শোক র্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভাসহ চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে নানা আয়োজন
- আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৮
- / ৭১৪ বার পড়া হয়েছে
জঙ্গিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয়ে গভীর শোক অতল শ্রদ্ধা আর শপথে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ
ডেস্ক রিপোর্ট: সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে যথাযথ মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার শোক র্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন- শোষক ও শোষিতের সংগ্রামে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধু পালন করেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শক্তির শৃঙ্খল থেকে তিনি বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করতে চেয়েছেন, চেয়েছেন দেশকে স্বাধীন করতে। এ মুক্তির সংগ্রামে তিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভেবে জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, কিশোর বয়স থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করেছেন প্রতিবাদ, সর্বদা বলেছেন সত্য ও ন্যায়ের কথা এবং হয়ে উঠেছেন স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে তিনি কখনও দূরে সরে যাননি, ভীতি ও অত্যাচারের মুখেও সর্বদা তিনি সত্য ও ন্যায়ের কথা বলেছেন, শোষিত মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। শোষিত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর এ নির্ভীক অবস্থানের কারণে তিনি কেবল বাংলাদেশেই নয়, শোষিত-নির্যাতিত বিশ্বমানব সমাজেও অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে, শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে, প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। সেটিই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদন খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, সুবেদার মেজর (অব:) সাইদুর রহমান বীর প্রতিক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ বাঙালি জাতির অন্তরে চির জাগরুক হয়ে আছে। জাতির পিতার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়া। এ কারণে আমাদের সকলের দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে সম্পূর্ণ করে দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা।’
এছাড়াও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ এবং শোকাবহ পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় শিশু একাডেমিতে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এসময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সচিব নূরজাহান খানম, সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিসট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, এনএসআই এর উপ-পরিচালক জাফর ইকবাল, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম ই¯্রাফিল, জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজশীপ, জুডিশিয়াল মাজিট্রেসি ও আইনজীবী সমিতি চুয়াডাঙ্গা শোক র্যালি, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল করেছে। গতকাল সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুনরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালত ভবনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম। সিনিয়র সহকারি জজ সাজেদুর রহমানের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. নুরুল ইসলাম, নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. জিয়া হায়দার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিসট্রেট এম. এ. হামিদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক জাকির হোসেন খান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক কামাল হোসেন শিকদার, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক তপন রায়, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিসট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি জজ ফারিহা নওশিন বর্ণী, মাহবুবা শারমীন, নাজমীন আক্তার, মো. সালাহ উদ্দীন।
অপরদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমি দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। বিকাল চারটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনডিসি সিব্বির আহমেদ, সহকারি কমিশনার চৌধুরি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দীন, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহাঙ্গির আলম মান্নান প্রমুখ।
জাতীয় শোক দিবস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের দিনব্যাপী কর্মসূচির জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন অর্ধনমিত করা হয় ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, খুস্তার জামিল, নাসির উদ্দিন আহামেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, এ্যাড. আব্দুল মালেক, কোষাধ্যক্ষ আলী রেজা সজল, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আর সুন্না, উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার টেংরা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তালিম হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা, মাহমুদা জামান পলি, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কহিনুর বেগম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম-আহবায়ক শামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহাবুল হোসেন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য শেষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলার অবিসাংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলার ইতিহাস অন্যভাবে রচিত হতো। তিনিই একমাত্র নেতা যার হাত ধরে মুক্তি পাগল লাখ লাখ জনতা নিরস্ত্র জনতা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সশস্ত্র পাক হানাদারের বিরুদ্ধে। তিনিই পরাধীন বাংলার একমাত্র আমাদের বঙ্গবন্ধু। এছাড়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগ্যে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির সভাপতি সহকারি অধ্যাপক মো. ফরহাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মকসুদুল হক খান চৌধুরি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল জব্বার, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আতিয়ার রহমান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম আজাদ, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান খন্দকার রোকনুজ্জামান, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আব্দুল আজিজ, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. এনাম হোসেন, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মাহবুবুর রহমান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ফারুক হোসেন, গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হেমায়েত আলি, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মুমিনুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক জাহিদুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. মতিউর রহমানসহ সরকারি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।এসময় শোক দিবস উপলক্ষে বির্ভিন্ন প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
অপরদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ। প্রভাষক শফিউর রহমানে উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন উপাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মামুন অর রশীদ, গণিত বিভাগের প্রফুল্ল কুমার দত্ত, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মাসুদ পারভেজ, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের মারুফুল ইসলাম, এনামুল হকসহ কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। এসময় শোক দিবস উপলক্ষে বির্ভিন্ন প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা কারীগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টিটিসিতে আলোচনাসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের র্যালিতে অংশগ্রহণ করে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে টিটিসি মিলনায়তনে আলোচনাসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রেনিং ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন, ইন্সক্ট্রাকটর আলামিন বিশ্বাস, মো. সিদ্দিক প্রমূখ। এসময় টিটিসিতে অনুষ্ঠিত ৭টি ট্রেডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগীতায় মোট ২১জনকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আতœজীবনী বই উপহার দেওয়া হয়।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়। গতকাল বুধবার সকালে পৌরসভার পক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. হাসান আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মতিয়ার রহমান মতিন ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, পৌরসভার সচিব ক্জাী শরীফুল ইসলাম, ইপি আই সুপারভাইজার আলী হোসেনসহ সকল পৌর কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শোকদিবস উপলক্ষে দুপুরে পৌর কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন পৌরসভা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুর রহমান।
