আদম ব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার হয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে বিপত্তি হতাশার ছাপ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ঝিনাইদহের মখলেছ
- আপলোড টাইম : ০১:২২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহন অফিস: আদম ব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার ঝিনাইদহের মখলেছুর রহমান মুকুল সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা। সিঙ্গাপুর ভাল কাজের জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে গিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি নিঃস্ব হয়ে। তার চোখে মুখে এখন হতাশার ছাপ। মখলেছুর রহমান মুকুল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোবিন্দুপর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। মুকুল অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টম্বর তারিখে তাকে কনষ্ট্রাকশন কাজের ভিসার কথা বলে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। নড়াইল সদর উপজেলার ভুয়াখালী মজুমদার পাড়ার ওলিয়ার রহমানের ছেলে কবির হোসেন ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যান। কবির হোসেনের বাবা নড়াইল সিভিল সার্জন অফিসে চাকরি করেন। মুকুল সিঙ্গাপুর গিয়ে জানতে পারে তাকে সঠিক ভিসা দেওয়া হয়নি। মুকুলের কাজ করার অভিজ্ঞা রয়েছে কনষ্ট্রাকশনের উপর। সিঙ্গাপুরের গোল্ড পাইন ইন্ড্রাসট্রিয়াল বিল্ডিং এর সিইএ কনসালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড মুকুলকে একটি সনদপত্রও দিয়েছিলো। কিন্তু তাকে কাজ দেওয়া হয়েছে বিআরসি ওয়েল্ডিং কোম্পানীতে। প্রতারক কবির হোসেনও সিঙ্গাপুরে কর্মরত ছিলেন। তাকে এই সমস্যা নিয়ে সে সময় বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে অভিজ্ঞাতার কারণে ৫ অক্টোবর ফেরৎ আসেন মুকুল। কবির হোসেনের প্রতারণার শিকার হয়ে মুকুলের সাথে বাড়ি ফেরেন আরো ১১ জন যুবক। মুকুলের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতারক কবির হোসেনকে ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও মধুমতি ট্রাভেলস ঢাকার মাধ্যমে ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। কবির হোসেন গত ৩০ আগস্ট মাগুরার নওহাটী শাখায় ফরিদ উদ্দীনের সিসি-৩৭০০০০১২ নং একাউন্টে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ৭ সেপ্টম্বর নড়াইলের লক্ষিপাশা সোনালী ব্যাংক শাখার রুহুল আমিনের ৩৪১৫০০৪৭ নং একাউন্টে ২ লাখ টাকা রিসিভ করেন। রফিকুলের দাবী কবির হোসেন তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। তাদের টাকা ফেরৎ না দিলে আইনের আশ্রয় নিবেন। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর উপজেলার ভুয়াখালী মজুমদার পাড়ার কবির হোসেনের ০১৭৪৯-৬০৯৩৪৫ নং মোবাইলে ফোন করা হলে হাবিবুর রহমান নামে একজন ফোন রিসিভ করেন। তিনি জানান, এটা কবির হোসেনের নাম্বার হলেও তিনি সিঙ্গাপুর রয়েছেন এবং কবির হোসেন আদম ব্যবসার সাথে জড়িত।