ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চলে গেলেন কফি আনান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান আর নেই। সুইজারল্যান্ডে অবস্থানকালে শনিবার দিনের প্রথম ভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই দেশটির বার্ন শহরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক সংগঠন ও তার নামে প্রতিষ্ঠিত কফি আনান ফাউন্ডেশন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। কয়েক বছর ধরেই তিনি সুইজারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ সংগঠন জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব ছিলেন। প্রায় দশ বছর সংস্থাটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকটের প্রেক্ষিতে রাখাইনে প্রেরিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আফ্রিকার দেশ ঘানায় জন্মগ্রহণকারী কফি আনান প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান হিসেবে জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে তিনি সর্বোচ্চ এই সংগঠনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষায় তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০১ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছে নোবেল কমিটি। ২০০৬ সালে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পরেও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কাজ করা বাদ দেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় সংকটের সমাধানে তাকে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সেখানে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টা চালান। কফি আনানের নামে প্রতিষ্ঠিত কফি আনান ফাউন্ডেশন বলেছে, তিনি ছিলেন বৈশ্বিক কূটনীতিক ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। যিনি জীবনভর আরো সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য কাজ করে গেছেন। যেখানেই মানুষের প্রয়োজন হয়েছে, কেউ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে, তিনি সেখানে পৌঁছে গেছেন। তার সহায়তা ও সমবেদনা পেয়েছে অনেক মানুষ। তিনি নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সত্যিকারের দয়া, ভালোবাসা ও মেধা তার মধ্যে ছিল। শিশুমৃত্যু ও দরিদ্রতা রোধে জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল এমডিজি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সম্প্রতি তিনি এই অবদানকে নিজের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে আখ্যা দেন। সমসাময়িক বিশ্বের উজ্জ্বল এই নক্ষত্রের বিদায়ে শোক জানিয়েছেন জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরা, মানবাধিকার কমিশনার জায়েদ রা’দ আল হোসেনসহ বিশ্বের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ।
নোবেল জয়ের বছরে বাংলাদেশে এসেছিলেন, এবার রোহিঙ্গাদের দেখার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, কিন্তু… ইরাক যুদ্ধের শুরু থেকেই কফি আনান নামটি খ্যাতি পায় বিশ্বজুড়ে। যুদ্ধ বন্ধে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে দৌড়ঝাঁপসহ নানা পদক্ষেপ ছিল তার। তখন তিনি জাতিসংঘের প্রধান নির্বাহী। কেবল মহাসচিব থাকাকালেই নয়, আমৃত্যু বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষায় সোচ্চার কণ্ঠ ছিলেন ঘানায় জন্ম নেয়া এই কূটনীতিক। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন শুরু হওয়ার পর দলে দলে দেশটির বাসিন্দারা আত্মরক্ষার্থে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জাতিগতভাবে সুরক্ষা এবং তাদের মানবেতর জীবনের অবসানে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়াসহ আনান কমিশনের ব্যানারে কফি আনান মিয়ানমার সরকারের কাছে ৮৮ দফা সুপারিশ করেছেন। তার সুপারিশ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমার এখন চাপের মুখে।
কিন্তু সেটির বাস্তবায়ন দেখার আগেই বিশ্বকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে মহাসিন্ধুর ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন খ্যাতিমান এই বিশ্ব ব্যক্তিত্ব। মহাসচিব থাকা অবস্থায় ২০০১ সালে জাতিসংঘ এবং তিনি যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। নোবেল জয়ের বছরেই তিনি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। জাতিসংঘের কোনো প্রধান নির্বাহীর এটি ছিল তৃতীয় বাংলাদেশ সফর। কফি আনানের সফরের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আরো দু’জন মহাসচিব বান কি মুন (২০০৮ ও ২০১১) এবং বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফর করেছেন।
২০১৬ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের বর্বরতার মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশে তাদের প্রবেশে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছিলেন কফি আনান। তিনি অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং রাখাইন রাজ্যের উপদ্রুত এলাকাগুলোতে জাতিসংঘ, মানবিক সহায়তা সংস্থা এবং গণমাধ্যমের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউ ইয়র্কে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠক করেন কফি আনানের সঙ্গে। সেখানে ২০১৬ সাল থেকে রাখাইনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানবিক ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেন ড. আনান। তিনি এ মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশের তরফে স্পিকার উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের দেখতে সুবিধাজনক সময়ে তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও দীর্ঘ সময় ধরে ভোগা স্বাস্থ্যগত জটিলতায় তার সেই সফরটি হয়নি। গতকাল ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন- তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। রাখাইনের উন্নয়নে সুচি সরকার গঠিত আনান কমিশনের ৩ জন সদস্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে যাওয়ার পর আমরা আশা করেছিলাম তার সফরটি হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটি হলো না। দীর্ঘ অসুস্থতা থেকে তিনি আর মুক্তি পেলেন না। আমাদের মাঝে তার ফের আসা হলো না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চলে গেলেন কফি আনান