এদিকে, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৮ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা রেডক্রিসেন্ট ইউনিট ও ডায়াবেটিক সমিতি যৌথভাবে নানা কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল বুধবার দিবসটি উপলক্ষে র্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। দিবসের শুরুতেই সকাল ৬টায় প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন ও সেক্রেটারী (ভারপ্রাপ্ত) শহীদুল ইসলাম শাহান, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জোহা (পিপি) এবং দুই সংগঠনের কার্যকরি কমিটির নেতৃবৃন্দ, আজীবন সদস্যবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। রেডক্রিসেন্ট ইউনিট চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা সঞ্চালনায় ছিলেন ইউনিট অফিসার সাঈদ মো. শামীম। অনুষ্ঠানে রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী (ভারপ্রাপ্ত) শহীদুল ইসলাম শাহান, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারাণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জোহা, রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন বক্তব্য রাখেন। এসময় রেডক্রিসেন্ট ইউনিট ও ডায়াবেটিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও আজীবন সদস্যবৃন্দ এবং যুবরেডক্রিসেন্টের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করে পেশ ইমাম হাফেজ আব্দুল মজিদ।
এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে সকাল ৬টায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বিকাল ৪টায় স্থানীয় শ্রীমন্ত টাউন হলে বাংলাদেশ কৃষক লীগ, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী আহমেদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র এ্যাড. আশরাফ আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদি, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হোসেন জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নেফাউর রহমান (ডেভিড), সদর থানা কৃষক লীগের আহবায়ক আব্দুল মতিন দুদু, পৌর কৃষক লীগের আহবায়ক রাকু, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল, দপ্তর সম্পাদক জনি, পদ্মাবিলা ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি বজলুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান, কৃষক লীগ নেতা রাব্বী, দয়াল, ময়েন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমস্ত সদস্য জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, মাহবুল ইসলাম সেলিম, আবুল হোসেন মিলন, আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, হাফিজুর রহমান কালু, আতিউর রহমান বিপ্লব, ইমরান আহমেদ বিপ্লব, সাইফুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন, জাহিদুর রহমান মুকুল, সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, মাফিজুর রহমান মাফি, আনিসুর রহমান, আসাদুজ্জামান সবুজ, আবু তাহের, আলীম, শরীফ হোসেন, কবির হোসেন, আব্দুর রহিম, খায়রুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম টুকুল, আব্দুস সামাদ ও আশরাফুজ্জামান নান্নু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশিদুল ইসলাম (পাপেল), জনি, লিটন, মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবলীগের সদস্য এ্যাড. তসলিম উদ্দীন ফিরোজ, যুবলীগ নেতা-ইমরান শেখ, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জ্যাকি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক সজল, ইমরান-১, ইমরান-২, হালিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোমিনুল ইসলাম (হাসান), সহ-সভাপতি- জাহাঙ্গীর, দপ্তর সম্পাদক সেক সামী তাপু, ত্রান ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম উদ্দীন পিন্টু, পৌর ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম শেখ ইমরান, ফয়সাল, সজীব, সেফদুল, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কাকন, সোহাগ, নিপ্পন, সেবা, জাভেদ আকিব, সাইফুল, বিপ্লব, ইনামুল, শেখ শাওন, ইসতিয়াক সিথুন, আরাফাত প্লাবন, ফারহান রাব্বী, আরফিন সজীব, নিশান, জিতু, রাজন, রাব্বী, রকিবুল, আশিক, সুমন, মেরাজ, মেহেদি, জাহিদ, বাধন, আসিফ, মাহফুজ, নাহিদ, হিমু, আনিছ প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা কৃষক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ক্বারী হাফেজ মো. শান্তি বিশ্বাস।
অপরদিকে, দেশবরেণ্য চিকিৎসক, বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল বুধবার জাতীয় শোক দিবসের শুরুতেই সূার্যাদ্বয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ের বনলতা ভবনে চুয়াডাঙ্গার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়ম মেনে জাতীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জেলা প্রশাসনের র্যালির সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশগ্রহণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতাল মোড়ের বনলতা ভবনে চুয়াডাঙ্গার বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন- বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। তাই ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শ ও নীতিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। এই দেশ ও জনগণ যতদিন থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এদেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। ঘাতকরা ভেবে ছিল সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এদেশকে পুনরায় পাকিন্তান বানিয়ে ফেলবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ বাঙালি জাতির অনরে প্রোথিত হয়ে আছে। আসুন, আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করি। দারিদ্রমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রামে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে।
পরে কাঙ্গালী ভোজ করান। এসময় তিনি নিজ হাতে তাবারক বিতরণ করেন। দুপুর আড়াইটায় আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর বাজারে আইলহাঁস ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক হাসানুজ্জামান কিরণের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেন। সেখানে কাঙ্গালী ভোজ করান। বেলা সাড়ে ৩টায় মাখালডাঙ্গা ও উক্ত গ্রামে শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশাবুল হক আশার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিকাল চারটায় চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলে জেলা কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, স্বোচ্ছাসেবক লীগের দোয়া ও আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জিবন ও বাংলাদেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় করেন। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা সিপি মোড়ে জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান বজলুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেন। বিকাল সাড়ে ৬টায় কলোনিপাড়ায় ছাত্রলীগের দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার ফাস্ট মর্নিং কিন্টারগার্ডেনে দলীয় নেতাকর্মীদের দোয়া ও আলোচনায়, তালতলা বাজারে, সরোজগঞ্জ বাজারে, নয়মাইল বাজারে, আলমডাঙ্গার বেলগাছী নব দিগন্তক্লাবে দোয়া ও আলোচনায়, খাসকররা বাজারে, ডাউকি ইউনিয়নে, পুলতাডাঙ্গা বাজারে, কাটাভাঙ্গা বাজারে, বেলগাছী ইউনিয়নে, হারদী বাজারেসহ চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে শোকসভা, দোয়া ও আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী কাঙ্গালী ভোজ করান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর সাথে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজীজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী, আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেজউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়র হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদর উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকছেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য খালেকুজ্জামান, খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম মোয়াজ্জেম, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুনিয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান বজলু, চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি লিহাজ উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী বাস্তুহারালীগের সভাপতি মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজগার উদ্দীন (মুন্না), আইলহাঁস ইউনিয়ন যুব লীগের প্রচার সম্পাদক হাসানুজ্জামান কিরণ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নূর আলী, ১নং ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী বিশ্বাস, জেহালা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীক, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মঈন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশাবুল হক আশা, সাংগঠনিক সম্পাদক আজমীর ইসলাম জনী, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশাবুল হক আশা, বাবুল বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ফরিদ জোয়ার্দ্দার, ডা. ডাবলু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিশকাত, মামনুন, সায়হাম, শাহ্তা জারার, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান, আজিম, সোহাগ, তৌফিক, আক্তার, হাবিব, বেল্টু, অপু প্রমুখ।
