে আড়াইশত ভোটার থাকলেও মোট জনসংখ্যা পাঁচশ’র অধিক। এই গ্রাম থেকে অন্যত্র যাতায়াতের একটি মাত্র কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা দিয়েই সবাইকে যেতে হয় গড়াইটুপিতে। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাদেরকে ফসল ঘরে ওঠানোর সময় পড়তে হয় নানা ধরনের ভোগান্তিতে। সড়কটির বেহালদশার কারনে রাস্তা দিয়ে চলতে পারেনা কোন যান্ত্রিকগাড়ি। সুতরাং তাদেরকে ব্যবহার করতে হয় গরু অথবা মহিষের গাড়ি। এর ফলে দ্রুতভাবে নিজের ফসল সুষ্ঠুভাবে আনতে পারেনা বাড়িতে। অনেক সময় দেখা যায় ফসলবহনকারী গাড়ির অভাবে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যায় অনেক কৃষকের সোনার ফসল। তবে এগুলো দেখার জন্য যেন কেউই নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ পিচ বা ইটের হেরিং রাস্তা না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর জমে যায় বৃষ্টির পানি, সৃষ্টি হয় কাঁদা।  চলাচলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় এই গ্রামের মানুষ এত কষ্ট সহ্য করে বৃষ্টির পানি কাঁদা উপেক্ষা করে পাড়ি দেয় এই রাস্তা দিয়ে। গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এই কাঁদা পার করে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীদের যেতে হয় স্কুল, কলেজ ও  মাদ্রাসায় এবং গড়াইটুপি বাজারে। অনেক সময় দেখা যায় কাঁদার কারনে স্কুলে কলেজে যেতে দেরি হয়ে যায়। কখনো কখনো আবার কাদায় পড়ে নষ্ট হয়ে যায় বই, খাতা, স্কুল নির্ধারিত পোশাক। অনেক সময় আবার গ্রামের কোনো অসুস্থ রেগীকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না হাসপাতাল অথবা উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে।  যার ফলে অনেকদূর থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনদেরকেও  দুই কিঃ মিঃ পায়ে হেটে প্রবেশ করতে হয় এই গ্রামে। গ্রামবাসীরা জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি এদিকে একটু সুনজর দিতেন তাহলে সমস্যায় জর্জরিত এই অঞ্চলের মানুষ এই সমস্যা গুলোর হাত থেকে রক্ষা পেত।