চুয়াডাঙ্গায় ভিজিএফ’র চাল আত্মসাৎ অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন
- আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অগাস্ট ২০১৮
- / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
প্রমাণ মেলেনি চাল আত্মসাতের : দ্রুত বিতরণের নির্দেশ দিলেন ডিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ভিজিএফ’র চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগের কোন প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি। সেইসাথে নীতিমালা অনুসরণপূর্বক অতিদ্রুত নির্বাচিত দুঃস্থদের মাঝে এ ভিজিএফ’র চাল বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ স্বাক্ষরিত ত্রাণ শাখা থেকে ৫১.০১.১৮০০.০০০.১৪.০০৩.১৮-২৪০ নং স্মারকপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গতকাল রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হেফাজত থাকা চাল ভর্তি ট্রাকটি নিজ হেফাজতে নিয়েছেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধূরি জিপু।
জেলা প্রশাসনের স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বরাদ্দ প্রাপ্ত ভিজিএফ (চাল) আত্মসাৎ এর অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বরাদ্দের স্বল্পতার কারণে পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিনের বেলা চাল বিতরণ না করে রাতে দুঃস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল বিতরণের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। গত দুই দিন পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাতের বেলা ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়েছে। তদন্তে চাল আত্মসাতের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায়, চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় রক্ষিত ৭৪ বস্তা চাল থানা কম্পাউন্ডে অফিসার ইনচার্জ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার তত্ত্বাবধায়নে এবং পৌরসভা গুদামে রক্ষিত প্রায় ৫০ টন চাল নীতিমালা অনুসরণপূর্বক দিনের বেলায় স্ব-স্ব ওয়ার্ডে নির্বাচিত দুঃস্থদের মাঝে দ্রুত বিতরণ করার জন্য বলা হলো।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে পৌরসভার প্রধান ফটকে ৭৪ বস্তা চালসহ একটি মিনি ট্রাক আটক করে স্থানীয়রা। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ সাংবদিকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে উদ্ভুত পরিস্থিতির হাত থেকে চাল ভর্তি ট্রাকটি থানা হেফাজেতে নেন। সে সময় বলা হয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।