এদিকে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হাশেম রেজার উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্থানে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় জাতীয় শোকদিবস পালন করা হয়েছে। জাতীয় জীবনের সীমাহীন বেদনা ও কলঙ্কময় এ দিনটি পালনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করে। এর মধ্যে ছিল সকাল ৮ টায় জমায়েত, সোয়া ৮টায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করন, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারন, সকাল সাড়ে ৮টায় শোক-শোভাযাত্রা, সকাল ৯টায় শোকসভা, সকাল ১০টায় ১৫ আগষ্ট নির্মমভাবে স্বপরিবারে নিহত বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া এদিন বাদ আসর এলাকার বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা হারুন-অর রশিদ মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হক মন্ডল, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, জেলা মৎসজীবি লীগের সহ-সভাপতি সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সরফরাজ উদ্দীন, জীবননগর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম মিন্টু, তরিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান শাকিল, নাহিদ, মামুন, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের নেতা মহাসীন আলী, জসিম মেম্বর, আপেল উদ্দীন, নতিপোতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কাওসার আলী, বাবলুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম জহির, সাইদুর রহমান, আ. মজিদ মোল্লা, সালাহউদ্দীন, শাহবুদ্দিন খান, ছাত্রলীগ নেতা এইচএম হাকিম, রিপন, রঞ্জু, রাসেল রিমু , সজিব, জেবা, মেরাজ, মন্টু, শাকিল প্রমূখ।
অপরদিকে, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলনের মাধ্যমে “জাতীয় শোক দিবস” এর কর্মসূচী শুরু হয়। সকাল ১১টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় প্রফেসর ড. মো. হযরত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত ভাইস-চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন মো. ইউসুফ আলী, সায়মা সুলতানা, মো. শামিম রেজা। স্বাগত ভাষণ দেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ইমরোজ মুহাম্মদ শোয়েব আরও বক্তৃতা করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মোছা. শাসসুন্নাহার বেগম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. মহবুব আলম, উপ-পরিচালক (অর্থ) মো. প্রফেসর আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল মোত্তালিব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. আমিরুল ইসলাম জয়। আলোচনা শেষে জাতির জনক ও তাঁর পরিবারবর্গের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ঈমাম মো. মওলানা আরিফ বিল্লাহ। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এদিকে, ১৫ই আগস্ট ২০১৮স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট কমান্ড সারা দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে। সকাল সাড়ে ৯টায় শোক র্যালি, জেলা শিল্পকলা একাডেমির, মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সকাল ১০টায় পুষ্পমাল্য অর্পণ, বেলা ১১টায় আলোচনা সভা, বেলা ১২টায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সকল প্রকার কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা নখাঁন, মো. সহিদ হোসেন খাঁনসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানের ও ইউনিটের বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
অপরদিকে, ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের নির্দেশে-পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য খালিদ মন্ডলের সভাপতিত্বে চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ী মোড়ে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আব্দার জোয়ার্দ্দার, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা মালেক, সাহেব, রোকন, সিকদার, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আলিম, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মিঠুন, রবিন, কবির, সজীব, রাজু, মুন্নাফ। ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিম শাকিল, সাব্বির, ইব্রাহিম, রাসেল, জাহিদ, বিপ্লব, মিঠু, জনি, রাজু-২, মাটিসহ ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও পৌর ছাত্রলীগ এবং ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। দোয়া মাহফিল করেন সাতগাড়ী জামে মসজিদের ইমাম ও আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর ইউনিয়নের উদ্যোগে শোক দিবসের র্যালি ও কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে শোক দিবস ও কাঙালি ভোজ আয়োজন করেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব মোশারফ হোসেন, ইউপি মেম্বর জামাত আলী, বিল্লাল হোসেন, মহিলা মেম্বর রিনা পারভীন, ওহিদুল ইসলাম, উদ্যোক্তা ওবাইদুর রহমান, লাখি খাতুনসহ প্রমূখ। এছাড়াও চেয়ারম্যান ও কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯টি গ্রামের জনগনের জন্য শোক দিবসের কাঙালি ভোজ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, চুুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালের দিকে সরোজগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে শোক দিবসের র্যালি ও কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এসময়ে শোক দিবসের র্যালি বের করেন তেঁতুল শেখ কলেজ, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আবুল হোসেন দাখিল মাদ্রাসা, সরোজগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ বেবী নাসিং স্কুল, সরোজগঞ্জ শিশু নিকেতন, সরোজগঞ্জ সোনামণি কিন্ডারগার্টেন, সরোজগঞ্জ আন নূর ইসলামী একাডেমী স্কুল, নবীননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহম্মদজমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক দিবসের র্যালি ও কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়।
বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দীন আহম্মেদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম, দোয়া পরিচালনা করেন ধর্ম শিক্ষক শামসুল, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাইফুল ইসলাম স্বপন। বদরগঞ্জ বাকী বিল্লাহ কামিল মাদরাসায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের উদ্যোগে রালি আলোচনা ও দোয়া মাহফিল কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, অনুষ্ঠান ও দোয়া পরিচালনা করেন রুহল আমিন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বদরগঞ্জ শাখায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আসিফ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধার সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দা, বিশেষ অতিথি শাখাওয়াত হোসেন টাইগার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, আব্দুল মোতালেব সভাপতি আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।আরো উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক কুতুবপুর যুবলীগ, এছাড়াও বিভিন্ন নেতরী বৃন্দ।দোয়া পরিচালনা করেন শহিদুল ইসলাম, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাইফুল ইসলাম স্বপন।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভির্যের সাথে আলমডাঙ্গায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্মমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সীমা শারমীন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মাসুদ রানা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মৃণাল কান্তি সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাব উদ্দিন, সাবেক উপজেলা কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, আব্দুল কুদ্দুস, আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, মঈনুদ্দিন আহমেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা শিক্ষানুরাগী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লাসহ নেতৃবৃন্দ।
র্যালি শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. শাহাবুদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, মঈনুদ্দিন আহমেদ, ওমর ফারুক, আব্দুল মালেক, ওয়াজেদ আলী মাষ্টার, ইয়াকুব আলী মাষ্টার, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দ. হামিদুল ইসলাম আজম। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফাজ উদ্দিনের উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা এজেডএম, কৃষি অফিসার, প্রকল্প কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইমরুল কায়েস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুরা জান্নাত, কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজা। অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২১ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও সকাল সাড়ে ৭টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ্ আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা শিক্ষানুরাগী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম, ইন্দ্রজিৎ দেব শর্মা, পৌর কাউন্সিলার হাসানুজ্জামান, জহুরুল ইসলাম স্বপন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক সিনিয়ার কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মৃধা, যুবলীগের আহবায়ক আহসান উল্লাহ, আনিসুর রহমান মল্লিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডন, সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, রবিউল হক, সোনা মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোল্লা জাফর, দিনেশ কুমার, আব্দুল মালেক, সরোয়ার হোসেন, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহিদা খানম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা প্রমূখ। অনুষ্ঠানে জাতির জনক বন্ধবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
এছাড়াও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আবেদীন খোকনের নেতৃত্বে একটি বিশাল শোক র্যালি আলমডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এ্যাড. শফি উদ্দিন, দিপক মিয়া প্রমূখ। অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে একটি বিশাল শোক র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ওবায়দুর রহমান জিপু চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহীন রেজা, গোলাম সরোয়ার প্রমূখ।
অন্যদিকে উপজেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে এক বিশাল শোক র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে অংশ নেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক পানু, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীর, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বজলুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সদস্য বজলুর রহমান, কৃষক লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌমেন্দ্রনাথ সাহা, ফজলুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক সাহাবুল ইসলাম, বিপ্লব কুমার, পান্না বিশ্বাস, হাতেম আলী, আজিবার রহমান বিনোদ কুমার ধর, আব্দুর রাজ্জাক, মানোয়ার হোসেন মোহন, চুয়াডাঙ্গা সদর কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন দুদু, জেলা কৃষক লীগের সদস্য জাকির হোসেন, সাইদুর রহমান, গোলাম দরবেশ, ইসলাম আলী প্রমূখ। এছাড়াও আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজ, আলমডাঙ্গা সরকারী স্কুল, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর একাডেমী, মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ডবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেএন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল-ইকরা ক্যাডেট একাডেমী, আলমডাঙ্গা বিদ্যুত অফিস, আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসসহ উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বস্ব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।
অপরদিকে, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলমডাঙ্গা পৌরসভা নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে। গতকাল বুধবার পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের প্রতিটি পোলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই সাথে পৌরসভা চত্তরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাদ জোহর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়। এর পূর্বে আলমডাঙ্গা পৌর জান্নাতুল বাকী এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর হাফেজ ও ছাত্রদের দ্বারা ১০খতম কোরআন তেলোওয়াত করানো হয়। মিলাদ মাহফিল শেষে পৌরসভা চত্তরে তাবারক বিতরন করা হয়। এছাড়া পৌরসভার সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত উপলক্ষে পৌরসভা হতে জিলাপি প্রদান করা হয়। পৌরসভার সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, প্যানেল মেয়র-১, সদর উদ্দিন ভোলা, প্যানেল মেয়র-২ জহুরুল ইসলাম স্বপন, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আলী আজগর সাচ্চু, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুর ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ড মামুন অর রশিদ হাসান, মহিলা কাউন্সিলর সামসাদ রানু, কল্পনা খাতুন, নূর জাহান খাতুনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী। দোয়া অনুষ্ঠান পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মেয়র মহোদয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করার মানসে দলমত নির্বিশেষ একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, দামুড়হুদায় শোক র্যালি, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিলসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, উপজেলা দলিল লেখক সমিতি, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাইস্কুল, দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠন দিবসটি পৃথক পৃথকভাবে পালন করেছে।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর। প্রধান অতিথি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে শোককে শক্তিতে পরিণত করে ঐক্যবদ্ধ তাদের মোকাবেলা করতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে সুসংগঠিত করার মধ্যদিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকী সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সৈয়দা নাফিস সুলতানা, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ^াস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমতুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন মাস্টার, সিরাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবির ইউসুফ, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো., রফিকুজ্জামান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, উপজেলা মৎস্য অফিসার আইয়ুব আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিন, উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুবুউল হক, সহকারী প্রোগ্রামার আরিফুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রতœা রাণী, সমবায় কর্মকর্তা অশোক কুমার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হুসনে জাহান, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নূরজাহান খাতুন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, যুবলীগ নেতা সুমন, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু সরকার, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রগীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু প্রমূখ। আলোচনা শেষে যুব ঋণের চেক, গাছের চারা এবং বিজয়ী শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এদিকে, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, প্রভাষক হাসিবুল আলম, মিজানুর রহমান মন্ডল, গভর্নিং বডির সদস্য বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি আশরাফুল আলম, ইমতিয়াজ হোসেন, প্রমূখ। আলোচনা শেষে পুরষ্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহা।
অপরদিকে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে শোক র্যালি বের হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সহ-সভাপতি হাজী রবিউল হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবির ইউসুফ, উপজেলা যুবলীগ নেতা সেলিম উদ্দীন বগা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান পিন্টু, সাহেব আলী, সোহরাব হোসেন, আব্দুল করিম, জাকির, মোছা করিম, রকিবুল, শামসুল, নাজমুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু প্রমূখ র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুর নেতৃত্বে শোক র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্তরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচারসম্পাদক আব্দুল জব্বার, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাজী আমজাদ হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শওকত আলী, আ.লীগ নেতা আলফাজ আলী মল্লিক, যুবলীগ নেতা হায়দার আলী, আশাদুল, এমএ ফয়সাল, আ. সালাম, দামুড়হুদা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক এমএ করিম, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের বাকী বিল্লাহ প্রমূখ।
অপরদিকে, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার স্মৃতিকনা দাসের নেতৃত্বে শোক র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিস চত্তরে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার শ্রী স্মৃতিকনা দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সহ-সভাপতি বরকত আলী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মনির, অর্থ সম্পাদক শমশের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তোতা, সদস্য তাহাজুল ইসলাম, ইউসুফ আলী ইছা মেম্বার, রবিউল ইসলাম প্রমূখ।
এদিকে, বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিকের নেতৃত্বে শোক র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডস্থ সিয়াম মার্কেটের সামনে দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি নজরুল মল্লিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ডা. মাসুম আলী খান, উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আফজালুর রহমান বুলু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাড. আবু তালেব, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জান মোহাম্মদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মীর আব্দুল হামিদ, আ.লীগ নেতা শাহিনুর রহমান মাস্টার, আলমগীর হোসেন, আব্দুল খালেক, আজের বিডিআর, ইমরান হোসেন, রবিউল হোসেন, যুবলীগ নেতা কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, হযরত আলী, শাহিন উদ্দীন, জাহাঙ্গীর হোসেন, জহুরুল ইসলাম ফকির, আ. মালেক ভুইয়া, কাওছার আলী, শাহিন, রাশেদ, ফজলুল হক ফজু, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুজ্জামান বাঁধন প্রমূখ।
অপরদিকে, জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৮টার দিকে শোক র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আয়ুব আলী স্বপনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগন ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ। আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ।
এদিকে, বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে সকাল ৮টায় শোক র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাড. রফিকুল আলম রান্টুর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইদ্রিস আলী, সহকারী প্রধান শিক্ষক মুনছুর আলী, গোলাম সারোয়ার নান্নুসহ সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ। আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, সারা দেশের ন্যায় দর্শনায় পৃথক পৃথক স্থানে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় দর্শনা রেলবাজার সংলগ্ন আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের নেতৃত্বে জাতীয়, শোক ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্মমাল্য অর্পণ শেষে আ.লীগ, যুবলীগ পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগ কালো ব্যাজ ধারন করে এক শোক র্যালি বের করেন। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও দামুড়হুদা উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক এবং পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, গোলাম ফারুক আরিফ, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আ. হান্নান ছোট, দর্শনা পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসলাম আলী তোতা। দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ মল্লিক, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু, মোহাম্মদ, আলামিন, প্রভাত, রায়হান, তুহিন, আশা, আক্তার, মাসুদ, অপু সরকার, স্বপন, তুর্য, মেহেদী, সনি, আশরাফুল, হৃদয়, স্বঞ্জয় ও মাফুজ প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দর্শনা পৌর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
এদিকে, দর্শনা পৌরসভার উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৮টায় দর্শনা সরকারী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে মেয়র মতিয়ার রহমানের আহব্বানে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে গণজামায়েত হয়। গণজামায়েতের পর একটি শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডাক বাংলো কাম কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে এক অডিটরিয়ম কাম কমিউনিটি সেন্টারের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজু।
আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম, ওয়ার্কাস পার্টি নেতা সৈয়দ মজনুর রহমান, আ.নেতা আমির হোসেন, হুমায়ুন কবীর, সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরতি হালসানা, মুকুল মিয়ার্জি, আরশাফ হোসেন, দর্শনা রামাযুস সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল, নাজিম উদ্দিন প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ।
ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দামুড়হুদা গোপালপুরে র্যালি, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় গোপালপুর ৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে একটি শোক র্যালি গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিন করে। র্যালি শেষে সকল শহীদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিন্টু মল্লিক, সহ-সভাপতি সোলায়মান হক ছলে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নাজিম উদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রেজাউল করিম, প্রধান শিক্ষক সাদিকুর রহমান, শিবলু, হযরত, বাবলু, জালাল উদ্দীন, টিপু মল্লিক প্রমূখ।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগরে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হল ১৫ আগস্ট জাতিয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী। গতকাল বুধবার সকালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয়, দলীয় ও শোক দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জীবননগর মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা, জীবননগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দ্বিনেশ চন্দ্র পাল, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের মধ্যে দিয়ে চিত্রাঙ্কন ও ছড়া লেখার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
উথলী প্রতিনিধি জানিয়েছে, যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে জীবননগর উথলীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উথলী ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক ব্যানারে র্যালি, আলোচনা, শোক সভা এবং গণভোজের আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় জাতীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি শোক র্যালি উথলী বাসস্ট্যান্ড প্রদক্ষিণ করে কলেজ প্রাঙ্গনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। উথলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল হান্নান। বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল মান্নান পিল্টু, এদিকে, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শোক দিবস উপলক্ষ্যে শোক র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল মান্নান পিল্টু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিচালনা পরিষদের সদস্য লুতফর রহমান লুতু, আতিকুর রহমান, কামাল বিশ্বাস, রাম চন্দ্র রাজবংশী। পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক ওহিদুল হক স্বপন।
অপরদিকে, গতকাল বুধবার বিকেলে উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পৃথক আয়োজনে শোকসভা ও গণভোজের আয়োজন করা হয়। বৃষ্টিতে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীতে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। ১নং ওয়ার্ড আ’লীগের আয়োজনে উথলী ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জীবননগর পৌর আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (জীবননগর এলাকা) চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান পিল্টু, আ’লীগ নেতা লুতফর রহমান লুতু, সোহেল আহম্মেদ প্রদীপ, আকবর আলী, জীবন সেন, মজিবুর রহমান, উথলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লিমন ফেরদৌস লিয়ন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মো. তবিবুর রহমান। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন হাসান নিলয়।
এদিকে উথলী ইউনিয়নের সেনরহুদা ৪ ও ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগ আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উথলী ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আবু জাফরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর পৌর আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উথলী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান, জীবননগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান পিল্টু, সেনেরহুদা গ্রামের আ’লীগ নেতা, আব্দুল খালেক, সিদ্দিক, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওহিদ, রমজান, আলী, আহসান হেলা, জনিসহ আ’লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ছরোয়ার।
এ ছাড়াও উথলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উথলী পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদ্রাসা, সেনেরহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৃগমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একতারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
আন্দুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি জানিয়েছে, সারাদেশের ন্যায় জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপিত, বাঙালী জাতীর অবিসংবাদিত নেতা, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পৃথক পৃথকভাবে পালিত হয়েছে। এ দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, আন্দুলবাড়ীয়া কলেজ, বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বহুমূখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পাঁকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাশীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কর্চাডাঙ্গা-কুবরেগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আশরাফিয়া আলিম মাদরাসা, পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদরাসা, ইসলামী ফাউন্ডেশন, আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটি, ইউনিয়ন পরিষদসহ অত্র ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের দলীয় নেতাকর্মিদের উদ্যোগে শোক দিবস পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, জাতীয় ও শোক দিবসের পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, শোক র্যাাল, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, কাঙ্গালী ভোজে ও বিশেষ তাবারক বিতরণ করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে ৩নং ওয়ার্ড আ.লীগের উদ্যোগে আন্দুলবাড়ীয়া খা-পাড়ায় অবস্থিত আন্দুলবাড়ীয়া বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শেখ মোক্তার আলী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোল্লা আলতাফ হোসেন ফেলা, ইউপি মেম্বর বাহাউদ্দীন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ আরোজ আহম্মেদ বিল্লাল, সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম লুলু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিরুল খান, ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ রেজা আহাম্মেদ, আ’লীগ নেতা নাজের আলী, শেখ রবি। পৃথক-পৃথকভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মকলেচুর রহমান টজোর অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. খন্দকার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মকলেচুর রহমান টজো, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ আতিয়ার রহমান, আ’লীগ নেতা ডা. মীর মাসুদুল খালেক বুলু, যুবলীগ নেতা খান তারিক মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম প্রমূখ।
২নং ওয়ার্ড আ’লীগের উদ্যোগে মীরপাড়ার মোড়ে শোক দিবসের আয়োজন করা হয়। ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শেখ তুরাপ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউয়িন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু, যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ, আ’লীগ নেতা বাবলু মোল্লা, রানা তালুকদার, আনোয়ার হোসেন বুড়ো। পাঁকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক রুস্তম আলী ও প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেন। কুলতলা গ্রামে সাবেক ইউপি মেম্বার দুরুদ আলী, আ: রহমান বিশ^াস, রবিউল ইসলাম, ফারুক, সেলিম নেতৃত্বে শোক পালন করা হয়।
হাসাদাহ প্রতিনিধি জানিয়েছে, জীবননগর হাসাদাহ ইউনিয়নে হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদার সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাসাদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাসের নিজ দলীয় কার্যালয় হাসাদাহ বাজারে স্থানীয় নেতা কর্মিদেরকে সাথে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের বিদেহী আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তার জন্য দোয়া করেন এবং উপস্থিত সকলের মাঝে কাঙালী ভোজের খেচুড়ি বিতরন করেন। অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ১৪নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল আলম নান্নু হাসাদাহ বাজারে তিনি তার নিজ দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় দলীয় নেতা কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে দুপর সাড়ে ১২টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের বিদেহী আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তার জন্য দোয়া করেন এবং দোয়া শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে কাঙ্গালী ভোজের খেচুড়ি ভাত বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত নেতা কর্মীরা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, শোক র্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, রক্তদান কর্মসূিচ, আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মেহেরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার সময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্ক থেকে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম রসুল, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এ্যাড. মিয়াজান আলী, পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন, পিপি এ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আশকার আলী, সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, এ্যাড. আব্দুস সালাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আরিফুল এনাম বকুল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মি এবং বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা শোক র্যালিতে অংশগ্রহন করেন।
শোক র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিশেষ মঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হয়। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম রসুল, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বশির আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. জিকেএম সামসুজ্জামান, পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্রাচার্য, আ.লীগ নেতা এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তহমিনা আবেদীন, সাধারণ সম্পাদিকা লাভলী ইয়াসমিন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, এরপর মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, মেহেরপুর সরকারী কলেজ, মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজ, পৌর ডিগ্রী কলেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, জাতীয় মহিলা সংস্থা, সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা বিএমএ, গণপূর্ত বিভাগ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, জেলা আইনজীবী সমিতি, এলজিইডি, মেহেরপুর থিয়েটার, মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সরকারী শিশু পরিবার, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয় ও পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম রসুল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. জিকেএম সামসুজ্জামান, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেক, পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন। অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা আশকার আলী, সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, আব্দুস সমাদ বাবলু বিশ^াস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বশির আহম্মেদ, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামিম আরা হীরা, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এমপি পতœী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তহমিনা আবেদীন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, সাধারণ সম্পাদক মোন্তাসির জামান মৃদুল প্রমূখ। এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, আধাসরকারী ও বেসকারীভবন সমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
