ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শৈলকুপায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ হত্যা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক গোলাম আযম এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- শৈলকুপা উপজেলার মুস্তাকুর রহমান ওরফে ব্যানেট ও কামান্না গ্রামের শামু আমমেদ। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল শৈলকুপার আহসাননগর গ্রামের সার ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ মোটরসাইকেলযোগে পাওনাদারদের কাছে টাকা আদায় করতে যায়। শৈলকুপার কবিরপুর অগ্রণী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামীরা তাকে অপহরণ করে বগুড়া গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে একটি মেহগনি বাগানে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। পরদিন নিহতের ছেলে মামুনুর রশিদ শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ব্যানেটকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ পরের বছর ২০১১ সালের ১১ মে ৪ জনকে আসামী করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে রোববার দুপুরে আদালত ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদাণ করে। মামলার প্রধান আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এছাড়াও অপর আরেক আসামী রাকুকে ৫ বছরের কারাদন্ড প্রদাণ করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শৈলকুপায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপলোড টাইম : ০৮:৩২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ হত্যা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক গোলাম আযম এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- শৈলকুপা উপজেলার মুস্তাকুর রহমান ওরফে ব্যানেট ও কামান্না গ্রামের শামু আমমেদ। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল শৈলকুপার আহসাননগর গ্রামের সার ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ মোটরসাইকেলযোগে পাওনাদারদের কাছে টাকা আদায় করতে যায়। শৈলকুপার কবিরপুর অগ্রণী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামীরা তাকে অপহরণ করে বগুড়া গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে একটি মেহগনি বাগানে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। পরদিন নিহতের ছেলে মামুনুর রশিদ শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ব্যানেটকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ পরের বছর ২০১১ সালের ১১ মে ৪ জনকে আসামী করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে রোববার দুপুরে আদালত ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদাণ করে। মামলার প্রধান আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এছাড়াও অপর আরেক আসামী রাকুকে ৫ বছরের কারাদন্ড প্রদাণ করা হয়েছে।