ট্রাফিক সপ্তার চতুর্থ দিনে চুয়াডাঙ্গা শহরজুড়ে ২৬৫ মামলা : আটক ৪
- আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮
- / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
কাগজপাতিসহ মাথায় হেলমেট থাকায় ১শ’ ৫০ জনকে রজনিগন্ধ্যাসহ গোলাপ ফুল দিয়ে অভিনন্দন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রাফিক সপ্তাহর চতুর্থ দিনেও চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শত শত মামলাসহ আটক করা হয় কিছু অবৈধ যানবাহন। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপাতিসহ মাথায় হেলমেট থাকায় তাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার পর শহরের শহীদ হাসান চত্তরসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এ অভিযান চালাতে দেখা যায়।
জানা যায়, ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে একযোগে চালানো হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। ফলে গত ৫ তারিখ রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে যানবাহনের কাগজপাতির গড়মিল থাকলেই দেওয়া হচ্ছে মামলা। আবার আটক করা হচেছ অবৈধ যানবাহন। চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশও শহরের বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্ট বসিয়ে গত কয়েকদিনে কয়েক শত মামলাসহ আটক করেন কিছু অবৈধ যানবাহন।
গতকাল চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসান চত্তর, কোর্ট মোড়, একাডেমি মোড়, রেল গেইট, পুলিশ লাইন, আলমডাঙ্গা রোডে অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশ। এসময় ২৬৫টি মামলাসহ আটক করা হয় ৪টি যানবাহন। আটককৃত এসকল যানবাহনের মধ্যে তিনটি মোটরসাইকেলসহ একটি প্রাইভেট কার রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। আবার যে সকল যানবাহনের মালিকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপাতি ঠিকঠাকসহ মাথায় হেলমেট আছে তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে রজনিগন্ধ্যা ও গোলাপ ফুল। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ’র হাত থেকে অভিনন্দন স্বরুপ ফুল পেয়ে এক প্রকার মহাখুশি এসকল যানবাহন মালিকরা। একই সাথে উপস্থিত লোকজন পুলিশের এমন কর্মকান্ড দেখে প্রশংসা করাসহ নিজেরাও বেজায় খুশি হয়েছেন।
শহীদ হাসান চত্তরে চালকদের ফুল দেওয়ার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ বলেন, অবৈধ যানবাহন আটকসহ নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে জেলাজুড়ে চালানো হচ্ছে অভিযান। যার ফলে গত কয়েকদিনে এ জেলাতে বেশ কিছু অবৈধ যানবাহন আটকসহ কাগজপাতি গড়মিল থাকার কারনে দেওয়া হয়েছে কয়েকশ’ মামলা। তাছাড়াও যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজ পাতি ঠিকমত আছে তাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক ইন্সপ্যাক্টর আহসান হাবিব ও মাহাবুব কবির।