অপরদিকে, ১৫আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আলামিন হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্ঠা তুহিন আরন্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ফারুক হোসেন, মেহের আমজাদ, ফজলুল হক মন্টু, জুলফিকার আলী কানন, রাশেদুজ্জামান, আবু আক্তার করন, আতাউর রহমান, বেন-ইয়ামিন মুক্ত, আসিফ ইকবাল, হামিদুর রহমান কাজল প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। গতকাল বুধবার দুপুরে মেহেরপুর-১ আসনের এমপি’র বাসভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সামিউন বশিরা পলির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামীম আরা হীরা, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দা মোনলিসা ইসলাম। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি লতিফন নেছা লতা, পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোকসানা কামাল রুনু, সাধারণ সম্পাদক মোমেনা খাতুন, মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর থিয়েটারের উদ্যোগে শোক সভার আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মেহেরপুর থিয়েটারের সভাপতি হাসানুজ্জামান মালেকের সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমীন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নুরুল আহমেদ, মেহেরপুর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, অরণির সভাপতি নিশান সাবের প্রমূখ। সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে সেখানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট শাহাদত বরণকারীদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছে, ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি জয়নাল আবেদিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন প্রমূখ। জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ অংকন করে ক-গ্রুপ প্রথম নাফিয়া মুবাশ্বোরা, সিয়াম খাঁন দ্বিতীয় ও আশিয়া সামিহা তৃতীয় স্থান অধিকার করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অংকনে খ-গ্রুপে আহনাফ সাহরিয়ার প্রথম, তানজিলা তাসনীম, শাহরিয়ার ফয়সাল দ্বিতীয় ও ফাতেমা তাজিন জোহা তৃতীয় স্থান অধিকার করে। ১৫ আগস্ট গনহত্যার ছবি অংকনে গ-গ্রুপে মিফতাহুল জান্নাত প্রথম, মায়শা ফারজানা দ্বিতীয় ও রিয়াদি আক্তার তৃতীয় স্থান অধিকার করে। পরে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দরা।
এদিকে, মেহেরপুর জিয়াউল হক ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরনী, কাঙ্গাল ভোজ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে কলেজের হলরুমে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফ্রেন্ডস্ ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক হাসানুজ্জামান মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জজ আদালতের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, সাহিত্য সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল কবির, অর্থ সম্পাদক শওকত হোসেন প্রমূখ। এসময় সেখানে সহকারি শিক্ষক রবিউল ইসলাম, মফিজুর রজমান, ফারজানা জেসমিন, আসিফ সাজ্জাদ, জহুরুল ইসলাম, নুর ইসলাম, আহসান হাবিবসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কবিতা আবৃতি, রচনা প্রতিযোগী ও চিত্রাঙ্কন বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
অপরদিকে, মেহেরেপুর পৌরসভার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে পৌরসভা প্রাঙ্গনে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলাহাজ্ব গোলাম রসুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, কাউন্সিলর আল মামুন, মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহেল রানা ডলার, আব্দুল্লাহ হেল বাকি, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হামিদা খাতুন, শিউলি আখতার, পৌর সচিব তৌফিকুল আলম, পৌরসভা সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনে জহুরুল ইসলাম বকুল প্রমূখ। পরে সেখানে দোয়া শেষে ১৫ আগষ্ট’র কাঙ্গালি ভোজের খেছুড়ি ভাত বিতরন করা হয়।
এদিকে, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, কাঙ্গাল ভোজ ও দোয়া অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে শহরের কোর্ট সড়কে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও মেহেরপুর চেম্বার আব কমার্স’র সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামাল হোসেন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক ইবনে মামুন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মাহাফুজুর রহমান পোলেন, আকাশ পারভেজ শুভ প্রমূখ। এরআগে সেখানে সকাল ৬টার সময় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং র্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে সেখানে দোয়া ও কাঙ্গালি ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
গাংনী অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের গাংনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, শোক র্যালি, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পনের আগ মুহুূর্তে মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনসহ কয়েজনের উপর চড়াও হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের নেতাকর্মিরা। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্দ্যোগে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গাংনী উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আ.লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে। পরে সকাল ৮টায় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে শহীদ মিনার পাদদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে ১ মিনিট নিরাবতা ও দোয়া মাহফিলের পরে একটি শোক র্যালি বের হয়ে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অপর্ণ করেন, গাংনী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেলোয়ার হোসেন। এসময় পুস্পমাল্য অর্পণ করেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আখতার বানু, মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, গাংনী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম), মেহেরপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি একেএম শফিকুল আলম, ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা ওয়ার্কাস পাটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদ, জেলা জাতীয় পার্টি (জেপি)’র সভাপতি আব্দুল হালিম, গাংনী পৌরসভার (ভারপ্রাপ্ত) মেয়র নবীরউদ্দীন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, আ.লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, ইয়াছিন রেজা, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, আ.লীগ নেত্রী নুরজাহান বেগম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মমতাজ কাকলী, গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন, গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিবসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন, সরকারী-বেসরকারী দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার। সরকার নির্ধারিত ৮টার সময়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণের ঘোষনা আসে মাইক থেকে। আর এক মিনিট পরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন প্রতিবাদ করেন মহিলা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ না আসতেই কেন অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। এসময় জেলা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা উত্তেজিত হয়ে শহীদ মিনার পাদদেশে উপস্থিত মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের নেতাকর্মিদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেও। