নির্বাচনের আগে অনিয়ম ঠেকাতে অপারগ ইসি!
- আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অগাস্ট ২০১৮
- / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা দ্বার্থহীন ভাষায় স্বীকার করেছেন, বড় নির্বাচনে অনিয়ম হবে না এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। কোনো নির্বাচনে যদি অনিয়ম হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘প্রতিবন্ধী ভোটারদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা’ শীর্ষক এক কর্মশালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের বড় নির্বাচন রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, খুলনা ও গাজীপুরের ভোট শেষ হয়েছে মে ও জুলাই মাসে। এসব ভোটে অনিয়ম নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। কারণ নির্বাচনগুলো হয়েছে সরকার নিয়ন্ত্রিত। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ইচ্ছামতো প্রার্থীর পক্ষে সিল মেরে জিতিয়ে দিলেও নির্বাচন কমিশন নীরব থেকেছে। পরবর্তীতে কোনোটি ভোটে অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে দাবি করে। এ নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক বিতর্ক হয়। এ পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে কিনা- সেই প্রশ্ন সিইসির সামনে রেখেছিলেন সাংবাদিকরা।
জবাবে নূরুল হুদা বলেন, বড় পাবলিক নির্বাচনে যে অনিয়ম হবে না, এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে অনিয়ম হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বরিশালে বেশি অনিয়ম হয়েছে, সেখানে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে অনিয়ম হলে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নূরুল হুদা বলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচন হবে। নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে এর সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্ন ইস্যু। আন্দোলনকারীরা (নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা) নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেনি।