চুয়াডাঙ্গায় অসুস্থ গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির অপরাধে তিন কসাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় জনসম্মুখে ২ মণের অধিক অস্বাস্থ্যকর মাংস জব্দ করে নষ্ট করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে এই জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, সকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি ডিঙ্গেদহ বাজারে কিছু কসাই একটি অসুস্থ গরু বাইরে থেকে জবাই করে এনে মাংস বিক্রি করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই ডালিম মিয়া নামে একজন কসাই দৌঁড়ে পালিয়ে যান। তার সঙ্গে থাকা অপর দুজন কসাই খোকন মিয়া ও সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর মাংস বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়।

সেখানে আরও দেখা যায়, সকালে তারা একটি ভালো এঁড়ে গরু জবাই করে সেই মাংস সব বিক্রির পর ওই এঁড়ে গরুর মাথা ও জেন্ডার নির্দেশক অন্যান্য অংশগুলি এই অসুস্থ গাভী গরুর মাংশের সাথে রেখে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, একটি অসুস্থ গাভী গরু নিজেরাই জবাই করে বিক্রির জন্য নিয়ে এনেছেন। পরবর্তীতে বাজার কমিটির মাধ্যমে কসাই ডালিমকে হাজির করা হয়। অসুস্থ গাভী গরু জবাই করে মাংস বিক্রি ও এঁড়ে বলে অসুস্থ গাভীর মাংস বিক্রি মাধ্যেমে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি হাতেনাতে প্রমাণিত হয়। এসব অপরাধে তাদেরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৩ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং ২ মণের অধিক অস্বাস্থ্যকর মাংস জব্দ করে বাজার কমিটির সহায়তায় জনসম্মুখে কেরোসিন তেল দিয়ে ও মাটিতে পুতে নষ্ট করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ আরও বলেন, পূর্বেও তারা এ ধরণের কার্যকলাপ করেছেন। মানুষের খাদ্যদ্রব্যের সাথে প্রতারণা মেনে নেয়ার মতো না। অভিযান পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল।
সমীকরণ প্রতিবেদন