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও স্থানীয় সাংসদ মকবুল হোসেনসহ পুলিশ-প্রশাসনের যৌথ ভূমিকায় উত্তেজনা থেমে যায়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক তার বক্তব্যে কোন প্রকার অপ্রতিকর ঘটনা এরাতে আওয়ামী লীগের শোক র্যালিটি। সরকারী র্যালির পরে করে নিজেদের আয়োজিত অনুষ্ঠান স্থল গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে আলোচনা সভা ও কাঙালী ভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজামান খোকনের সভাপতিত্বে বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আগত নেতাকর্মিরা আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শোক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের উদ্যোগে আলাদাভাবে একটি শোক র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শেখ র্যালি শেষে গাংনী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল শেষে কাঙালী ভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি একেএম শফিকুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেছুর রহমান মকুল, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাংসদ মকবুল হোসেনের একান্ত সহকারী শিপু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিব, প্রগতি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে গাংনী উপজেলা প্রশাসন রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও শোক দিবস উপলক্ষে নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আখতার বানু তার রাজনৈতিক কার্যালয় চত্বর-গাংনী উপজেলা শহরের ঝিনেরপুল এলাকায় আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করেন। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রত্যেকটি কলেজ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছে, শোক র্যালি, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা এবং মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় মুজিবনগর উপজেলা চত্বর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তারের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি মুজিবনগরের বিভিন্ন সড়ক ও কমপ্লেক্স চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে মানচিত্রের কাছে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার, মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাসেম। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বানের নেতৃত্বে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, কামরুল হাসান চান্দুর নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগ, সভাপতি বেলাল হাসান বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আরিফের নেতৃত্বে মুজিবনগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পুস্তবক অর্পণ করেন। এদিকে, মেহেরপুরের মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৭টার সময় প্রথমে একটা র্যালি বের হয় পরে বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আব্দুল আলীম।
আমঝুপি প্রতিনিধি জানিয়েছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নে নানা কর্মসূরি মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার সময় জাতীয় শোক দিবসের শুরতে আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা ও শোক পতাকা উত্তোলন করা হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহানউদ্দীন আহাম্মেদ। আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার ছাদাত এবং দলীয় নেতাকর্মী ও দলীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আমঝুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সামসুজ্জামান চমন, ও সেক্রেটারি রাকিবুল ইসলাম রুবেল, ইউপি ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আলফাজ হোসেন, সেলিম রেজা জুয়েল উপস্থিত ছিলেন। এর পাশাপাশি আমঝুপি পাবলিক ক্লাব ও লাইেব্ররীতে জাতীয় পতাকা ও শোক পতাকা উত্তোলন করেন আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহানউদ্দীন আহাম্মেদ, সাধারন সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আমানুল্লাহ খান উপস্থিত ছিলেন। আমঝুপি ইউনিয়নের আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদার সাথে শোকর্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শোক র্যালিতে সভাপতিত্ব করেন বোরহান উদ্দীন আহাম্মেদ, নেতৃত্ব দেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর জামান, সহকারী শিক্ষক আবুল হাসান, শরিফুদ্দীন, রাফিউল ইসলাম, বশির আহাম্মেদ, হাবিবুর রহমান ও আলহাজ উপস্থিত ছিলেন। র্যালি শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর রচনা ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করা হয়। পাশাপাশি এআরবি কলেজ, আমঝুপি আলিম মাদরাসা ও আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছে, মেহেরপুর সদরে বারাদী সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাংলাদেশের স্থপতি স্বাধীনতার মহান নায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টায় দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত, দলীয় পতাকা উত্তোলন ও শোক র্যালি করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল ও কাংগালী ভোজ বিতরন করা হয়। আলোচনা সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামিম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর- ১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. শাহিন, শিল্প ও বনিক বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মোমিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দীন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়ুব আলীসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সঞ্চলনায় ছিলেন আরিফুল ইসলাম লিটন।
অপরদিকে, ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোকদিবস পালন কাঙালী ভোজ বিতরণ করে। যুবলীগের সভাপতি এসআই রিংকু মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক আলহাজ গোলাম রসুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, পৌর মেয়র মাফুজুর রহমান রিটন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহামদু, আনু, জয়নাল, জসিম, মিন্টু, রিপন, প্রমূখ। এছাড়া হর্টি কালচার সেন্টার, মেহেরপুর বীজ উৎপাদন খামার, মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাজনগর দাখিল মাদ্রাসা ও নতুন দরবেশপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবসের র্যালি ও কাঙালীভোজের তাবারক বিতরন করা হয়।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল বুধবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ন করা হয়। পরে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোদেজা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বাকাহীদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আছাদুজ্জামান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক সাইফুর রহমান খান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন। অপরদিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টুসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা, ইউনিয়ন ও গ্রামে দিবসটি পালিত হয়।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছে, ঝিনাইদহের মহেশপুরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য পারভীন তালুকদার মায়ার উদ্যোগে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পারভীন তালুকদার মায়ার আওয়ামী লীগের নিজ কার্যালয় থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়ে মহেশপুর উপজেলা ঘুরে আবার একই জায়গায় এসে শেষ হয়। এসময় এক আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় মহেশপুর উপজেলা আওমী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়জদ্দিন হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও মহেশপুর-কোটচাঁদপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পারভীন তালুকদার মায়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহেশপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কুমার কুন্ডু, পৌর ওয়ার্ড কমিশনার হাশেম পাঠান, জেলা যুবলীগের সদস্য জলিল, মহেশপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আশিকুর রহমান, কাজীরবেড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান, কাজীরবেড় ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মুস্তাফি আলী ছবিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দিনব্যাপী আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
অপরদিকে, ঝিনাইদহে নাটাবাড়ীয়া গ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে নাটাবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে এসব অনুষ্ঠিত হয়। হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান সহযোগীতায় গ্রামবাসির আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া এবং গরীব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এসময় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ অনান্যারা উপস্থিত ছিলেন।