ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

তিতুদহের গিরিশনগর বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে ৭ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪০০ বার পড়া হয়েছে

তিতুদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউপির গিরিশনগর বাজারে একটি হোটেল ও চায়ের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুই দোকান মালিক সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে।
জানা গেছে, হোটেলের ফ্রিজে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে বাসায় চলে হোটেল পরিচালক গিরিশনগর গ্রামের বজলুর ছেলে আমীর হোসেন। ফ্রিজের বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সৃষ্টি বলে সবাই ধারণা করছে।
হোটেল মালিক তিতুদহ ইউনিয়নের ৬৩ আড়ীয়া গ্রামের মৃত ছানোয়ার হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান জানান, হোটেলটির মালিক আমি হলেও কয়েকমাস পূর্বে বিশেষ অসুবিধার জন্য আমীরকে দিয়ে হোটেলটি পরিচালনা করছি।
হোটেল পরিচালক আমীর হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে আমি ফ্রিজে বৈদ্যুতিক লাইন অন করে বাসায় চলে যায়। পরে এসে দেখি আগুনে পুড়ে সব ভস্মিভূত হয়ে গেছে বলতে বলতে আমির কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
বাজারসূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো রাত ১২টার মধ্যে বন্ধ করে সকলেই বাড়িতে চলে যায়। কিন্তুু ওইদিন হোটলে ও তার পাশের দোকানে রাত ১২টার অনেক পরে আগুন লাগে। সর্বপ্রথম আগুন লাগার বিষয়টি লক্ষ্য করেন একই বাজারের মুদি ব্যাবসায়ী শ্রী সাধন কর্মকার। পরে তিনি চিৎকার দিলে সবাই ছুটে আসার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রাসহ সকলের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে প্রথমে হোটেলের ফ্রিজে আগুন লেগে তা পরে পুরো হোটেলসহ আশপাশ দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এই আগুনের ঘটনায় চেয়ার, টেবিল, র‌্যাক, কেরোসিনের চুলা, কড়াই, হাড়ি ও বাইসাইকেলসহ নানা যন্ত্রাংশ পুড়ে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া হোটেলের পাশে অবস্থিত গিরিশনগর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে শহিদুলের চা ও কাঁচামালের দোকানে আগুন লেগে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়।
চা ও কাচামাল ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, আমার দোকানের ২টি কেরামবোর্ড, ১টি রঙিন টেলিভিশন, চা সরঞ্জামাদিসহ কয়েক হাজার টাকার শাক-সবজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় শহিদুল বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
এই আগুনের ঘটনায় নিঃস্ব দোকান মালিকরা সরকারি সাহায্যের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তিতুদহের গিরিশনগর বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে ৭ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত!

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮

তিতুদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউপির গিরিশনগর বাজারে একটি হোটেল ও চায়ের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুই দোকান মালিক সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে।
জানা গেছে, হোটেলের ফ্রিজে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে বাসায় চলে হোটেল পরিচালক গিরিশনগর গ্রামের বজলুর ছেলে আমীর হোসেন। ফ্রিজের বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সৃষ্টি বলে সবাই ধারণা করছে।
হোটেল মালিক তিতুদহ ইউনিয়নের ৬৩ আড়ীয়া গ্রামের মৃত ছানোয়ার হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান জানান, হোটেলটির মালিক আমি হলেও কয়েকমাস পূর্বে বিশেষ অসুবিধার জন্য আমীরকে দিয়ে হোটেলটি পরিচালনা করছি।
হোটেল পরিচালক আমীর হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে আমি ফ্রিজে বৈদ্যুতিক লাইন অন করে বাসায় চলে যায়। পরে এসে দেখি আগুনে পুড়ে সব ভস্মিভূত হয়ে গেছে বলতে বলতে আমির কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
বাজারসূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো রাত ১২টার মধ্যে বন্ধ করে সকলেই বাড়িতে চলে যায়। কিন্তুু ওইদিন হোটলে ও তার পাশের দোকানে রাত ১২টার অনেক পরে আগুন লাগে। সর্বপ্রথম আগুন লাগার বিষয়টি লক্ষ্য করেন একই বাজারের মুদি ব্যাবসায়ী শ্রী সাধন কর্মকার। পরে তিনি চিৎকার দিলে সবাই ছুটে আসার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রাসহ সকলের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে প্রথমে হোটেলের ফ্রিজে আগুন লেগে তা পরে পুরো হোটেলসহ আশপাশ দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এই আগুনের ঘটনায় চেয়ার, টেবিল, র‌্যাক, কেরোসিনের চুলা, কড়াই, হাড়ি ও বাইসাইকেলসহ নানা যন্ত্রাংশ পুড়ে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া হোটেলের পাশে অবস্থিত গিরিশনগর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে শহিদুলের চা ও কাঁচামালের দোকানে আগুন লেগে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়।
চা ও কাচামাল ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, আমার দোকানের ২টি কেরামবোর্ড, ১টি রঙিন টেলিভিশন, চা সরঞ্জামাদিসহ কয়েক হাজার টাকার শাক-সবজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় শহিদুল বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
এই আগুনের ঘটনায় নিঃস্ব দোকান মালিকরা সরকারি সাহায্যের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।