ইপেপার । আজ শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

দারোগার ঘুষিতে কনস্টেবল আহত ইনচার্জ বললেন জ্বীনে ধরেছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: গাঁজাসহ আটক আসামি ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদ করায় সাইদুর রহমান নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে কিল, ঘুষি ও লাথিতে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন দাউদ হোসেন নামে এক দারোগা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসরা পুলিশ ফাঁড়িতে। আহত পুলিশ কনস্টেবল সাইদুর যশোর সদর উপজেলার নোঙ্গরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলীর ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের সুবর্ণসরা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। চিকিৎসাধীন সাইদুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার কালীগঞ্জের বাদুড়গাছা গ্রাম থেকে দুটি গাঁজা গাছসহ একজনকে আটক করে এসআই দাউদ হোসেন। এরপর ফাঁড়িতে এনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমি বলেছিলাম “স্যার এ ভাবে আসামী ছেড়ে দিলে আমাদের অসুবিধা হয়। পাবলিক আমাদের খারাপ ভাবে”। এই কথা শুনে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে তিনি আমার বুকে লাথি মারেন। তারপর এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। কনস্টেবল সাইদুর বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে তিনি চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। এসআই দাউদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাইদুরকে জ্বিনে ধরেছিল। এর আগে তার জ্বিনের সমস্যা ছিল। মারধরের ঘটনা ভিত্তিহীন। দাউদ হোসেন আরও বলেন, কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নিই না। এ কথা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সেখানে আসলে কি হয়েছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। কারণ ৮ আগষ্ট থেকে সাইদুর ছুটিতে গেছে। ১২ আগষ্ট এই ঘটনা ঘটেছে। ওসি বলেন মিডিয়ার কাছে সাইদুর যে কথা বলছেন, এখন তা তিনি অস্বীকার করছেন। তারপরও পুলিশের শৃংখলার বিষয় হওয়ায় বিভাগীয় ভাবেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দারোগার ঘুষিতে কনস্টেবল আহত ইনচার্জ বললেন জ্বীনে ধরেছে

আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: গাঁজাসহ আটক আসামি ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদ করায় সাইদুর রহমান নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে কিল, ঘুষি ও লাথিতে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন দাউদ হোসেন নামে এক দারোগা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসরা পুলিশ ফাঁড়িতে। আহত পুলিশ কনস্টেবল সাইদুর যশোর সদর উপজেলার নোঙ্গরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলীর ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের সুবর্ণসরা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। চিকিৎসাধীন সাইদুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার কালীগঞ্জের বাদুড়গাছা গ্রাম থেকে দুটি গাঁজা গাছসহ একজনকে আটক করে এসআই দাউদ হোসেন। এরপর ফাঁড়িতে এনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমি বলেছিলাম “স্যার এ ভাবে আসামী ছেড়ে দিলে আমাদের অসুবিধা হয়। পাবলিক আমাদের খারাপ ভাবে”। এই কথা শুনে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে তিনি আমার বুকে লাথি মারেন। তারপর এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। কনস্টেবল সাইদুর বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে তিনি চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। এসআই দাউদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাইদুরকে জ্বিনে ধরেছিল। এর আগে তার জ্বিনের সমস্যা ছিল। মারধরের ঘটনা ভিত্তিহীন। দাউদ হোসেন আরও বলেন, কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নিই না। এ কথা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সেখানে আসলে কি হয়েছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। কারণ ৮ আগষ্ট থেকে সাইদুর ছুটিতে গেছে। ১২ আগষ্ট এই ঘটনা ঘটেছে। ওসি বলেন মিডিয়ার কাছে সাইদুর যে কথা বলছেন, এখন তা তিনি অস্বীকার করছেন। তারপরও পুলিশের শৃংখলার বিষয় হওয়ায় বিভাগীয় ভাবেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।