ইপেপার । আজ রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট: আজ পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। এ নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান বিজয়ী হবেন এমনটা হলফ করে বলা যায়। তবে তার সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াতে পারেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরীফ। তাকে বৃহত্তর বিরোধী দলীয় জোটের প্রার্থী করা নিয়ে বৃহত্তর বিরোধী দলের মধ্যে এরই দেখা দিয়েছে বিরোধ। বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পিএমএলএনের পক্ষ ত্যাগ করছে বিরোধী দলগুলো। প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে এই বিরোধের সূত্রপাত। এ ইস্যুতে পিএমএলএনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও মুত্তাহিদা মজলিশে আমল (এমএমএ)। এর ফলে বিরোধী দলীয় জোটের প্রতি বড় রকমের আঘাত এসেছে। ওদিকে পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতারা ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন ঘোষণা করেন আনুষ্ঠানিকভাবে। ইমরান খানের বানিগালার বাসভবনে ওই বৈঠক হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের মনোনয়নপত্র জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে জমা দিয়েছেন আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রধান শেখ রশিদ। দৃশ্যত ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। কারণ, বিরোধী দলীয় জোটের মধ্যে ব্যাপক মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ নিয়ে পিপিপির সঙ্গে দূরত্ব কমানোর জন্য চেষ্টা চলছিল গতকাল বৃহস্পতিবারও। যদি তাদের মধ্যকার দূরত্ব না কমে তাহলে ইমরান খান খুব সহজেই হতে পারেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ইমরান খানকে আটকে দিতে পাকিস্তানের বিরোধী ১১টি দল জোট গঠন করেছে। তাদের মধ্যে শাহবাজ শরীফের বাসভবনে দফায় দফায় বৈঠক হয়। এর উদ্দেশ্য বিরোধী দলের একজন প্রার্থী মনোনয়ন ও এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা নিয়ে। এসব সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার আহ্বান জানায় পিপিপি। ওদিকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। ওইদিনই পিটিআই মনোনীত আসাদ কায়েস শপথ নেন স্পিকার হিসেবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আজ

আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৮

ডেস্ক রির্পোট: আজ পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। এ নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান বিজয়ী হবেন এমনটা হলফ করে বলা যায়। তবে তার সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াতে পারেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরীফ। তাকে বৃহত্তর বিরোধী দলীয় জোটের প্রার্থী করা নিয়ে বৃহত্তর বিরোধী দলের মধ্যে এরই দেখা দিয়েছে বিরোধ। বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পিএমএলএনের পক্ষ ত্যাগ করছে বিরোধী দলগুলো। প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে এই বিরোধের সূত্রপাত। এ ইস্যুতে পিএমএলএনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও মুত্তাহিদা মজলিশে আমল (এমএমএ)। এর ফলে বিরোধী দলীয় জোটের প্রতি বড় রকমের আঘাত এসেছে। ওদিকে পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতারা ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন ঘোষণা করেন আনুষ্ঠানিকভাবে। ইমরান খানের বানিগালার বাসভবনে ওই বৈঠক হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের মনোনয়নপত্র জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে জমা দিয়েছেন আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রধান শেখ রশিদ। দৃশ্যত ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। কারণ, বিরোধী দলীয় জোটের মধ্যে ব্যাপক মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ নিয়ে পিপিপির সঙ্গে দূরত্ব কমানোর জন্য চেষ্টা চলছিল গতকাল বৃহস্পতিবারও। যদি তাদের মধ্যকার দূরত্ব না কমে তাহলে ইমরান খান খুব সহজেই হতে পারেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ইমরান খানকে আটকে দিতে পাকিস্তানের বিরোধী ১১টি দল জোট গঠন করেছে। তাদের মধ্যে শাহবাজ শরীফের বাসভবনে দফায় দফায় বৈঠক হয়। এর উদ্দেশ্য বিরোধী দলের একজন প্রার্থী মনোনয়ন ও এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা নিয়ে। এসব সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার আহ্বান জানায় পিপিপি। ওদিকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। ওইদিনই পিটিআই মনোনীত আসাদ কায়েস শপথ নেন স্পিকার হিসেবে।