আপলোড টাইম : ০৮:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান আর নেই। সুইজারল্যান্ডে অবস্থানকালে শনিবার দিনের প্রথম ভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই দেশটির বার্ন শহরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক সংগঠন ও তার নামে প্রতিষ্ঠিত কফি আনান ফাউন্ডেশন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। কয়েক বছর ধরেই তিনি সুইজারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ সংগঠন জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব ছিলেন। প্রায় দশ বছর সংস্থাটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকটের প্রেক্ষিতে রাখাইনে প্রেরিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আফ্রিকার দেশ ঘানায় জন্মগ্রহণকারী কফি আনান প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান হিসেবে জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে তিনি সর্বোচ্চ এই সংগঠনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষায় তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০১ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছে নোবেল কমিটি। ২০০৬ সালে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পরেও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কাজ করা বাদ দেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় সংকটের সমাধানে তাকে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সেখানে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টা চালান। কফি আনানের নামে প্রতিষ্ঠিত কফি আনান ফাউন্ডেশন বলেছে, তিনি ছিলেন বৈশ্বিক কূটনীতিক ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। যিনি জীবনভর আরো সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য কাজ করে গেছেন। যেখানেই মানুষের প্রয়োজন হয়েছে, কেউ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে, তিনি সেখানে পৌঁছে গেছেন। তার সহায়তা ও সমবেদনা পেয়েছে অনেক মানুষ। তিনি নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সত্যিকারের দয়া, ভালোবাসা ও মেধা তার মধ্যে ছিল। শিশুমৃত্যু ও দরিদ্রতা রোধে জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল এমডিজি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সম্প্রতি তিনি এই অবদানকে নিজের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে আখ্যা দেন। সমসাময়িক বিশ্বের উজ্জ্বল এই নক্ষত্রের বিদায়ে শোক জানিয়েছেন জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরা, মানবাধিকার কমিশনার জায়েদ রা’দ আল হোসেনসহ বিশ্বের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ।
নোবেল জয়ের বছরে বাংলাদেশে এসেছিলেন, এবার রোহিঙ্গাদের দেখার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, কিন্তু… ইরাক যুদ্ধের শুরু থেকেই কফি আনান নামটি খ্যাতি পায় বিশ্বজুড়ে। যুদ্ধ বন্ধে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে দৌড়ঝাঁপসহ নানা পদক্ষেপ ছিল তার। তখন তিনি জাতিসংঘের প্রধান নির্বাহী। কেবল মহাসচিব থাকাকালেই নয়, আমৃত্যু বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষায় সোচ্চার কণ্ঠ ছিলেন ঘানায় জন্ম নেয়া এই কূটনীতিক। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন শুরু হওয়ার পর দলে দলে দেশটির বাসিন্দারা আত্মরক্ষার্থে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জাতিগতভাবে সুরক্ষা এবং তাদের মানবেতর জীবনের অবসানে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়াসহ আনান কমিশনের ব্যানারে কফি আনান মিয়ানমার সরকারের কাছে ৮৮ দফা সুপারিশ করেছেন। তার সুপারিশ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমার এখন চাপের মুখে।
কিন্তু সেটির বাস্তবায়ন দেখার আগেই বিশ্বকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে মহাসিন্ধুর ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন খ্যাতিমান এই বিশ্ব ব্যক্তিত্ব। মহাসচিব থাকা অবস্থায় ২০০১ সালে জাতিসংঘ এবং তিনি যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। নোবেল জয়ের বছরেই তিনি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। জাতিসংঘের কোনো প্রধান নির্বাহীর এটি ছিল তৃতীয় বাংলাদেশ সফর। কফি আনানের সফরের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আরো দু’জন মহাসচিব বান কি মুন (২০০৮ ও ২০১১) এবং বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফর করেছেন।
২০১৬ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের বর্বরতার মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশে তাদের প্রবেশে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছিলেন কফি আনান। তিনি অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং রাখাইন রাজ্যের উপদ্রুত এলাকাগুলোতে জাতিসংঘ, মানবিক সহায়তা সংস্থা এবং গণমাধ্যমের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউ ইয়র্কে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠক করেন কফি আনানের সঙ্গে। সেখানে ২০১৬ সাল থেকে রাখাইনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানবিক ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেন ড. আনান। তিনি এ মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশের তরফে স্পিকার উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের দেখতে সুবিধাজনক সময়ে তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও দীর্ঘ সময় ধরে ভোগা স্বাস্থ্যগত জটিলতায় তার সেই সফরটি হয়নি। গতকাল ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন- তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। রাখাইনের উন্নয়নে সুচি সরকার গঠিত আনান কমিশনের ৩ জন সদস্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে যাওয়ার পর আমরা আশা করেছিলাম তার সফরটি হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটি হলো না। দীর্ঘ অসুস্থতা থেকে তিনি আর মুক্তি পেলেন না। আমাদের মাঝে তার ফের আসা হলো না।